ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় তা আজও অনেকের কাছে অজানা।এটি একটি স্তনজনিত রোগ।নারী-পুরুষ উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।নারীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।সাধারণত বয়স চল্লিশ পৌছানোর পর নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।একটি জরিপের প্রতিবেদনে জানা গেছে,প্রতি বছর সারাবিশ্বে দশ লাখেরও অধিক নারীরা এ কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।দিন দিন এর প্রকোপ আরও বেড়ে যাচ্ছে।প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজারেরও অধিক নারী এবং পুরুষরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে এ রোগটি আতঙ্কের রূপ ধারণ করেছে।এ রোগ কেন হয়,এর নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনোও জানা য়ায় নি।নারী ও পুরুষ উভয়কেই এর রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা চাই।পূর্ব সাবধানতাই ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ কি
মানবদেহ অসংখ্য জীব কোষ দ্বারা গঠিত।স্তনের কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলে স্তন ক্যান্সার হয়।ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ,স্তনের বিভিন্ন অংশে ‘লাম্প’ বা দলা অনুভূত হয়,স্তনের স্বাভাবিক আকারে পরিবর্তন আসে।স্তনবৃন্ত থেকে তরল পদার্থ বা রক্ত বের হতে দেখা যায়।ত্বক থেকে চামড়া উঠতে থাকে,চাপ দিয়ে টোল পড়ে বা গর্ত হয়ে যায়।এ লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।আপনার রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন টেস্ট করুন।
গুরুত্বপূর্ণ টেস্টগুলো
আপনি এই টেস্টগুলো অবশ্যই করে নিতে পারেন যদি কোনো সন্দেহ হয় আপনার।এগুলো হল,
মেমোগ্রাম।
ব্রেস্ট ম্যগনেটিক রিজোন্যান্স ইম্যাজিং(এম.আর.আই.)।
টমোগ্রাফী স্ক্যান(সি.টি, স্ক্যান)।
বায়োপসি।
ব্লাড টেস্ট।এটা অবশ্যই করতে হবে।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ কি
প্রায় অধিকাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের বেপরোয়া জীবনযাপনকে কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।তাছাড়া অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা বা স্বেচ্ছায় মাতৃত্ব গ্রহণ না করা এবং শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান না করানোর কারণে নারীরা এ দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন।অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস (যেমনঃমদ্যপান,ধুমপান)শরীর চর্চায় অবহেলা,ওবেসিটি বা মেদবৃদ্ধি,জেনেটিক্স ইত্যাদিকেও এ রোগের কারণ মনে করা হয়।ক্যান্সার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি রোগ তা আমরা জানি।এ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।তবে এ রোগের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করা যায় যেমন সার্জারি,রশ্মি থেরাপি,কেমো-থেরাপি,হরমোনাল থেরাপি ইত্যাদি।
স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে কারা
যে সকল মহিলা হরমোনাল থেরাপি গ্রহণ করেন তাদের তো বটেই,অধিক বয়সে গর্ভধারণ করলেও ঝুঁকি হতে পারে।জিনগত কারণে মা-বাবা থেকে সন্তানদের হতে পারে।বেশি বয়সে মেনোপোজ বা রজস্রাব বন্ধ হলে আবার অল্প বয়সে মাসিক হলেও হয়।তাছাড়া অ্যালকোহল নেন যারা তাদেরও হতে পারে।রেডিয়েশন এক্সপোজার থেকেও হতে পারে।
স্তন ক্যান্সারে কি ধরণের অপারেশন করার প্রয়োজন হয়
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাধারণত যে অপারেশনগুলোর করার প্রয়োজন হয় ,
ল্যাম্পপেকটমী।
ম্যাসটেকটমী।
সেন্টিনাল নোড বায়োপসি।
অক্সিলারী লিম্ফ নোড ডিসেকশন।
আপনি কি চান না আপনার স্তন সুস্থ রাখতে
যে কেনো সন্দেহে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।শরীর চর্চা করুন।অধিক বয়সে সন্তান নিবেন না।অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খান।ফুলকপি,চীনা বাদাম ও জাম্বুরা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়ক।মদ্যপান থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।যে সকল নারী সন্তানদের দুধ পান করান তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কম থাকে।
তাহলে এবার থেকে নিজের যত্ন নিন আর ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে সুস্থ থাকুন।’দাশবাস’তো রইলই আপনাদের পাশে।
উৎপল বিশ্বাস
নিজের ব্রেস্টকে সুস্থ রাখতে তা ঢেকে রাখুন ঢিলা কাপড় দিয়ে, যাতে আকৃতি বাইরে থেকে দেখা না যায়। সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ নেবেন না ব্রেস্ট
ক্যান্সার ও হবে না। পর পুরুষ কে /নিজের ছেলেকে মেয়েদের মা বোনের চোখে দেখতে বলার আগে নিজেকে মায়ের মতোন দেখতে লাগে এমন করে তুলুন সবাই আপনার স্বামী না। কথায় বলে না আত্মার স্বভাব না জানলে আর ভালো চিন্তা না করলে উগ্র চিন্তা, স্বাধীনতা আর টাকার বাতাসে শান্তি আসে না।