স্কিনের যত্ন না নেওয়া মানেই স্কিনে র্যাস বেরোনো। আরও হাজার একটা সমস্যা। হাজার ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার ঘষেও ত্বককে মাখনের মতো মোলায়েম বানাতে পারেনা। আর খসখসে ম্যাড়মেড়ে ত্বক মানেই আপনার বয়সও যেন ১০ বছর বেড়ে যাওয়া!
ভাবুন তো, না চাইতেই কুড়িতে বুড়ি! আপনার বয়স যাতে বাড়ার বদলে আরও ১০ বছর কম দেখায়, তার জন্য খোদ কেয়া শেঠের খাস দরবার থেকে আমরা হাজির করেছি আপনার ত্বকের বয়স কমানোর পাঁচ পাঁচটি ঘরোয়া কার্যকরী টিপস নিয়ে। চেক করে নিন, আর জেল্লাদার গোরা নিখারে সব্বাইকে ১০ বছর বয়স কমিয়ে চমকে দিন!
বয়স কমাবেন?
বয়স কমানোর গোপন রহস্য মানেই কিন্তু ফেস প্যাক। তাই আপনি যদি নিজেকে তরতাজা দেখাতে চান, তাহলে নিয়ম করে ফেস প্যাকটি লাগাতে ভুলবেন না। দেখে নিন কিছু কেয়া শেঠ স্পেশাল হোম-মেড ফেস প্যাক।
১. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য ফেস প্যাক
যাই করুন না কেন, ত্বকের বয়স যদি কমাতে চান, তাহলে আপনার মুখকে উজ্জ্বল, মাখনের মতো কিন্তু বানাতেই হবে! তাই ত্বককে উজ্জ্বল রাখার জন্য এই ফেস প্যাকটি কিন্তু আপনার ত্বকের পরিচর্যার রুটিনে রাখতেই হবে!
উপকরণঃ
- ১ চামচ শসার রস
- ২ চামচ দুধ
- অল্প পাতিলেবুর রস
পদ্ধতিঃ
শসার রস, আর দুধ একটা পাত্রে মিশিয়ে নিন। এবার পাতিলেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে মুখে মেখে ফেলুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রোজ করেই দেখুন। আপনার ত্বকের যাবতীয় দাগ, ছোপ ভ্যানিশ হয়ে মুখ একবার তকতকে হয়ে উঠেছে। শসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও ফ্রেশ রাখতে সাহায্য করে।
বয়স কমানোর গোপন রহস্য
বুঝতেই পারছেন, গুচ্ছ দাগ, বলিরেখার ফলে আপনার ত্বক যদি অকালেই কুঁচকে যেতে থাকে, আর তার ফলে আপনাকে এখনই বুড়ি দেখাতে শুরু করে, তাহলে সে মোটে ভালো কথা নয়! বাজারে অনেক অ্যান্টি-এজিং ক্রিম পাওয়া যায় জানি।
আপনিও এতদিন সেগুলোই ব্যবহার করে এসেছেন। কিন্তু ফল যখন পানই নি, তখন এবার কেয়া শেঠেরই শরণাপণ্য হন! ঘরেই আপনার এজিং-এর ট্রিটমেন্ট করুন। আর পেয়ে যান দারুণ সুন্দর ত্বক! কীভাবে?
রিঙ্কল তোলার জন্য
মুখে গুচ্ছ রিঙ্কল, বলিরেখা—আয়নার সামনে দাঁড়ালেই তাই মুডটা অফ হয়ে যায়। কিন্তু মুড অফের দিন এবার শেষ। উপকরণ ২ চামচ ফ্রেশ পেঁয়াজের রস, ১ টা ডিমের সাদা অংশ। পদ্ধতি পেঁয়াজের রস আর ডিমের সাদা অংশ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে মুখে একটা লেয়ারের মতো করে মাখুন।
পেঁয়াজে প্রচুর সালফার আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা আপনার বলিরেখা কমিয়ে আপনার বয়স কম দেখাবে, আর ডিমে থাকা প্রোটিন আপনার চামড়াকে টানটান আর টোনড রাখতে সাহায্য করবে। দেখবেন আপনার কম বয়সের জেল্লার পাশে আপনার কত্তাকেও বুড়ো দেখাচ্ছে!
এর পাশাপাশি অবশ্য কেয়া শেঠ ভিটামিন, মিনারেলস, ইত্যাদিও খেতে বলেন ভালো করে। তাই আপনার জন্য সুন্দর একটা ডায়েট চার্ট বানান। তেল ঝাল মশলা খাওয়া বাদ দিন। দেখবেন এই শীতে আপনিই হিট!
‘সি.টি.এম.’ রুটিন ফলো করুন
কেয়া শেঠের মতে, ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং-ই কিন্তু বয়েস কমানোর গোপন চাবিকাঠি হতে পারে। কীভাবে?
ত্বককে পরিষ্কার রাখুন
যতই ধুলো-বালি থাকুক না কেন, আপনি ত্বককে যদি পরিষ্কার রাখতে না পারেন, তাহলে আপনার অকালে বুড়িয়ে যাওয়া কিন্তু কেউ আটকাতে পারবে না। ধুলো ময়লা স্কিনের ভেতরে জমে জমে ত্বকের দাগ ছোপকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
আর তার ফলে আপনার ত্বককেও বয়স্ক দেখায়।আপনার স্কিনের সাথে খাপ খায়, এমন ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন, আর মুখকে ন্যাচারালি ময়েশ্চারাইজড রাখুন!
টোনিং
বুঝতেই পারছেন, ত্বকের বয়স যদি কমাতেই চান, তাহলে রোজ নিয়ম করে টোনিং করাটাও কিন্তু মাস্ট। ত্বকের উপযোগী যেকোনো টোনার ব্যবহার করুন। কেয়া শেঠের স্পেশাল ল্যাভেন্ডার ফেয়ারনেস ওয়াটারও ব্যবহার করতে পারেন।
এটা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে আর সাথে সাথে দেখবেন বয়সও একধাক্কায় অনেক কম দেখাচ্ছে।
ময়েশ্চারাইজিং
স্কিনকে উজ্জ্বল লুক দিতে, ত্বকের স্বাভবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে, আর স্কিনকে ইয়ং দেখাতে আপনা
র ত্বকের উপযোগী কোনো ময়েশ্চারাইজার তো ব্যবহার করতে পারেনই, তাছাড়া কেয়া শেঠের টেট্রা হোয়াইটেনিং ক্রিম, সিরাম ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্টি-এজিং-এর জাদুর কামাল দেখতেই পাবেন।
এক্সফোলিয়েটিং বাদ দেবেন না!
আপনার মুখে মরা কোষ জমে থাকলে মুখকে তো এমনিতেই বয়স্ক দেখাবে। কিন্তু মুখকে যদি টানটান রাখতে চান, চান আপনাকে বয়সের থেকে অনেক কম বয়স্ক লাগবে, তাহলে এক্সফোলিয়েটিং কিন্তু করতেই হবে। কারণ আপনার ত্বকের মরা চামড়াকে তুলে ফেলার জন্য এর বিকল্প কিন্তু আর কিছুই হতে পারে না।
উপকরণঃ
- ২ চামচ দুধ
- ২ চামচ মুসুর ডালের গুঁড়ো
পদ্ধতিঃ
দুধ আর মুসুর ডালের গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এটা মুখে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন মিনিট দশেক ধরে। পার্টিতে গিয়ে দেখবেন, আপনার মেয়ের পাশে আপনাকে দেখে সব্বাই চমকে যাচ্ছে।
বিশেষ টিপস
তাছাড়াও বেশী করে জল খান, রোদে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার ত্বক এমনিতেই মসৃণ মাখনের মতো লাগছে।
আর কেয়া শেঠের এই স্পেশাল টিপস রোজ ফলো করেই দেখুন না। একমাসের মধ্যেই তফাতটা বুঝতে পারবেন। তখন দেখবেন আপনিও আপনার মেয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মেকাপ করছেন।
মন্তব্য করুন