জাপানী নারীদের সৌন্দর্যয়ের রহস্য় একেবারে আলাদা। তাদের ত্বক ও ত্বকের জেল্লা পুরো দুনিয়াতে তারিফের যোগ্য। ৫০ বছর বয়সের কোন জাপানী মহিলাকে দেখলে মনে হয় ৩০ বছর। ত্বকের সৌন্দর্য বয়সকে কোন সীমাতে বেধে দেয় না তাদের। জাপানী মহিলাদের এরকম অপূর্ব সুন্দর রূপের রহস্যের কারন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অতিরিক্ত বিউটি প্রোডাক্টস ব্যবহার না করাঃ
জাপানী মহিলাদের মধ্যে একটি বিষয়ের চলন আছে যে তারা আচমকা বাজার চলতি নতুন কোন কসমেটিক প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য ব্যবহার করেন না। কোন কসমেটিক ব্যবহার করার আগে ভালো করে তার সম্পর্কে জেনে ব্যবহার করেন। বলা ভালো প্রথমে ট্রায়াল নিয়ে নেন প্রোডাক্টটের। ত্বকের জন্য ঠিক কিনা সে বিসয়ে কনফার্ম হয়ে তবেই তারা প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। বেশির ভাগ জাপানী মহিলারা তাদের দিন মেকাপ দিয়ে শুরু করে না। তারা সাধারণত সব সময় নিজেদের ত্বকের যত্ন নেন প্রাকৃতিকভাবে। ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেন।
আজুকি ঃ
জাপানী স্কিন কেয়ারের এক অন্যতম প্রোডাক্ট হল আজুকি। আজুকির পাউডার ও স্ক্রাব ত্বকের ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে। ত্বকের ভিতরে জমা ধুলো ময়লাকে বের করে ত্বককে সতেজ রাখে।
আজুকি স্ক্রাব অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। আমাজনে আপনারা পেয়ে যাবেন। নীচে ছবিতে ক্লিক করুন লিঙ্ক খুলে যাবে।
গ্রীনটিঃ
শুধুমাত্র ত্বকের চর্চা নয় নিয়মিত জাপানী মহিলারা গ্রীনটি পান করে থাকেন।গ্রীনটিতে প্রচুর পরিমানে ভেষজগুন থাকে যা শরীরের জন্য বিশেষ করে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গ্রীনটিতে থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । যা শরীরকে ইউ.ভি.রে থেকে সুরক্ষিত করে। যা বলিরেখা বা সানবার্ন থেকে ত্বকের যত্ন নেয়।
সান্সক্রিম অপেক্ষা ছাতা ও টুপির ব্যবহারঃ
জাপানী মহিলারা সান্সক্রিম অপেক্ষা ছাতা ও টুপি বেশি ব্যবহার করেন। সার্ভেতে দেখা গিয়েছে জাপানী মহিলারা ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রোদে বেরলে যতটা সম্ভব ছাতা ও টুপির ব্যবহার করেন। সান্সক্রিম প্রায় এড়িয়ে চলেন। ফলে ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর থাকে। কসমেটিকের থেকে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না। সূর্যের রশ্মি থেকে তারা নিজেদের ছাতা ও টুপি ব্যবহার করে প্রটেক্ট করেন।
সৌন্দর্যয়ের জন্য প্রাকৃতিক তেলঃ
ব্যাখা- কেন প্রাকৃতিক তেল ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে? কারন প্রাকৃতিক তেল ত্বকে জমা তেল ও ময়লাকে পরিষ্কার করে দিয়ে থাকে। আসলে ভেষজ তেল সাধারণত ত্বকের যাবতীয় রুক্ষতা ও ময়লা ভিতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল বানায়। এক্ষেত্রে ভেষজ তেল রিমুভার বা ক্লিঞ্জার হিসেবে ব্যবহিত হয়।
ত্বকের ম্যাসাজঃ
জাপানী মহিলাদের ধারণা যে ত্বকের যত্ন নিতে বিশেষ করে মুখের ক্ষেত্রে ম্যাসাজ করা খুবই দরকারই। এর ফলে মুখে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা সহজে পরে না। তারা মুখের ম্যাসাজের ক্ষেত্রে যে যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, তা খুব ধীরে ধীরে এপ্লাই করেন।
কোলাজেনঃ
ত্বকের যত্ন নেওয়ার সাথে সাথে জাপানী মহিলারা সাপ্লিমেনটারি ডায়েট কোলাজেন নেন। অনেক বৈজ্ঞানিকের মত যে কোলাজেনের ব্যবহার প্রোটিন পাউডার খাবার সমান। আলাদা কিছু না। কিন্তু জাপানীদের ওপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস জে তারা ত্বকের যত্নের বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য এটা গ্রহন করে। কারন জাপানী স্কিন কেয়ার বিশ্বের বেস্ট স্কিন কেয়ার।
হেলথি খাবারঃ
পশ্চিমী দুনিয়া যেদিকে লালমিট, অয়লি খাবার খায় সেদিকে জাপানীরা সেই তুলনায় বেশি হেলথি খাবার খায়। ফলে শরীর সুস্থ থাকে। ত্বকের ক্ষেত্রে সঠিক ডায়েট সব সময় জরুরী। ফলে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল থাকে সহজে।
মন্তব্য করুন