হিন্দু ধর্ম মতে, নির্দিষ্ট সময় মেনে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা মেনে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। সময় মেনে এই তিথি না মানলে, এটিকে পাপ বলে বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমা নিয়ম মেনে পালন করা। এই কথা মাথায় রেখেই, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব, ২০১৯ সালে কোন কোন দিন পূর্ণিমা পড়েছে।
পূর্ণিমা তিথির তারিখ
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ (সোমবার)
পূর্ণিমা – (২০ শে জানুয়ারি দুপুর ২.১৯ থেকে ২১ শে জানুয়ারি বেলা ১০.৪৬)
অনেকের কাছেই এই পূর্ণিমা-টি পৌষ পূর্ণিমা বলে পরিচিত। এই দিন আকাশে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। মা কাকিমারা এই দিনটিতে ঘরের শ্রীবৃদ্ধি আনতে, লক্ষ্মী পুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করে থাকেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (মঙ্গলবার)
পূর্ণিমা – (১৯ শে ফেব্রুয়ারি ভোর ১.১১ থেকে রাত্রি ৯.২৩)
এই পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা হিসাবে সবার কাছে জনপ্রিয়, কারণ এই দিনটিতে আপনি, আপনার শুভ আচার অনুষ্ঠান, যেকোনো মনস্কামনা, ব্রত রাখতে পারেন।
২১ শে মার্চ, ২০১৯ (বৃহস্পতিবার)
পূর্ণিমা – (২০ শে মার্চ বেলা ১০.৪৫ থেকে ২১ শে মার্চ ভোর ৭.১২)
কেউ বলে থাকি ফাল্গুনী পূর্ণিমা আবার কেউ-বা বলে থাকি দোল পূর্ণিমা, সে যাই হোক না কেন! এই দিনটিতে রং খেলতে কিন্তু আমরা কেউই ভুলি না। এই বিশেষ দিনে বেশিরভাগ গৃহস্থ বাড়িতেই সাধ্যমত ভোগ রান্না করে নারায়ন সেবা, গুরু সেবা, শ্রীকৃষ্ণের সেবা দিয়ে থাকি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ (শুক্রবার)
পূর্ণিমা – (১৮ ই এপ্রিল সন্ধ্যা ৭.২৬ হতে ১৯ ই এপ্রিল বিকাল ৪.৪২)
এই পূর্ণিমার আরেক নাম চৈত্র পূর্ণিমা। এই দিনটিকে হনুমান জয়ন্তী হিসাবে ধরা হয়।
১৮ শে মে, ২০১৯ (শনিবার)
পূর্ণিমা – (১৮ ই মে ভোর ৪.১১ হতে ১৯ ই মে রাত্রি ৪.৪১)
বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের পবিত্র উৎসব। বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। আমরা বাঙালিরা এই দিনটিতে, গৃহ প্রবেশ, দোকানের হালখাতা কিংবা বিভিন্ন রকমের ও মঙ্গলময় কাজ করে থাকি।
১৭ ই জুন, ২০১৯ (সোমবার)
পূর্ণিমা – (১৬ ই জুন দুপুর ২.০২ হতে ১৭ ই জুন দুপুর ২.০০)
এই পূর্ণিমার অপর নাম জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা। জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা মানেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব। এই দিনটিতে রানী রাসমণি দক্ষিণেশ্বরের নবরত্ন মন্দিরে, দেবী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ (মঙ্গলবার )
পূর্ণিমা – (১৬ ই জুলাই ভোর ১.৪৮ হতে ১৭ ই জুলাই ভোর ৩.০৮)
জুলাই মাসের এই পূর্ণিমা আমাদের কাছে “গুরু” পূর্নিমা বলে পরিচিত। হিন্দু মতে এই দিন, মহাভারত রচয়িতা “বেদব্যাস” জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর সেই কারণেই এই পূর্ণিমার অপর নাম “ব্যাস” পূর্ণিমা।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ (বৃহস্পতিবার)
পূর্ণিমা – (১৪ ই আগস্ট বিকেল ৩.৪৫ হতে ১৫ ই আগস্ট বিকেল ৫.৫৯)
হিন্দুদের জনপ্রিয় উৎসব রাখি বন্ধন এই পূর্ণিমাতেই পালিত হয়। সেই কারণে এই পূর্ণিমাকে “রাখিপূর্ণিমা” বলেও অভিহিত করা হয় । শ্রাবণ মাসের এই পূর্ণিমাতে প্রতিটি বোন তার ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে মঙ্গল কামনা করে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (শনিবার)
পূর্ণিমা – (১৩ ই সেপ্টেম্বর সকাল ৭.৩৫ হতে ১৪ ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০.০২)
হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই পূর্ণিমাতে সত্যনারায়ণের পুজো করলে প্রত্যেকের জীবনে অশুভ ছায়া কেটে যায়। এই দিনে অনেক বাঙালি মহিলা ই, উমা-মহেশ্বরের পুজো করে থাকেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ (রবিবার)
পূর্ণিমা – (১৩ ই অক্টোবর ভোর ১২.৩৬ হতে ১৪ ই অক্টোবর ভোর ২.৩৮)
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা, যাকে অনেকে শারদ পূর্ণিমা বা কুমার পূর্নিমা বলে থাকেন, এই দিনেই করা হয়। মনস্কামনা পূরণের জন্য, অনেকেই এই পূর্ণিমাতে ১০৮ টি বাতি জ্বালিয়ে বাড়ি সুসজ্জিত করে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ (মঙ্গলবার)
পূর্ণিমা – (১১ ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৬.০২ হতে ১২ ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৭.০৪)
হিন্দু ধর্মে বলা হয়ে থাকে যে এই দিনটিতে উপোস করলে ১০০০ অশ্বমেধ এবং ১০০ টি রাজসিক যজ্ঞ করার সমান পূর্ণ লাভ সম্ভব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, কার্তিক মাসের এই পূর্ণিমা তিথিতেই শিখ ধর্ম গুরু “গুরু নানক” জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ (বৃহস্পতিবার)
পূর্ণিমা – (১১ ই ডিসেম্বর সকাল ১০.৫৯ হতে ১২ ই ডিসেম্বর সকাল ১০.৪২)
এই পূর্ণিমার অপর নাম মারগাশির্শা পূর্ণিমা। কথিত আছে, প্রাচীন আর্যগণ এই দিনে বিভিন্ন দেবী পূজার মাধ্যমে শরৎ কালের আগমনকে অভিবাধন জানাতেন। শ্রীমদ্ভাগবতে গোপীরা অগ্রহায়ণ মাসের এই তিথিতে, কাত্যায়নীব্রত করতেন।
ইংরেজির ‘D’ বাংলার ‘দ’ দিয়ে ১৫টি পুত্র ও ১৫টি কন্যা সন্তানের নাম
ভেজিটেবল স্যুপের ৩ রকমের রেসিপি – নতুন রেসিপি দাশবাস স্পেশাল
মন্তব্য করুন