সাজসজ্জার ব্যাপারে লিপস্টিক এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় । নিজেদের পছন্দের রঙে ঠোঁট রাঙ্গাতে তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীরা লিপস্টিক ব্যবহার করেন ।ঠোঁটকে আকর্ষণীয়, মোহময়ী করে তোলার জন্য যে প্রসাধনীটি ব্যবহার করা হয়, তা হল লিপস্টিক ।এককথায় বলা যেতে পারে লিপস্টিক ঠোঁটের অলংকার ।
লিপস্টিক ও মুসলমান রমণীরা
বিশ্বের সকল দেশের নারীরাই লিপস্টিক ব্যবহার করেন। যদিও মুসলিম নারীরা অত্যন্ত বিনয়ী মনোভাব বজায় রাখেন, তবে এর অর্থ এই নয় তারা সৌন্দর্যচর্চা পছন্দ করেন না । মুসলিম নারীদের কাছে সৌন্দর্যচর্চা অত্যন্ত সৌখিন বিষয় । তারা স্বামীর কাছে নিজেদেরকে পরিপাটিভাবে উপস্থিত করতে পছন্দ করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয়ে তারা বেশ বাছবিচার করেন । কারণ বাজারে এমন অনেক পণ্য রয়েছে যা ব্যবহারে মুসলিমদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । এসব পণ্যে ব্যবহূত উপাদানগুলো, যেমন অ্যালকোহল, শূকরের চর্বি, কোলাজেন বা জিলেট এবং কিছু উপাদান যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর । তাই এগুলো ব্যবহারে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ।
লিপস্টিক কী ক্ষতি করে কোনো
লিপস্টিক ঠোঁটের শোভা বাড়ায় । কিন্তু ঠোঁটের শোভা বাড়ালেও, লিপস্টিকের রয়েছে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া । কিছু ব্র্যান্ডের লিপস্টিকে কোবাল্ট, ক্যাডমিয়াম ও টাইটেনিয়ামের মতো ধাতুও পাওয়া গেছে । কোনো কোনো ব্র্যান্ডের লং লাস্টিং লিপস্টিকে কৃত্রিম স্টেবিলাইজার থাকে, যা থেকে হতে পারে ক্যানসার । গাঢ় রঙের শেডে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কোবাল্ট, ক্যাডমিয়াম থাকে, যা থেকে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে । তাই চেষ্টা করুন গাঢ় রঙ এড়িয়ে চলার। তাই সচেতন হউন; হালাল পণ্য ব্যবহার করুন, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। লিপস্টিক লাগানোর আগে ও পরে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
লিপস্টিক লাগানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা
- তাই লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিলে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
- ম্যাট এবং লং লাস্টিং লিপস্টিক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন ।
- ঠোঁট থেকে চামড়া উঠলে বা ঠোঁট শুকিয়ে গেলে সেই লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
- গাঢ় রঙের লিপস্টিক এড়িয়ে চলাই ভালো ।
- খাবার সময় লিপস্টিক তুলে ফেলা উচিত ।
আপনার সৌন্দর্য পণ্যটি কি হালাল
মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল পণ্য ইসলামে হারাম করা হয়েছে । যদিও এগুলো শূকরের চর্বি, রক্ত বা অ্যালকোহোল জাতীয় হয় । তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার সৌন্দর্যচর্চার সখ যেন আপনার ক্ষতি না করে। সৌভাগ্যবশতঃ মুসলিম নারীদের জন্য হালাল প্রসাধনী পণ্যের অনেকগুলো অপশন রয়েছে, যা তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে, ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষা করতেও সহায়ক ।
আসুন, এখন এমন কিছু ব্র্যান্ডের পণ্য চিনে নেওয়া যাক। তাহলে আপনাদের সুবিধা হবে।
৩টি হালাল-সার্টিফাইড মেকআপ ব্র্যান্ড যা আপনার সৌন্দর্যচর্চার আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিবে
Zahara/ জাহারা
সৌন্দর্যের প্রতি ভালোবাসা এবং অগাধ আস্থা নিয়ে দুই বোন একসাথে মিলে তৈরি করেছেন Zahara ব্রান্ডের পণ্য । তাদের হালাল পণ্যগুলোর মধ্যে আছে নেইলপলিশ, আই-লাইনার, লিকুইড লিপস্টিক, আই-শ্যাডো ইত্যাদি ।
Amara Halal Cosmetics/ আমারা হালাল কস্মেটিক
হালাল বিউটি ব্র্যান্ডের কথা বলা হলে, Amara Halal Cosmetics সবগুলো ব্র্যান্ডের মধ্যে সুপরিচিত । এটি ২০১১ সালে প্রতিষ্টিত হয়ে উত্তর আমেরিকান নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে । যখন আপনি ভালো কোনো পণ্যের খোঁজ করেন Amara Halal Cosmetics আপনাকে সন্তুষ্ট করবে।
INIKA Organics/ নিকা ওরগ্যানিক্স
এই অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যান্ডটি সম্পূর্ণ ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত এবং অবশ্যই হালাল পণ্যের নিশ্চয়তা দিচ্ছে । আপনার প্রয়োজনীয় সকল পণ্যই তাদের কাছে আছে।
আজ তাহলে আপনাদের হালাল লিপস্টিক নিয়ে জানিয়ে দিলাম। এখন থেকে এই লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ধর্ম ছাড়াও স্বাস্থ্যের দিক থেকে বা নান্দনিকতার দিক থেকেও হালাল লিপস্টিক বেশ ফাটাফাটি।
[…] হালাল লিপস্টিক কী জেনে নিন […]