সানি লিওন তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশির ভাগ সময়েই জনসাধারণের নজরে প্রকাশ্যের ঝিলিকে কাটিয়েছে। শুধুমাত্র তার বাছাই করা পেশার জন্য না, কিন্তু যে ফোকাস এবং আত্মোৎসর্গের সঙ্গে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক জগতে সাফল্য লাভ করেছেন, সেটা প্রশংসনীয়। জনসাধারণের নজর সর্বদাই তার দিকে থাকে এবং সেই জায়গাটা ধরে রাখতে গেলে আশ্চর্যজনক ভাবে সুন্দর দেখানো এবং সঠিক মনোভাব অতি আবশ্যক। সানি লিওনের এই দুটোই আছে পর্যাপ্ত পরিমানে। উপরন্তু তিনি সবসময় সুস্থ এবং সুতনু চেহারা ধরে রেখেছেন যা তার মনোনীত পেশায় খুব দরকার। কিন্তু তার ফিটনেসের রহস্যটা কি?
সানি সবসময়ই তার পেশা এবং পছন্দ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট প্রতিমূর্তি বজায় রেখেছেন। সুস্থ থাকার একনাত্র উপায় হল পুষ্টিকর খাদ্য এবং ব্যায়াম। এই সুন্দরী অভিনেত্রী বোঝেন যে নির্দিষ্ট আহার এবং ব্যায়াম সময়সূচী বজায় রাখলে বিশষ পার্থক্য হয়। তার ব্যস্ত জীবন সত্ত্বেও তিনি সব সময় পুষ্টিকর খাবার খান, বিশেষ করে শাকসবজি ও দুধ। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে শুরু করার আগে সে জিমে অনেক সময় অনেক ব্যয় করতো। কিন্তু তার এখনকার ব্যস্ততার মধ্যে, দৈনন্দিন শরীর চর্চা করা আর সম্ভব না। কিন্তু সে বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি ক্ষয় করে। ক্যালরি ক্ষয় যেহেতু তার প্রধান কেন্দ্র, তিনি কার্ডিও অবং ফ্রী ওয়েট ব্যায়াম কে প্রাথমিকতা দেন ভারী ওজন সহ শক্তি প্রশিক্ষণের তুলনায়। তিনি বক্সিং চর্চাও করেন হাত এবং শরীরের উপরের ভাগকে শক্তিশালী করার জন্য। নিচের অংশের জন্য সাইক্লিং করেন।
যে দিনগুলিতে তিনি সিনেমার শুটিং করেন না, সানি জিমে টানা দুই ঘন্টা ব্যায়াম করেন। কিন্তু অন্যান্য দিনে কাজের ফাঁকে মাত্র ৩০ মিনিট অবদি ব্যয় করেন স্টেশনারী বাইকে। কিন্তু যে ভাবেই হক প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরি ক্ষয় নিশ্চিত করেন।
সে বিশ্বাস করে যে শরীরের সুস্থতার কনো মাপকাঠি হয়েনা, এটা ইতিবাচক। সবার উচিত নিজের শারীরিক ধাঁচ এবং জীবনধারা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যায়াম সূচি তৈরী করা।
সুন্দরী সানির যে সব বিভিন্ন ব্যায়াম পদ্ধতি নিয়োমিত চর্চা করে যে ভাবমূর্তি গঠন করেছেন আমরা তা দেখে অনুপ্রেরণা পাই।
জিমিন্গ:
সানি তার জিমে দিনের অনেকটা সময় ব্যয় করতেন এবং সেটাকেই তার দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করতেন। তিনি তার জিমের প্রয়োজনীয় সরঙ্জাম নিয়ে ঘিরে থাকতে ভালোবাসেন এবং তার ঢেউ খেলানো চেহারা রাখার জন্য অনেক পরিশ্রম করেন। তিনি বিশ্বাস করেন জিমে সময় কাটানো সুন্দর স্বাস্থ এবং জীবন চালানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিম মাঝে মধ্যে করাটা কখনো ভালো না। সমস্ত স্বাস্থ সম্মত অভ্যাসের মতো ব্যায়ামকে একটি নিয়োমিত গুরুত্বপূর্ণ প্রাত্যহিক জীবনের অঙ্গ হিসাবেই ধরে নিতে হবে।
যোগ:
সানি বিক্রম যোগ শিখেছিলেন; তিনি অনুভব করতেন যোগ শরীর ও মনের উপর অপূর্ব প্রভাব বিস্তার করে। যোগাভ্যাস মন ও শরীরের উপর প্রশান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে। এছাড়াও নিয়োমিত যোগাভ্যাস অতিরিক্ত পরিমানে খাদ্য গ্রহণ এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। সর্বোপরি শরীরকে সুগঠিত করে। কিন্তু যোগের ফল পেতে গেলে নিয়োমিত যোগাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০-৩০ মিনিটের সাধারণ যোগাভ্যাস প্রাত্যহিক জীবনে উজ্জ্বলতা আনে এবং সম্পূর্ণ জীবনে আনে বিশেষ পরিবর্তন। যোগাভ্যাস সুস্থ জীবন এবং শরীরিক নানা রকম জটিলতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
পিলাট্স্:
সুন্দরি ডিভা তার জীবনে পিলাট্স্ নামে ব্যায়ামের অন্য একটি আকার যোগ করেছিলেন। ইহা শরীরের মেধ নষ্ট করে দিয়ে শরীরের আকারকে সুগঠিত করে। নিয়োমিত পিলাটসের অভ্যাস কর্মক্ষমতা, প্রয়োজনীয় নমনীয়তা শরীরে যোগান দেয়। পিলাটসের সুপ্রভাব তার অসাধারণ নৃত্য ভঙ্গিমায় যথেষ্ট প্রমান দিয়েছে।
স্ক্বোটস্:
সানি মনে করেন বাশীর ভাগ মহিলাদের শরীরের নিম্নাংশ বিশেষ সমস্যা জনক। সেই দিকে নজর রেখে তিনি এই স্ক্বোট ব্যায়াম করেন। এই পদ্ধতি তার দেহের নিচের অংশকে পরিমিত আকারে রাখে আর পেশীকে সতেজ করে। তিনি স্ক্বোটের বিভিন্ন ভঙ্গিমা অভ্যাস করেন নিজের শরীরকে মজবুত রাখেন। এটা শরীরকে সুস্থ রাখে এবং নিয়োমিত একই ব্যয়ামের একঘেঁয়েমিটাকে মনোভাব কাটায়। নিয়োমিত অভ্যাস করার ফলে আমাদের শরীর একই রকম ব্যয়ামে অভ্যস্ত হয়ে যায়। নানাবিধ পদ্ধতিতে ব্যয়াম করার ফলে আমাদের শরীরের পরিমিতি সমানেই বাড়তে থাকে।
লান্জেস্:
এই সুতনু অভিনেত্রী তার পায়ের আকার সুগঠিত রাখে নিয়োমিত লান্জেস্ অভ্যাস করে। এই ব্যায়াম এছাড়াও অন্ত:করণ শক্তি উন্নত করে। স্ক্বোট ব্যায়ামের মতো লান্জও বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়।
হাটা:
সানি প্রত্যেক মানুষের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে ২০-৩০ মিনিট নিয়মিত হাটা অত্যন্ত জরুরি। তার মতে হাটা দিন শুরু করার একটা মহত পদ্ধতি। যদিও সাধারণ ভাবে নিয়োমিত হাটা শরীরকে যথেষ্ঠ শক্তি দেয় কিন্তু সুস্থ উৎসাহী লোকেদের পাওয়ার ওয়াকিন্গ অভ্যিস করা উচিত। ।Livestrong.com-এর মতে পাওয়ার ওয়াকিন্গ হৃদযন্ত্রের সহ্য ক্ষমতা বাড়ায়ে এবং সম্পূর্ণ শরীরের শক্তি বাড়াবার একটা সহজ উপায়। শরীরকে পুরোপুরি ভাবে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পাওয়ার ওয়াকিন্গের যথাযথ কৌশল চর্চা করা উচিত।
সাইক্লিং:
সুন্দরী মিস্ লিওন প্রচুর সময় সাইক্লিং করেন। এটাতে তার শরীরের নিম্নাংশের আকার ঠিক থাকে। সাইক্লিং তার পিঠের অংশ এবং মূল মাংস পেশীকে সুগঠিত করে। তিনি তার প্রিয় স্টেশনারী বাইকে অনেকটা সময় কাটান। এটা তার পেশী শক্তিশালী করে এবং ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করে।
সুস্থ জীবনধারার রহস্য হলো অভ্যাস এবং সেটার পেছনে যথেষ্ট সময় ব্যয় করা। সানি লিওন বারবারই বলেন যে তার ফিটনেস মাত্রা বজায় রাখতে তিনি নিত্যকর্ম রূপে কঠোর পরিশ্রম করে ব্যায়াম করে এবং সেটার জন্য অনেকটা সময় বিনিয়োগ করে। সুতরাং আসুন সানির মন্ত্রকে অনুসরণ করে আমরাও নিয়মিত জিম যাই।
এবার এই মিউজিক ভিডিও দেখেনিন। সানি লিয়োনের ব্যায়াম চর্চার উপরে তৈরী টাইমস্ ওয়েলনেসের এক্স্লুসিভ রিলিজ “সুপার হট্ সানি মর্ণিন্গস্”-বেরনোর আগে এই মিউজিক ভিডিও বানানো হয়েছিল।
মন্তব্য করুন