বাঙালীর ঐতিহ্য, পরম্পরা, সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে অলঙ্কার। নারীর ভূষণ এই অলঙ্কার। বিশেষ করে বাঙালী মেয়েদের গহনার বাক্স বৈচিত্র্যময়। বাঙালী মেয়েদের গহনার বাক্স সীতাহার, মান্তাসা, হাতপদ্ম, কানপাশা, টিকলি নানান সুন্দর সুন্দর অলঙ্কারে ভরপুর। চলুন বাঙালীর অন্দরমহল থেকে একবার ঘুরে আসি। এক নজরে দেখেনি বাঙালীর গহনার বাক্স।
১. টিকলি
টিকলি বাঙালী মেয়েদের খুবই পছন্দের অলঙ্কার। মূলত বিয়ের সময় বাঙালী মেয়েরা এই টিকলি সাধারণত পরে থাকে। টিকলি মাথায় পরার অলঙ্কার।
২. সীতাহার
সীতাহার বাঙালী মেয়েরা পরম্পরায় মা দিদাদের কাছ থেকেই সাধারণত পেয়ে থাকে। সীতাহার একটু ভারী ধরণের অলঙ্কার। সীতাহারে সুন্দর নক্সা করা থাকে। সীতাহার বাঙালীর গহনার বাক্সকে সম্পূর্ণতা দেয়।
৩. ঝুমকো
সুন্দর সুন্দর নক্সার ঝুমকো বাঙালী মেয়েদের কালেকশানে অবশ্যই দেখতে পাবেন। সোনার ঝুমকো বাঙালীর গহনার বাক্সের শোভা বাড়ায় বই কমায় না।
৪. নোলক
নাকের অলঙ্কার হল নোলক। বাঙালী মেয়েদের খুব পছন্দের অলঙ্কার। প্রতিটি বাঙালী মেয়ে বিয়ের দিন নোলক পরবেই। ট্রাডিশান বলা যেতে পারে।
৫. মান্তাসা
মান্তাসা হাতে পরার গহনা বা অলঙ্কার। নানা রকম নক্সা করা থাকে মান্তাসাতে। মান্তাসা ব্রেসলেটের মত দেখতে অনেকটা। কিন্তু ভারী নক্সার কাজ থাকে। বাঙালীর অন্যতম সুন্দর একটি অলঙ্কার হল মান্তাসা।
৬. কানপাশা
কানপাশা বঙ্গনারীর পছন্দের অলঙ্কার। কানপাশা আসলে কানের দুল।নক্সা করা বসা দুল। কানে বসে থাকে বোলে একে কানপাশা বলা হয়।
৭. হাতের চূড়
হাতের চূড় খুবই সুন্দর দেখতে হয়। হাতের চূড় এক হাতে পরতে হয়। ভারী ধরণের অলঙ্কার। এক হাতে যদি চূড় পরে থাকে তাহলে আর অন্য অলঙ্কার হাতে পরার প্রয়োজন নেই। বাঙালীদের এই খুবই প্রিয় গহনা।
৮. বালা
বালা হাতে পরে। নানা ডিজাইনের বালা হয়ে থাকে। বালা দুহাতে পরতে হয়। বালা ভারী ধরণের অলঙ্কার চুড়ির মত হালকা নয়।
৯. কান
কান একটি অসাধারণ সুন্দর গহনা। কানের আকারে দেখতে হয় বোলে একে কান বোলে। বাঙালী মেয়েরা সাধারণত বিয়েতে কান পরে থাকে। একটি পারম্পরিক লুক রয়েছে।
১০. নূপুর
নূপুর পায়ের অলঙ্কার। বাঙালীরা সাধারণত রুপোর তৈরি নূপুর পরে থাকে। নূপুর আর আলতা পরা পা বাঙালীর নিজস্ব স্টাইল।
বাঙালীর গহনার বাক্স নানা ধরণের অলঙ্কারে সাজানো। কয়েকটি অলঙ্কারকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম মাত্র। বাঙালীর গহনার বাক্স ঐতিহ্যে ভরা। এর আলাদা এক ইতিহাস আছে। তা নিয়ে না হয় অন্য একদিন কথা বলা যাবে।
মন্তব্য করুন