সুন্দর গ্লোয়িং স্কিনের জন্য জাস্ট একটা ফেয়ারনেস ক্রিম লাগিয়ে নি বেরবার আগে। তাই তো? কিন্তু এতে সাময়িক একটু কাজ হলেও। লক্ষ্য করে দেখবে আসলে স্কিন গ্লোয়িং হয় কি? হয় না বরং খুব বেশি এইসব প্রসাধনি ব্যবহার করার ফলে স্কিনের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য টাই হারিয়ে যায়। শুরু হয় স্কিনের নানা সমস্যা। কিন্তু এমন কিছু ব্যবহার করেছ কি যেটা সত্যি স্কিনকে গ্লোয়িং করবে। তাও আবার কোন ক্ষতি না করে। হ্যাঁ এমন কিছু উপাদানের কথা আজ বলব যা সত্যি স্কিনকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলবে।
১. ঘৃতকুমারী
ত্বকের যত্নে ঘৃতকুমারীর উপকারিতা প্রচুর। এতে আছে অ্যান্টি-ফাংগাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কার্যকরী। এছাড়াও এটি খুব ঠাণ্ডা হাওয়ায় ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে।তার ফলে ব্রন, অ্যালার্জি, শুষ্ক ত্বক, ব্ল্যাক স্পট প্রভৃতি সমস্যার সমাধান করে। ত্বককে ভেতর থেকে ফ্রেশ রাখে। এর জন্য ঘৃতকুমারী জেল নিয়ে মুখে লাগালেই উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া ঘৃতকুমারী জেলের সঙ্গে অন্যান্য ফলের পাল্প মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বাদাম তেলের সঙ্গে এটি মিশিয়ে ব্যবহার করলে পিগমেনটেশন রোধ করে।
২. কেশর
ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে কেশর যে কতটা উপকারি তা আমরা অনেকেই জানি। একটু কেশর নিয়ে ভালো করে জলে ফোটান। জলতা হলুদ হয়ে গেলে তাতে, একটু অলিভ তেল ও একটু কাঁচা দুধ মেশান। এবার এই মিশ্রণটি মুখে গলায় ও হাতেও লাগাতে পারেন। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন করুন। ত্বক উজ্জ্বল সোনালি ফর্সা বর্ণ ধারন করবে।
৩. কুমকুমারি তেল
ত্বককে ফর্সা করতে এই কুমকুমারি তেল ভীষণ ভাবে উপকারি। এই তেল বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক জড়িবুটি দিয়ে তৈরি হয়। ত্বকের ট্যান দূর করে। এর জন্য এই শুধু এই তেল ব্যবহার করলেই ফল পাওয়া যায়। এর সঙ্গে কিছু মেশাবার দরকার পরে না। এই তেল মুখে গলায় হাতে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর ২০ মিনিট মত রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন।
৪. হলুদ
হলুদ রক্তকে পরিষ্কার রাখে। তার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। তার পাশাপাশি একটা গ্লোয়িং রেডিয়েন্ট স্কিন দিতে সাহায্য করে। রূপচর্চায় এটি বহুল প্রচলিত একটি আয়ুর্বেদিক জড়িবুটি। কিছুটা হলুদ গুড়ো ও চালগুঁড়ো ভালো করে মেশান। এতে যোগ করুন একটু কাঁচা দুধ ও টম্যাটোর রস। এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ত্বক উজ্জ্বল হবে। এছাড়াও হলুদ নাইট ক্রিম হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ও দুধ মিশিয়ে লাগালে উপকার পাবেন।
৫. চন্দন কাঠ
ত্বকের যত্নে আরেকটি বহুল প্রচলিত আয়ুর্বেদিক জড়িবুটি হল চন্দন। ত্বককে সুন্দর উজ্জ্বল করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এটি ত্বকের যাবতীয় সমস্যা ব্রন, ব্ল্যাক স্পট,ও আরও বিভিন্ন সমস্যা কমাতে উপকারি। এছাড়া ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বলতো করেই। বাজারে চন্দন কাঠের পাউডার পাওয়া যায়। ত্বক ফর্সা করতে, ট্যানের সমস্যা থাকলে ব্রনর সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন এই চন্দনের বিভিন্ন ফেস প্যাক। দারুন ফল পাওয়া যায়। চন্দনের বিভিন্ন ফেসপ্যাক জানা না থাকলে, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন।
এই প্রতিটা উপাদানই কিন্তু স্কিনকে ভেতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তোলে। জাস্ট এক থেকে দু মাস ব্যবহার করলেই স্কিন টোনের পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। তাই এমন কিছু ব্যবহার করুন যা সত্যি ভেতর থেকে কাজ করে। সাময়িক ভাবে নয়।
মন্তব্য করুন