কথায় আছে যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে, ঘুমের চোখ খুলেই দৌড়নো শুরু। যেটা সারাদিন চলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বামীর অফিস, বাচ্ছার স্কুল আবার শ্বশুর শাশুড়ির দেখভাল সব চলে একসাথে। এককথায় গোটা গৃহমন্ত্রকের দায়িত্ব তার ওপর। সকাল থেকে রাত অবধি দৌড়োতে দৌড়োতেই চলে যায় সময়।
সংসারের হাজারো ঝক্কি সামলে, নিজের জন্য ভাবার সময় কই? প্রতি ঘরে ঘরেই এই গল্প। এবার অন্দরের এই গল্পকেই খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরবেন পরিচালক অর্জুন দত্ত। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক শ্রীমতীরা থাকেন যারা নিঃশব্দে সারাজীবনটাই দিয়ে দেন সংসারের জন্য। নিজেকে নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু এদের মনের কথা বলবে কে? বলবেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
মায়েদের মনের কথা বলবে ‘শ্রীমতী’
সবার কাছেই আমাদের মা খুব স্পেশাল কিন্তু, হাজারো ব্যস্ততায় আমরা সত্যি কি মায়ের মনের কথা বোঝার সময় পাই। এবার সেই কথাই বোঝাতে আসছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘শ্রীমতী’। আবার একসঙ্গে কাজ করছেন পরিচালক অর্জুন দত্ত ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এরআগে ‘গুলদস্তা’ ছবিতে দুজন একসাথে কাজ করেছেন। সেখানেও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় সবার নজর কেড়েছিল। এবারের ছবি ‘শ্রীমতী’।
এক সুন্দর পারিবারিক গল্প বলবে ‘শ্রীমতী’। এক মধ্যবিত্ত পরিবারের বউ শ্রী কিছুটা অগোছালো সে, এবং স্বামীকে খুব ভালোবাসেন। সংসারের জন্য ভাবতে ভাবতেই তার সময় চলে যায়। সংসারে তার স্বামী অনিন্দ্য, শাশুড়িমা প্রতিমা, ননদ বৃষ্টি, পরিচারিকা কাজল ও তাদের ছোট্ট ছেলে কুট্টুস। এই হল শ্রী-এর পরিবার। কিন্তু হঠাৎ তার মনে হতে থাকে বাইরের ঝাঁ চকচকে সমাজের চাকচিক্যের মধ্যে তার পরিচয়টাই যেন হারিয়ে যাচ্ছ। এইভাবেই এগোয় গল্প। এরপরই গল্পে আসে এক অন্যরকম টুইস্ট।
কে কোন ভূমিকায়
ছবির মুখ্য ভূমিকায় অর্থাৎ শ্রী এর চরিত্রে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। স্বামী অনিন্দ্যর ভূমিকায় রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। শাশুড়ি প্রতিমার ভূমিকায় দেবযানী বসু, পরিচারিকা কাজলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন খেয়া চট্টোপাধ্যায় এছাড়াও ননদ বৃষ্টির চরিত্রে দেখা যাবে টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ তৃনা সাহাকে। ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে কান সিং সোধা। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সৌম্য রিত। এই প্রথম সোহম চক্রবর্তী ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে একসাথে দেখা যাবে। এখন দেখার অপেক্ষা তাদের অনস্ক্রীন জুটি কেমন লাগে দর্শকদের।
মন্তব্য করুন