বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ মানুষের চিরন্তন স্বভাব। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর দৌলতেই জীবনের পূর্ণতা লাভ করি আমরা। গবেষকরা দাবি করছেন কিসপেপটিন নামক আমাদের মস্তিষ্কের এক হরমোন যেটি রয়েছে আমাদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের মূলে। এটির উপস্থিতিতে আমাদের মাথায় ফেরোমন নামক রাসায়নিক উপাদান নির্গত হয় যা নিউরনে সেই ব্যক্তির প্রতি আকর্ষণের বার্তা প্রেরণ করে।
মানুষের মন জয় করা সহজসাধ্য কাজ তো নয় মোটেই, তাই আপনাদের কাছে থাকলো বেশ কয়েকটি উপায় যার দ্বারা আপনারা সহজেই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মন জয় করতে সমর্থ হবেন।
নাম গান:
- নামগান শুনে মনে হয় কীর্তন ভজনের কথা মনে হয় পড়লো কিন্তু না সেরকম আদৌ নয়। যখন প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলবেন তখন তাকে তার নাম দিয়ে সম্বোধন করুন।
- মানুষের নাম ধরে ডাকলে তুচ্ছ বিষয়েও তার মনোযোগ যেমন বাড়বে তেমনি একটা স্পেশাল টান ও অনুভব করবে।
কথা বলার টপিক নির্বাচন:
- এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা নিয়ে আমরা মোটেই ততটা ওয়াকিবহাল নয়। কথা বলার টপিক সিলেকশন এর উপর কাছের মানুষের হৃদয় এর দরজা খুলে যেতেই পারে। কিভাবে?
- কথা বলার আগে পূর্বপ্রস্তুতি নিন। যাতে কথোপকথন এর সময় অগোছালো হয়ে ফাম্বলিং না করতে হয়।
- এমন বিষয়ে কথা বলুন যেটা কমন হবে না। আবহাওয়া কেমন বা সারাদিনে খবরে কি দেখালো এই জাতীয় ক্লিসে আলোচনার ফল নেতিবাচকই হয়।
শ্রোতা হন:
- আমরা সবসময় নিজের মনের কথা হাজির করতেই ব্যস্ত থাকি। অনর্গল বকবক করা যেন আমাদের স্বভাবজাত অধিকার।
- এতে মুশকিলটা হলো আমরা অপরের মতামতকে অতটা পাত্তা দিই না।
- তাই ধৈর্য ধরে অপরজন কি বলতে চাইছেন সেটা মন দিয়ে শুনুন ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া করুন।
- এতে দুজনেই প্রসঙ্গে ইনভলভ হবেন। আপনার সাথীও এটাই চান আপনার থেকে।
চোখে চোখ রাখা:
- দৃষ্টি বিনিময় হতে পারে শুভদৃষ্টির চাবিকাঠি।গবেষণা বলছে ২মিনিট আই কন্ট্যাক্ট স্থায়ী হলে তা আকর্ষণ কেন্দ্রীভূত হবার জন্যে যথেষ্ট।
- তবে তা যেন নিথর দৃষ্টি না হয়, তাতে যেন প্রানের ছোঁয়া থাকে এবং চোখে চোখে কথা হয় এটাতো সবাই জানি।
হাসি তো ফাসি:
- প্রবাদেই আছে দেবতারাও মেয়েদের মন পড়তে পারেন না। মানুষ তো তুচ্ছ জীব। কিন্তু এটাও ঠিক ব্যক্তিবিশেষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকলেও রসিকতার অংশটিকে বাদ দেয়া যায় না।
- ঠোঁটের কোণে হাসির ঝিলিকই বদলে দিতে পারে সম্পর্কের রসায়ন। সেন্স অফ হিউমার ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলেই পছন্দ করে।
অনুমানে ভরসা:
- কথা প্রসঙ্গে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার বা হ্যাং আউট এর ছোট সাক্ষাৎ এ জিগ্যেস করতেই পারেন তার কর্মক্ষেত্র,পছন্দের বিষয় বা খাবার অথবা অন্য কিছু।
- এগুলো অপরজন উত্তর দেওয়ার আগেই অনুমান করুন ব্যক্তির এটিচিউড বিশ্লেষণ করে।
- এতে অপরজন সারপ্রাইজড তো হবেনই তার সাথে আপনার প্রতি কৌতূহলী ও হয়ে উঠবেন।
- ব্যক্তিত্বের প্রতি ধোঁয়াশা রাখুন এবং কথা বলুন রহস্যময় ভাবে যাতে তার মিনিং বহুমুখী হয়। এটিও আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে।
- নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট প্রোফাইল সেই অনুযায়ী এরেঞ্জ করে রাখতে পারেন যাতে তিনি দেখলে উৎসাহী হন।
শরীরী ভাষা:
- কথা বলার সময় হাতের সঠিক ভঙ্গি, চাউনি ও ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মানুষকে কাছে টেনে নিতে কার্যকর।
- পুরুষদের ক্ষেত্রে একটু উদাসীন দৃষ্টি ও কথা বলার সময় উপযুক্ত অভিব্যক্তি এবং মেয়েদের মুখভঙ্গি স্বচ্ছন্দ ও খোলামেলা হলে তা বাড়তি আকর্ষণ জাগায়।
- পাশাপাশি যে কথাই বলুন না কেন তা যেন স্পষ্ট কণ্ঠস্বরে হয় সেটাও খেয়াল রাখবেন।
মিল জুল:
- একে অন্যের বিষয়ে ব্যক্তিগত স্বাদ ও রুচিবোধের মিল থাকলে বন্ধুত্ব গাঢ় হতে খুবই কম সময় লাগে।
- দুজন ব্যক্তির মাঝে পছন্দের বিষয় এক হলে তারা কথা বার্তা ও আলোচনার ক্ষেত্রে সাবলীল হয় ও মতের অমিল চট করে হয়না।
- মূল্যবোধের মিল থাকলে বিশ্বাসের ভিতটাও পোক্ত হয়।
এক্স ফ্যাক্টর:
- এছাড়াও কিছু বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারণ ও উপাদান রয়েছে যা আপনার পার্সোনালিটি ও নিজেকে ক্যারি করার ক্ষেত্রে নজরকাড়া হতে পারে।
- ভালো ডিও বা পারফিউম ব্যবহার করা যাতে স্মেলিং সেন্সটা গ্রো করে ,দাঁত শ্বেত শুভ্র রাখা যাতে নিজের পরিচ্ছন্নতার ধারণা প্রকাশ পায়।
- নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উপস্থাপন করা, মানানসই পোশাক ও জুতো নির্বাচন করা।
- গাম্ভীর্য বজায় রেখে নিজেকে লঘু করে না ফেলা এবং আচরণের নম্রতা, সহবত ও যত্নশীল মার্জিত রুচি।
Shyamal Sahu
খুব সুন্দর পরিবেশন
DusBus Staff
ধন্যবাদ।