আগের বছর মে মাসে আচমকা দেশের দক্ষিণ অংশে থাবা বসিয়েছিল নিপা ভাইরাস। প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল প্রায় ১৭ জন মানুষের। কলকাতাতেও হানা দিয়েছিল এই নিপা। ভয়ঙ্কর ভাইরাস।
গত পরশু কেরলে নিপা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ৬জন মানুষ ভর্তি হয় কোচির মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে। নানা রকম টেস্টের পর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও, নিপার ভয় থেকে স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে যদি নিপা এবারও দেখা দেয় তাহলে তা কেরলসহ ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে বিশেষ করে সাউথ ইন্ডিয়াতে ছড়াতে পারে।
ইতিমধ্যে কর্ণাটকের ৮টি জেলায় হাই অ্যালাট জারি হয়ে গিয়েছে। আগাম সতর্ক বার্তা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের জন্যও। কারণ এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। আর বাংলাদেশ হয়ে এটি আমাদের বাংলাতেও আসতে পারে।
নিপা ভাইরাস
মালয়েশিয়াতে ১৯৯৮ সালে শুয়োরের থেকে এই ভাইরাস প্রথম ছড়িয়ে ছিল। এছাড়া বাঁদুরের থেকে এটি ছড়ায়।
এটি একটি মারণ ভাইরাস যা শরীরে প্রবেশ করলে বাঁচার সম্ভাবনা ৩০% থাকে আর ৭০% থাকে মৃত্যুর সম্ভাবনা।
নিপা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠার কোন মেডিসিন এখনো তৈরি হয় নি। তাই সাবধানে থাকুন। সতর্ক থাকুন।
ভয়ঙ্কর নিপা ভাইরাসের লক্ষণ
- প্রাথমিক পর্যায়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কোন লক্ষণ দেখা যায় না।
- জ্বর ও মাথা ব্যাথা দিয়ে শুরু হয় যা আস্তে আস্তে বেড়ে যেতে থাকে।
- ঘুম পায় খুব, শরীর একেবারে ছেড়ে দেয়। কোন কাজ করতে মন চায় না।
- খিদে প্রায় পায় না, খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। কোন খাবার খেলে স্বাদ থাকে না।
- শ্বাসের সমস্যা বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়।
- লাস্ট স্টেজে রোগী কোমায় চলে যায়, যা মৃত্যুর কারণ হয়ে যায়।
সতর্ক থাকুন এই বিষয়ে
- নিপা ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ায়, তাই আগাম সতর্ক থাকুন।
- জ্বর হলেই ডাক্তার দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করান।
- বাচ্চাদের জ্বরের রোগীর থেকে দূরে রাখুন, খুব ছোঁয়াচে এটি। আর বাচ্চাদের এই ভাইরাসের সাথে লড়ার ক্ষমতা খুবই কম।
- শুয়োরের মাংস যারা বেশি খান বা শুয়োরের খামারে যারা কাজ করেন তারা সহজে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সাবধান থাকুন।
- আম, কলা, লিচু বাঁদুরের প্রিয় খাবার তাই এই ফল এখন কিছুদিন না খাওয়াই ভালো।
- বিশেষ করে খেজুর একদম খাবেন না এখন।
- নিজেও সতর্ক থাকুন আর আসে পাশের লোকজনকেও সতর্ক করুন।
- নিপা ভাইরাস থেকে দূরে থাকুন।
মন্তব্য করুন