মেকআপ করার সময় ফাউন্ডেশন হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেটা ছাড়া আপনার মেকআপ অসম্পূর্ণ। ফাউন্ডেশন এমন একটা প্রোডাক্ট যা আপনার সৌন্দর্যকে আরও খানিকটা তুলে ধরতে পারে, আবার প্রয়োজনে কিন্তু এর উল্টোটাও হতে পারে।
আপনার স্কিন টোনের চেয়ে লাইট ফাউন্ডেশন আপনার লুকের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। একইভাবে অতিরিক্ত ডার্ক ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করলে মোটেও দেখতে ভালো লাগে না।
মনে রাখবেন ফাউন্ডেশন-এর কাজ কিন্তু স্কিন টোন পরিবর্তন করা নয়, বরং আপনার সৌন্দর্যে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে একাধিক শেডের মধ্যে থেকে নিজের জন্য সঠিক ফাউন্ডেশনটা খুঁজে নেওয়াটা একটি কঠিন কাজই বটে। তবে এই প্রতিবেদন পড়লে আশা করছি আপনার সেই সমস্যাও মিটে যাবে।
ফাউন্ডেশন কেনার সময়ে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা দরকার
- আপনার ত্বকের ধরণই বলে দেবে আপনার কী ধরণের ফাউন্ডেশন প্রয়োজন। ক্রিম বেস, হাইড্রেটিং না ওয়াটার বেস।
- আপনার স্কিন টোন কী, তা বোঝা খুবই জরুরী। ভারতে সাধারণত মাঝারি স্কিন টোনই বেশি। তবে তার মধ্যেও কিন্তু বিভিন্ন টোন দেখতে পাওয়া যায়। তিনটি স্কিন টোন এবং তার সাব ক্যাটেগরিগুলি কী কী, জেনে নিন।
১. লাইট
- পোর্সেলিন
- আইভোরি
- ওয়ার্ম আইভোরি
- স্যান্ড
২. মিডিয়াম
- বেইজ
- ওয়ার্ম বেইজ
- ন্যাচরাল
- হানি
৩. ডার্ক
- গোল্ডেন
- আমন্ড
- চেস্টনাট
- এসপ্রেসো
স্কিন টোন জানার পাশাপাশি আপনার আন্ডারটোন কী, ওয়ার্ম, কুল না নিউট্রাল- তাও জানা উচিত।
![Skin Tones](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Skin-Tones.jpg)
কীভাবে বুঝবেন আন্ডারটোন?
১. কুল আন্ডারটোন
- শিরার রঙ- আপনার শরীরে শিরার রঙ যদি নীল অথবা পার্পেল হয়, তাহলে আপনার ওয়ার্ম আন্ডারটোন
- গয়নার ধরণ- আপনাকে রুপোর গয়না সবচেয়ে বেশি মানায়।
- সান টেস্ট- রোদে বেরোলে আপনার ত্বক লাল হয়ে গিয়ে জ্বালা করা শুরু হবে।
- কালার টেস্ট- নীল, কালো, সাদা এবং পার্পেল রঙ আপনাকে মানাবে।
২. ওয়ার্ম আন্ডারটোন
যদি আপনার ত্বকে হলুদ, পীচ এবং গোল্ডেন আভা থাকে তাহলে আপনার ওয়ার্ম আন্ডারটোন।
- শিরার রঙ- ওয়ার্ম আন্ডারটোন হলে আপনার শিরার রঙ হবে সবুজ এবং অলিভ সবুজ।
- গয়নার ধরণ- সোনার গয়না বা যেকোনও গোল্ডেন জুয়েলারি আপনাকে মানাবে।
- সান টেস্ট- রোদে বেরোলেই আপনার ত্বকে ট্যান পড়ে যাবে।
- কালার টেস্ট- পীচ, হলুদ, ব্রাউন, অলিভ সবুজ রঙ আপনাকে মানায়।
৩. নিউট্রাল আন্ডারটোন
যাদের কুল এবং ওয়ার্ম আন্ডারটোন নয়, তারা এই বিভাগে পড়েন।
![Under Tones](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Under-Tones.jpg)
- শিরার রঙ- আপনারা যদি শিরার রঙটি কী তা বুঝতে না পারেন, তাদের নিউট্রাল আন্ডারটোন।
- গয়নার ধরণ- সোনা এবং রূপো উভয়ই আপনার উপযুক্ত।
- সান টেস্ট- রোদে বেরোনোর সঙ্গে ইরিটেশন হবে এবং ত্বকে লালচে দাগ এবং ট্যান পড়বে।
- কালার টেস্ট- সব ধরণের রঙই আপনাকে মানায়।
এবার আপনাদের বলি ৫টি ব্র্যান্ডের কথা, যার হাত ধরে আপনি নিজের জন্য সঠিক ফাউন্ডেশন বাছতে পারবেন।
১. মেবিলিন
![Maybelline Foundation Tones](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Maybellin.jpg)
ভারতীয়দের স্কিন টোনের কথা মাথায় রেখেই মেবিলিন নিয়ে এসেছে ফিট মি রেঞ্জ, যা প্রতিটি ত্বকের সঙ্গে মানানসই। এখানে দেওয়া চার্টে আপনি ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি পাউডার এবং কনসিলারও বেছে নিতে পারেন।
২. স্ম্যাশ বক্স
![Fair, Light, Dark Tone Hands](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Fair-Light-Dark.jpg)
স্ম্যাশ বক্স সর্বদাই তার গ্রাহকদের জন্য প্রচুর শেড সরবরাহ করে। ফর্সা থেকে ডার্ক এবং ডিপ স্কিন টোন সবই পাবেন এখানে। ফুল থেকে মিডিয়াম- সব ধরণের কভারেজ পেয়ে যাবেন এদের শেডে।
৩. ল্যাকমে
![A Hand Holding Lakme Foundation](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Lakme-Foundation.jpg)
ল্যাকমে ৯ টু ৫ রেঞ্জে আপনি পেয়ে যাবেন চারটি শেড। বিভ্রান্ত না হয়ে এই ছবি দেখে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন।
৪. ম্যাক
![Mac Foundation Shades](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Mac-shade-chart.jpg)
এই ছবি দেখে আপনি আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই শেড ম্যাকের রেঞ্জে পেয়ে যাবেন।
৫. রেভলন
![Revlon Foundation Shades](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Revlon-Color-Saty-Makeup.jpg)
রেভলনের চার্টে আপনি আপনার স্কিন টোন এবং আন্ডারটোন অনুসারে মানানসই শেড পেয়ে যাবেন।
বিশেষ টিপস
![Foundation Shades On A Girl's Face](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/03/Color-Shades-On-Girls-Face.jpg)
- ফাউন্ডেশন বাছা হল এবার টেস্ট করার পালা। অনেকেই ফাউন্ডেশন হাতে লাগিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু হাতের এবং মুখের স্কিনটোন অনেকটাই আলাদা। সেক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন গাল এবং আপনার চোয়াল রেখায় লাগিয়ে নিন। তারপর আঙুলের সাহায্যে ব্লেন্ড করুন। এতে সঠিক শেডটি বাছতে সুবিধা হবে।
- মাঝে মাঝে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে স্কিন টোন বদলাতে থাকে। সুতরাং একটাই শেড যে প্রতি মরশুমে মানাবে তা না-ও হতে পারে।
- সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কী ধরণের কভারেজ চাইছেন। সেই অনুযায়ী লাইট অথবা ডার্ক শেড বেছে নিন। সামান্য ডার্ক শেড আপনাকে মিডিয়াম কভারেজ এবং ফুল কভারেজের জন্য লাইট শেড বেছে নিন।
- প্রত্যেকদিনের জন্য ব্যবহারের জন্য ম্যাট শেড বেছে নিন। আর পার্টি মেকআপ করার জন্য অবশ্যই শিমারি লুক দেবে এমন ফাউন্ডেশন বাছুন।
Amar mukhe wrinkles ese jache mukhe kno jella nei Samadhan deben