বহুদিন সিনেমাহল বন্ধ, আর খুললেও করোনা আতঙ্ক। তাই দর্শকদের মন ভালো রাখতে বিভিন্ন ধরণের ওয়েব সিরিজ, সিনেমা একের পর এক পরিবেশন করে চলেছে হইচই। আর দর্শকরাও চেটেপুটে সেই পরিবেশনের আনন্দ নিচ্ছেন। এবার দর্শকদের জন্য হইচইতে কি ট্যাংরাও পাওয়া যাবে? মাছ? আরে না না এ সে ট্যাংরা নয় যে ভাতের পাতে এর স্বাদ গ্রহন করবেন খেয়ে। তবে একদম ভিন্ন স্বাদের কিছু পরিবেশন করতে চলেছে হইচই।
পরিবেশনার নাম ‘ট্যাংরা ব্লুজ’
আরও একটি নতুন ধরণের ফিচার ফিল্ম আমরা দেখতে পাবো হইচই এর পর্দায়। এর আগে ‘ডিটেক্টিভ’ নামে একটি সিনেমা রিলিজ করেছিল সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভাবে। এরপর আসতে চলেছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল সিনেমা ‘ট্যাংরা ব্লুজ’। নামটা শুনেই মনে হচ্ছে একদম অন্য ধরণের কিছু। হ্যাঁ তা তো বটেই। এই সিনেমাতেই প্রথমবারের জন্য দেখতে চলেছি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও মধুমিতা সরকারের জুটি।
কে কোন চরিত্রে?
লাভ আজ কাল পরশু, ‘চিনি’র পর এবার মধুমিতা সরকারের তৃতীয় ছবি ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ যেখানে তিনি জুটি বাঁধবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে। সুপ্রিয় সেনের পরিচালনায় এই ছবিতে দুজনকেই দেখা যাবে মুখ্য ভূমিকায়। যেখানে মধুমিতা অভিনয় করবেন ‘জয়ী’র চরিত্রে এবং পরমব্রতকে দেখা যাবে ‘সঞ্জিব মণ্ডলের চরিত্রে।
প্রথমবার পরমব্রত মধুমিতা একসাথে!
আমরা আমাদের চারপাশে এমন অনেক শিল্পীকে দেখতে পাই যারা যথেষ্ট প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, তেমনভাবে সুযোগ পান না। গল্প এই ধরণের চরিত্রগুলো নিয়েই, তাদের দৈনন্দিন জীবনের যুদ্ধ সাথে স্বপ্ন পূরণের অদম্য চেষ্টা। যেখানে রাস্তায় এরমই কিছু প্রতিভাবান শিল্পীদের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয় জয়ী।
জয়ী হল মুম্বাই খ্যাত একজন সঙ্গীত পরিচালক। মুম্বাই এর বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে আসেন তার বাবার কাছে ট্যাংরায়। আর সেখানেই রাস্তায় কিছু বাচ্ছাদের শো দেখে তিনি মুগ্ধ হন। পরে আবার সেই বাচ্ছাদেরই রাস্তায় আবর্জনা সংগ্রহের কাজে দেখে অবাক হন।
পরে জয়ী খবর নিয়ে জানেন, যে তারা সঞ্জীব মণ্ডলের দলের সদস্য। যিনি আগে একজন গ্যাংস্টার ছিলেন। এই বাচ্ছাদের নিয়েই একটি ছোট ব্যান্ড যেটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। আর আপ্রান লড়াই করে যাচ্ছেন এই ছেলেমেয়েদের একটা পরিচয় দিতে, তাদের জীবন পাল্টাতে। এরপরই ঘটে জয়ীর আগমন। জয়ী কীভাবে এই সাধারণ বাচ্ছাদের ও সঞ্জীবের জীবন পাল্টে দেয় সেটিই দেখার।
পরমব্রত ও মধুমিতা দুজনই বেশ খুশি এই ছবিতে কাজ করতে পেরে। পরমব্রত জানিয়েছেন, এই ছবিটি অনেক ছবির থেকেই বেশ আলাদা। ছবির মধ্যে বেশ কিছু সামাজিক বার্তা মানুষকে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি এই ছবিতে সহ প্রযোজক হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন নবারুণ বোস। ছবির পোস্টার এখনো মুক্তি পায়নি।
ছবির শুটিং প্রায় শেষ। সব ঠিক থাকলে, আর কয়েকমাসের মধ্যেই হইচই এ মুক্তি পাবে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’। ঠিক কবে মুক্তি পাবে সেই সম্পর্কে কোন সঠিক খবর না থাকলেও, সম্ভবত ফেব্রুয়ারী বা মার্চেই মুক্তি পেতে পারে এই ছবি।
মন্তব্য করুন