এখন ফোন ছাড়া একদিনও কাটে না। সারাদিন কম্পিউটার, ফোনে কাজ করতে করতে চোখ হয়ে পড়ে ক্লান্ত। এরফলে মাথা যন্ত্রণা, চোখের তলায় কালি বা ফলা ভাব। এসব সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আজ আপনাদের জন্য এমন একটা প্রোডাক্টের সন্ধান দেব যেটা ম্যাজিকের থেকে কোন অংশে কম নয়। কারণ মাইগ্রেন যন্ত্রণা থেকে চোখের তলায় কালি সব সমস্যার জন্য কেবল একটাই মাস্ক। ব্যাস মুশকিল আসান। যারা অনেকক্ষণ ফোন বা কম্পিউটারে সময় কাটান তাদের জন্য ভীষণ উপযোগী এই স্পেশাল মাস্ক।
প্রোডাক্টঃ স্টারসেইফ ফেস কুলিং জেল মাস্ক
এটা হল এক ধরণের রেডি টু ইউজ মাস্ক। মানে এই মাস্ক বাড়িতে বানাতে হয় না। এটা তৈরি অবস্থাতেই বিক্রি হয়। কিনেই ব্যবহার করতে পারেন। একটা পাতলা নাইলনের ডাবল আস্তরণ যেটা মুখের শেপেই কাটা। এই আস্তরণের ভেতর জেলের মত তরল ভরা রয়েছে। এই তরলটিই কাজ করবে। পেছনে আছে স্ট্র্যাপ, মুখের ওপর বসিয়ে মাথার পিছনে স্ট্র্যাপগুলি দিয়ে আটকে নিন সুবিধামত।

কতদিন ব্যবহার করতে পারেনঃ
প্যাকে দেওয়া এক্সপেয়ার ডেট অবধি ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত কয়েক মাস ব্যবহার করতে পারবেন।
কেন ব্যবহার করবেনঃ
আজকাল কম্পিউটার, ফোনের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। বহুক্ষণ কম্পিউটার বা ফোন স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ তথা আপনার ব্রেন খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারফলে মাথা যন্ত্রণা, মাইগ্রেন, চোখের তলায় কালি, ফলা ভাব এইসব সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। এবং অনেক সময় আমাদের মুখও ফুলে থাকে। আর এইসব সমস্যার চটজলদি সমাধান হল এই মাস্ক।
এই মাস্ক ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করলে এর স্পেশাল কুলিং এফেক্ট খুব সুন্দর কাজ করে। নিমেষেই আপনার চোখ মুখের ক্লান্তি কেটে যাবে। শুধু চোখ মুখ নয়, দেখবেন গোটা শরীরের ক্লান্তি কমে যাবে অনেক। ফ্রেশ লাগবে। তাই আজকাল যারা ফোন বা ল্যাপটপে অনেকক্ষণ কাজ করেন তারা অনেকেই কিনছেন এই মাস্ক। শুধু মেয়েরা নয় ছেলেরাও ব্যবহার করছে এই বিশেষ মাস্ক।
কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ
এটা গরম এবং ঠাণ্ডা দুরকম ভাবেই ব্যবহার করা যায়। এর কুলিং এফেক্ট নিতে গেলে, ব্যাবহারের আগে ফ্রিজে রেখে দিন। আধঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এই ঠাণ্ডা মাস্ক মুখে লাগিয়ে রাখুন। লাগিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন।
লাগাবার আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন ফেসওয়াশ দিয়ে। এরপর যারা সিরাম ব্যবহার করেন সিরাম লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে সিরাম যে ব্যবহার করতেই হবে এমন কোন মানে নেই। তারপর মাস্কটি পড়ে নিন। মাস্কটি খোলার পর মুখে একটু ময়েশ্চারাইজার মেখে নেবেন। গরম করে ব্যবহার করতে চাইলে একটি পাত্রে গরমজল বসান সেই ভাপে এটি গরম করুণ। সাইনাসের যন্ত্রণা হলে এটি গরম করে লাগাতে পারেন আরাম পাবেন।
উপকারিতাঃ
ঘুমের সমস্যার সমাধান
সারাদিন ফোন বা ল্যাপটপ ঘাঁটতে ঘাঁটতে ঘুম অনেক কমে গেছে মানুষের। রাতে একটু ভালো ঘুমের জন্য কত ডাক্তার, ওষুধ কত কি। এই মাস্ক আপনাকে সাহায্য করবে। ঘুমোতে যাবার আগে ঠাণ্ডা করে এই মাস্ক জাস্ট ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটা আপনাকে একদম রিলাক্স দেবে। ঘুম আসতে সাহায্য করবে।
চোখকে দিন বিশ্রাম
আগেই বললাম চোখ একদমই রেস্ট পায় না, তাই চোখের তলায় কালি, ফলা ভাব এসব লেগেই আছে। এছাড়াও এতো বেশী স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য, চোখের চারপাশ তাড়াতাড়ি কুঁচকে যায়। মুখে বয়সের ছাপ চলে আসে। এটা দিয়ে রাখলে এর কুলিং এফেক্ট চোখকে রিলাক্স করে দেয়। চোখের চারপাশে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় ও চোখ অনেকটা বিশ্রাম পায়। ফলে চোখের তলায় কালি, কুঁচকে যাওয়া থেকে অনেক দূরে থাকতে পারবেন।
স্ট্রেস থেকে মুক্তি
কাজের চাপে অনেক সময়ই স্ট্রেস বড্ড বেড়ে যায়। যেটার ছাপ চোখে মুখে পড়ে। অতিরিক্ত স্ট্রেস শরীরে অন্যান্য রোগের সাথে সাথে স্কিনও খারাপ করে। স্কিন বয়সের তুলনায় অনেক বেশী বুড়িয়ে যায়। তাই স্ট্রেস কমানো আগে দরকার। সেটা করবে এই মাস্ক। এই মাস্ক ঠাণ্ডা করে আপনি লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১৫ পরেই খুব সুন্দর রিলাক্স অনুভব করতে পারবেন। স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাবেন। দেখবেন কতটা ভালো লাগবে।
মাইগ্রেনের সমস্যায়

আজকাল মাইগ্রেনের সমস্যা ঘরে ঘরে। আর যাদের হয় তারাই বোঝে এর কষ্ট। তাই এই সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করতেই পারেন এটি। এটা আপনার ব্রেনকেও রিলাক্স করে দেয় সহজেই। তার ফলে মাইগ্রেন যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন। যারা ঘন ঘন এই সমস্যায় ভুগছেন তারা ট্রাই করে দেখতে পারেন।
অন্যান্য
এগুলো ছাড়াও মুখে যাদের ডার্ক সার্কেল, ট্যানের সমস্যা আছে সেগুলোর জন্যও ভালো এটি। এই মাস্কের স্পেশাল কুলিং এফেক্ট মুখে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়, ফলে স্কিন হয়ে ওঠে ফ্রেশ এবং সুন্দর।
তাহলে দেখলেন তো কেমন ম্যাজিক মাস্কের সন্ধান দিলাম। দামও সাধ্যের মধ্যেই। বদলে এতোগুলো উপকারিতা। তাই আর দেরী না করে এইসব সমস্যার চটজলদি সমাধান পেতে একবার ব্যবহার করে দেখতেই পারেন এই মাস্ক।
মন্তব্য করুন