বালিতে জল দিলে যেমন সাথে সাথে শুষে যায়, তেমন শীতকালে অনেকের স্কিনের হাল ঠিক এরকম হয়। হাজার একটা ক্রিম মেখেও কোন লাভ হয় না। ড্রাইনেস কমতে চায় না।
কিন্তু যদি বলি এবার এসব ঝামেলা থেকে আপনারা একেবারের মত ফ্রি হতে পারেন? অবাক হচ্ছেন! সত্যি এই সমস্যার সমধান রয়েছে তাও ঘরোয়া ভাবে।
কেন অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই?
- অ্যালোভেরা জেল শুধু ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে না, সাথে সাথে শুষ্কতা জনিত ঘসঘসে ভাব ও ইচিং’এর সমস্যা কমায়।
- এছাড়া জেলে থাকা উপকরণ সমূহ ত্বক মসৃণ করে ভিতর থেকে।
- স্কিন সব সময় ময়শ্বচারাইজড থাকার ফলে ড্রাই হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
- ভিটামিন ই স্কিনকে নরম রাখতে সাহায্য করে।
- অয়েল সাপ্লিমেণ্ট সরবরাহ করে স্কিনে ফলে ত্বক শুষ্ক থাকে না।
- ভিটামিন ই স্কিনকে ভিতর থেকে গ্লো করে, তাই ড্রাই স্কিনের রুক্ষ ভাব দেখা যায় না।
![vitamin e & aloe vera gel](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2019/12/vitamin-e-aloe-vera-gel.jpg)
ফেস মাস্ক কেন ব্যবহার করবেন?
- ফেস মাস্ক ত্বকের যত্ন নিতে অসাধারণ কাজ করে।
- স্কিনকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করার সাথে সাথে মুখে জমা ময়লা দূর করে নিমেষে।
- ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এটি।
- তাছাড়া স্কিন কেয়ার রুটিনে এটি বেস্ট ট্রিটমেন্ট বলা হয়।
- ড্রাই স্কিনকে সফট ও গ্লোয়িং করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
- নিয়মিত যদি কেউ ফেস মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে তিনি যেকোনো ধরনের স্কিনের প্রবলেম থেকে শত যোজন দূরে থাকবেন।
![apply face cream](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2019/12/use-face-mask.jpg)
অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ফেস মাস্ক
ফেস মাস্ক নানা ধরনের হয়। রেডিমেড ফেস মাস্ক সিট কিনতে পাওয়া যায়। আবার ক্রিমের আকারেও হয়। তবে সবচেয়ে কার্যকরী যদি বলা হয়, তাহলে ঘরে বানানো ফেস মাস্কে সবার উপরে রাখতে হবে। এটি কিভাবে বানাবেন ও কি করে ব্যবহার করবেন জেনে নিন স্টেপ বাই স্টেপ।
উপকরণ
- অ্যালোভেরা জেল
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল
কিভাবে বানাবেন
- এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ও একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফাটিয়ে তা থেকে তেল বের করে একসাথে মিশিয়ে নিন।
- রেডি আপনার ফেস মাস্ক। এই পরিমাণটি একবার ব্যবহারের জন্য।
- রোজ মাখার আগে এটি করে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
- অনেকটা পরিমান বানিয়ে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
- রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করুন।
- মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন এটি অ্যাপ্লাই করার আগে।
- হাতের তালুতে ফেস মাস্কটি নিয়ে হালকা হাতের চাপে মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান।
- ৫ মিনিট মত হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন মুখ।
- সকালে উঠে নর্মাল জলে মুখ ধুয়ে নিন।
- স্কিন খুব ড্রাই হলে রোজ করুন। আর যদি কম ড্রাই হয় তাহলে একদিন অন্তর একদিন ব্যবহার করুন।
- চাইলে সারা বছর এটি ব্যবহার করতে পারেন। স্কিনের জন্য এটি খুবই কার্যকরী একটি মাস্ক।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনেকেই অ্যালোভেরা জেলে ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলে অ্যালার্জি থাকে। তাই ব্যবহারের আগে একবার কানের পাশে লাগিয়ে দেখে নেবেন। ২৪ঘণ্টার মধ্যে যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে এটি ব্যবহার করবেন। কোন রকম চুলকানি বা র্যাশের লক্ষণ দেখা দিলে এটি ব্যবহার করবেন না।
মন্তব্য করুন