একটা খুব ভালো পোশাক দেখলেন। কিনতে খুব ইচ্ছে হল, টাকাও রয়েছে পকেটে। কিন্তু ট্রায়াল রুমে গিয়েই সব ইচ্ছে মাটি হয়ে গেল। ভুঁড়িটা যে বোঝা যাচ্ছে দিব্যি। এই ভুঁড়ি নিয়ে আপনি না করতে পারেন স্টাইল, না আপনার রোজকার ব্যস্ত জীবনের সাথে তাল রাখতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা এই ভুঁড়ি, যা কিনা অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে হয়েছে, তা তো অনেক রোগকে ডেকে আনছে। তাই আপনি ভুঁড়ি কমানোর কথা ভাবুন আজ থেকেই, তাও টাকা খরচ করে জিমে গিয়ে নয়, বাড়িতেই সহজে ঘরোয়াভাবে।
১. রোজ সকালে লেবুর জল খান
এটা হয়তো আপনি রোজই খেয়ে থাকেন। এটা কিন্তু খুব ভালো ভাবেই আপনার মেদ গলাতে সাহায্য করেন। লেবু খুব ভালো ভাবেই জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। তাই রোজ সকালে অল্প গরম জলে একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খান। চিনি দেবেন না, পরিবর্তে দিন মধু। নিয়মিত খান, উপকার পাবেন।
২. রসুন খান
লেবুর রস তো খাবেন, তার আগে খান রসুন। রোজ সকালে খালিপেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন। তারপর খান লেবুর রস। দেখবেন এতে আরও ভালো ফল পাচ্ছেন। রসুন খুব ভালোভাবে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন একটু কষ্ট করে।
৩. ধনেপাতার জল
ধনেপাতা রান্নায় তো আলাদা স্বাদ আনে জানেনই। কিন্তু চর্বি কমাতেও কাজ দেয় জানতেন কি? না নিশ্চয়ই। তাহলে আপনি ধনেপাতার জল রোজ সকালে খালিপেটে খেয়ে দেখুন।
উপকরণ
ধনেপাতা পরিমাণমতো, লেবুর রস ২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, গরম জল ১ কাপ।
পদ্ধতি
প্রথমে ধনেপাতা থেকে রস বের করে নিন। এবার এতে লেবুর রস আর গরম জল দিন। সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটা রোজ সকালে খান আর খাওয়ার ৪০ মিনিট পর সকালের খাওয়া খান। দেখবেন কত্ত তাড়াতাড়ি আপনি ভুঁড়ি থেকে মুক্তি পাবেন।
৪. অ্যালোভেরা আর আদার জল
অ্যালোভেরার যে হরেক গুণ আপনার ত্বক আর চুলের জন্য তা তো জানেনই। কিন্তু এবার একে কাজে লাগান আপনার ভুঁড়ি কমাতে। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন হাতে-নাতে।
উপকরণ
অ্যালোভেরার রস ১/৪ কাপ, আদা কয়েক টুকরো, শসার রস ১/২ কাপ, গরম জল ১ কাপ।
পদ্ধতি
বাড়িতে অ্যালোভেরার গাছ থাকলে সবচেয়ে ভালো। তার থেকে রস বের করে নিন। এতে এবার আদার কুচি আর শসার রস দিন। তারপর গরম জল মিশিয়ে নিন। এটা আপনি রোজ রাতে ডিনারের এক ঘন্টা পর খেয়ে নিন। এক সপ্তাহেই ফল পেতে শুরু করুন।
৫. গোটা জিরের জল
রান্নার পাশাপাশি গোটা জিরে আপনার ক্যালোরিও খুব সুন্দর করে কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি জিরেকে ব্যবহার করুন রোজ আর সুন্দরভাবে ভুঁড়ি কমাতে থাকুন।
উপকরণ
পরিমাণ মতো গোটা জিরে।
পদ্ধতি
গোটা জিরে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই জল ছেঁকে নিয়ে আপনি এটা গরম করে নিন। এবার এই জলটা সারাদিনে তিন বার খান। ভুঁড়ি কমা কাকে বলে আপনি দেখতে পাবেন।
কিন্তু শুধু এগুলো করলেই হবে না। ভাত খাওয়া কমাতে হবে, জাঙ্ক ফুড, তেল-ঝাল কম খেতে হবে। একটু ব্যায়াম করতে হবে আর প্রচুর জল খেতে হবে। তাহলেই দেখবেন আপনার ভুঁড়িও কমবে, আপনি স্লিম আর সেক্সি হয়ে উঠবেন।
স্বাস্থ্য টিপস—বাতের ব্যথা থেকে আরাম পেতে ৩টি ঘরোয়া তেল মালিশ
মন্তব্য করুন