কি,রাতের বেলা খাবার তো খাচ্ছেন,কিন্তু নিশ্চয়ই সকালে উঠেই আপনার হজমের সমস্যা হচ্ছে!তারপর গ্যাস-অম্বলের জ্বালায় ওষুধ খেতে খেতে আপনি নিশ্চয়ই নাজেহাল?রাতের বেলা ঠিক ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাবার খাওয়া কিন্তু এমনিতেই ভালো না।তারপর আপনার মেনুতে যদি এই ঠাণ্ডায় এই খাবারগুলো থাকে,তাহলে কিন্তু আরও খারাপ।তার চেয়ে দেখে নিন,শীতকালে রাতের বেলা কোন ৬টি খাবার খেতে নেই।
১. দুধ
মানছি দুধ খাওয়া খুবই উপকারী।কিন্তু রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়া একদম উচিত নয়।কারণ এতে থাকা ল্যাক্টোজ আপনার রাতের খাওয়া হজমে সমস্যা করতে পারে।এর ফলে আপনার কিন্তু ঘুমোতেও নানা অসুবিধা হতে পারে।তাই যদি দেখেন রাতে দুধ খেলে আপনার সমস্যা হচ্ছে,তাহলে বরং রাতে দুধ খাওয়া এড়িয়ে দিনের অন্য কোনো সময়ে দুধ খান।
২. চকোলেট
রাতের বেলা খেয়ে দেয়ে চকোলেট খাওয়ার যদি আপনার অভ্যেস থাকে,তাহলে কিন্তু সেই অভ্যেস এবার ছাড়ুন।চকোলেটে থাকা অতিমাত্রায় চিনি আর ক্যাফেইন আপনার ঘুমের সমস্যার কারণ হতে পারে,ঠিক যে কারণে রাতে কফি খেতে বারণ করা হয়।আর তাছাড়া রাতের বেলা চকোলেট খেয়ে শুলে দেখবেন পরের দিন গোটা দিনটা কেমন আপনার আলস্য লাগছে।
৩. পিৎজা
বাইরে ডিনার করতে গেলেন,রাতের বেলা আপনি দিব্যি পিৎজাও খেয়ে নিলেন ভালো লাগে বলে।কিন্তু আপনি কি জানেন,যে পিৎজা রাতের বেলা খাওয়া কিন্তু মোটেই কাজের কথা নয়।কারণ পিৎজাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি আর ট্র্যান্স ফ্যাট সহজে হজমই হতে চায় না।আর তার ফলে হজমের নানা গোলমালও কিন্তু হতে পারে।তাই ঠিক ঘুমোতে যাওয়ার আগে পিৎজা খাবেন না।আর যদি খেতেই চান,তাহলে না হয় ঘুমোতে যাওয়ার বেশ খানিকক্ষণ আগে খান।
৪. ফ্রুট জুস
বিদেশীদের কায়দায় আপনি কি এক গ্লাস ফলের রস খেয়ে ঘুমোতে যান নাকি রোজ?সাবধান।এই অভ্যেস কিন্তু আপনার পরের দিনের গ্যাস আর অম্বলের কারণ হতেই পারে।কারণ ফলের রসে থাকা অ্যাসিড খুব সহজেই হজমের গোলমাল করে।আর তাছাড়া মাঝরাতে যদি বুক জ্বালা করতে শুরু করে,তাহলেও কিন্তু ফলের রসের কারণেই হতে পারে।তাই সুস্থ থাকতে না হয় ফলের রস রাতের বেলা না খেয়ে অন্য কোনো সময়ে খান।
৫. অ্যালকোহল
শীতকাল,তাই খেয়ে দেয়ে রাতের বেলা দিব্য এক পেগ তো খেলেন।ঘুমটা বেশ ভালো হবে বলেও ভাবলেন।কিন্তু সেটা মোটেও কাজের কথা নয়।কারণ অ্যালকোহল আপনার অসোফেগাস আর পেটের মধ্যেকার ভালভকে রিল্যাক্স করে দেয়।আর তার ফলে কিন্তু খুব সহজেই খাবার হজম না হয়ে বমি হয়ে যেতে পারে।তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ‘বদ’ অভ্যেসটা এবার ছেড়েই দিন।
৬. সোডা
গ্যাস বা অম্বল হলে কি কয়েক ঢোঁক কোল্ড ড্রিঙ্কস খেয়ে ফেলেন নাকি? ভাবেন নিশ্চয়ই যে ওতে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড আপনার অম্বলকে তাড়াতাড়ি কমিয়ে দেবে।কিন্তু সোডায় অম্বলকে আরও বেশী করে বাড়িয়ে দিতে পারে।আর সোডায় থাকা অ্যাসিড আপনার পেটের ভালভকেও শিথিল করে দেয়,ফলে রাতের বেলা পেট ফোলার সমস্যাও হতে পারে।
তাই এবার থেকে রাতের বেলা খান,কিন্তু বুঝে শুনে খেতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন শীতের বেলা পার্টির মরশুমে হেলদি অ্যান্ড ফিট থাকা কিন্তু জরুরী।
মন্তব্য করুন