টিভিতে ‘ সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন’ আমাদের সবার শোনা। এই বর্ষাকালে সারাদিন ভিজে পায়ে থেকে এখন পা চুলকাচ্ছে তো! বা ধরুন সামনেই শীতকাল আসছে। তখন কনুইতে হাত দিয়ে দেখবেন খসখস করছে। তা অনেক দামী জিনিসই তো ব্যবহার করলেন। এবার না হয় কম দামের বোরোলিনকে একটু আপনার সঙ্গী করে দেখুন। দিন থেকে রাত যে কোনো সময়ে শুধু একটুখানি বোরলিনই সব মুশকিল আসান করে দেবে আপনার। তাহলে দেখে নিন বোরোলিনের কামাল।
প্রোডাক্ট হিসাবে
আমরা তো নানারকমের ক্রিম ব্যবহার করেই থাকি। পরিবর্তিত ঋতু অনুযায়ী আমাদের শরীরের চাহিদারও পরিবর্তন হয়। যেমন ধরুন বর্ষাকালে তো আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায় না, কিন্তু, শীতকালে তা হয়। ত্বক শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে যায় এইসব হয়। তাই আমাদের নানারকমের ক্রিম ব্যবহার করতে হয় সময় অনুযায়ী। ভাবুন তো যদি এমন একটা কিছু আমাদের হাতের সামনে থাকে যা সব সময়ে সমানভাবে উপযোগী হবে তাহলে কেমন হয়! বোরোলিন আসলে সেইরকমই একটি প্রোডাক্ট।
ক্ষত বা অন্য ক্ষেত্রে
আপনার শরীরের কোথাও কেটে গেছে। কী করবেন যাতে ইনফেকশন না হয়! যে কোনো সাধারণ বাঙ্গালীর একটাই ভরসা-বোরোলিন। কেটে যাওয়া জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে সেখানে বোরোলিন দিয়ে রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে রক্ত পড়া বন্ধ। বা ধরুন আপনার হাতে বা পায়ে কোথাও কড়া পড়েছে। খুব শক্ত হয়ে গেছে জায়গাটা, ব্যথা করছে। কী করবেন! বোরোলিন হালকা গরম করে দিলেই উপকার পাবেন। এই একইরকম কষ্ট হয় গুফো হলে। সেখানেও বোরোলিন খুব ভালো কাজ করে। অনেকসময় আমাদের অনেক বিষাক্ত পোকা কামড়ায়। খুব ব্যথা করে, জ্বালা করে ওইসময়ে। বোরোলিন গরম করে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
বর্ষাকালের যত্নে
এ তো গেল কাটা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ। এবার রূপচর্চার ক্ষেত্রে আসা যাক। বর্ষাকালে আমাদের সবাইকেই বাইরে বেরোতে হয়। বৃষ্টি বলে তো ঘরে বসে থাকা যায় না। বাইরে বেরোলেই রাস্তার জমা জল, কাদা লেগে ফাংগাল ইনফেকশন হতে পারে। তাই বাড়ি এসে ভালো করে পা ধুয়ে রাতে শোবার সময়ে একটু বোরোলিন মাখলে এই সমস্যা হবে না।
শীতের সুরক্ষায়
শীতকালে আমাদের সবার প্রধান সমস্যা হল ঠোঁট ফাটা। অনেকসময় ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়ে, খেতে গেলে বা হাসতে গেলে, কথা বলতে গেলে ব্যথা করে। তাছাড়া দেখতেও তো খারাপ লাগে। শুধু ঠোঁট কেন, গোড়ালিও তো ফেটে যায়। সেখানেও জ্বালা করে। তাছাড়া যেহেতু পা সরাসরি মাটির সংস্পর্শে আসে তাই সেখানে রোজ ধুলো, ময়লা ঢুকে ইনফেকশন হতে পারে। কোনো ব্যাপার নয়। শীতের শুরু থেকেই বোরোলিন ব্যবহার করলে দেখবেন আর ঠোঁট ফাটবে না, গোড়ালিও ঠিক থাকবে। তাছাড়া শুধু শীতকাল কেন! আমাদের যাদের ড্রাই স্কিন তাদের সবসময়তেই স্কিন খসখসে হয়ে যাওয়ার ঝোঁক থাকে। তাই যদি সারাবছর ধরেই বোরোলিন মাখা যায় তাহলে সেই সমস্যা আর হবে না।
রাতের পরিচর্যায়
বোরোলিন খুব ভালো নাইট ক্রিম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অনেকেরই সকালে উঠে নিজেকে দেখে ফ্রেস লাগে না। মনে হয় যেন মুখে কোনো ঔজ্জ্বল্য নেই। কার ভালো লাগে বলুন তো সকালে উঠেই এধরনের মুখ দেখতে! তাই রোজ রাতে ব্যবহার করুন বোরোলিন। এটা শুধু ওই শুকিয়ে যাওয়া ভাবটাই কাটায় না, তার সঙ্গে সঙ্গে স্কিনকে ভেতর থেকে মজবুত করে। ত্বকের পি এইচ লেভেল ঠিক রাখে।
তাহলে আজ রাতে বোরোলিন মাখতে ভুলবেন না যেন! জাস্ট কয়েক মিনিটেরই তো ব্যাপার। আশা করি আপনি আপনাকে এইটুকু সময় দিতেই পারেন। তাহলে আজ থেকে ফাটা ত্বককে গুড বাই বলুন আর বোরোলিনকে আপন করে নিন।
মন্তব্য করুন