ভাতের পাতে বা রুটির সঙ্গে আচার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। অনেকে আবারা সারা বছরই বাড়িতে আচার রেখে দেওয়া পছন্দ করেন। তবে আপনার কি ঝাল ঝাল লঙ্কার আচার খুব পছন্দ? তাহলে আজকের রেসিপি কিন্তু খাস আপনাদের জন্য। কারণ আজ আপনাদের জন্য রইল অসমিয়া স্টাইলে ভূত জলকিয়া বা রাজা মিরচি আচারের রেসিপি।
উপকরণঃ
- গোস্ট চিলি বা ভূত জলকিয়া – ২০-২৫টি
- জিরে – ২ চামচ
- মৌরি – ২ চামচ
- কালো জিরে – ২ চামচ
- মেথি বীজ – ১ চামচ
- সর্ষের দানা – ৩ চামচ
- সর্ষের তেল – দেড় কাপ
- নুন – ১ চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চামচ
- ভিনিগার – ২-৩ চামচ
প্রণালীঃ
সবার প্রথমে লঙ্কাগুলির বোঁটা ছাড়িয়ে আলাদা করে রাখুন। এবার লঙ্কাগুলি একটা গ্রাইন্ডারে ভরে নিয়ে একটা স্মুদ পেস্ট বানিয়ে নিয়ে সরিয়ে রাখুন।
এবার একটি ফ্রাই প্যানে একে একে জিরে, মৌরি, কালো জিরে, মেথি বীজ, সর্ষের দানা নিয়ে সেটাকে ড্রাই রোস্ট করে নিন এর জন্য ২ থেকে ৩ মিনিট মতো এটিকে প্যানে নাড়াচাড়া করুন। এখন শুকনো খোলায় ভাজা গোটা মশলাগুলিকে একটি গুঁড়ো করে নিন।
এবার একটি কড়াই নিয়ে তাতে সর্ষের তেল গরম করেথেকে গরম ধোঁয়া উঠছে। ধোঁয়া উঠলে কড়াইটা নামিয়ে নিন। এবার এই তেলটিকে সামান্য ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এর মধ্যে ড্রাই রোস্ট করা মশলার গুঁড়ো পুরোটা দিয়ে দিন। এরপর এর মধ্যে নুন যোগ করুন। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো। এবার মশলাটাকে তেলের সঙ্গে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন, যাতে সমস্ত তেলটার সঙ্গে মশলাটা ভালো করে মিশে যায়।
এরপর এর মধ্যে আগে থেকে বেটে রাখা গোস্ট চিলি বা ভূত জলকিয়ার পেসস্টটা ওই তেলের মধ্যে দিয়ে দিন। আবারও একবার ভালো করে মিক্স করে নিন। তেল, মশলা এবং লঙ্কাটা যাতে সবটা ভালোভাবে মিশে যায়। মিশিয়ে নেওয়ার পর মিশ্রণটা ভালো করে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
ঠান্ডা হয়ে গেলে আচারের মধ্যে দিয়ে দিন ভিনিগারটা। দেখবেন আচারটা আগের থেকে অনেকটা ঘন হয়ে গিয়েছে। ভিনিগারটা দেওয়ার পর সেটা যাতে সুন্দরভাবে মিশে যেতে পারে, তার জন্য খুন্তি দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার আচারটাকে একটি কাঁচের শিশিতে ভরে রেখে দিন।
ভাতের পাতে একটু নিয়ে জমে যান ভূত জলকিয়া বা রাজা মিরচি আচারের স্বাদে। এইভাবে কাঁচের বয়োমে ভরে আচার রাখলে আপনারা সেটাকে ১ বছর পর্যন্ত রেখে খেতে পারেন, আচারের স্বাদে কোনও বদল আসবে না।
মন্তব্য করুন