৪১. শ্রীশৈল
বাংলাদেশের সিলেটের ৩ কিমি উত্তর-পূর্বে দক্ষিণ সুর্মার কাছে জৈনপুর গ্রামে এই তীর্থস্থান অবস্থিত। এখানে দেবীর কন্ঠ পতিত হয়। দেবীর নাম এখানে মহালক্ষী। ভৈরব সম্বরানন্দ নামে পরিচিত।
৪২. শূচি

তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী-ত্রিবান্দ্রম রোড ধরে ১১ কিমি শূচিন্দ্রামে এক শিব মন্দিরে এই শক্তিপীঠ। এখানে দেবীর ওপরের দাঁত পতিত হয়। দেবী নারায়ণী নামে পূজিতা। ভৈরবের নাম সংহার।
৪৩. সুগন্ধা
বাংলাদেশের বরিশাল জেলার ২০ কিমি দূরত্বে শিকারপুরে দেবীর নাক পতিত হয়। দেবীর নাম সুগন্ধা। ভৈরবের নাম ত্রয়ম্বক।
৪৪. উদয়পুর

ত্রিপুরার উদয়পুর অঞ্চলের থেকে সামান্য দূরত্বে রাধাকিশোর গ্রামের কাছে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির। এখানে দেবীর দক্ষিণ পা পতিত হয়। দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী নামে প্রসিদ্ধ। ভৈরবের নাম ত্রিপুরেশ। ১৫০১ বঙ্গাব্দে রাজা ধন্যমাণিক্য দ্বারা এই মন্দির নির্মিত হয়।
৪৫. মঙ্গলকোট
বর্ধমানের গুসকরা স্টেশনের থেকে ১৬ কিমি দূরত্বে এই তীর্থস্থান। এখানে দেবীর ডান হাতের কবজি পতিত হয়। দেবী মঙ্গলচন্ডিকা নামে পূজিতা। ভৈরবের নাম কপিলাম্বর।
৪৬. বারানসী

কাশীর মনিকর্নিকা ঘাটের কাছে পবিত্র গঙ্গার তীরে এই শক্তিপীঠ। এখানে দেবীর কানের দুল পতিত হয়। দেবী বিশালাক্ষী বা মনিকর্নিকা নামে অধিক পরিচিত। ভৈরবের নাম কালভৈরব।
৪৭ বিভাস
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের কাছে দেবীর বাম পায়ের গাঁট পতিত হয়। দেবীর নাম কপালিনী বা ভীমরূপা। ভৈরব সর্বানন্দ নামে প্রসিদ্ধ। এই মন্দিরকে বর্গভীমা মন্দিরও বলা হয়। এই মন্দির ১১৫০ বছরের পুরনো।
৪৮ ভরতপুর

রাজস্থানের ভরতপুরের কাছে বিরাট নগর জেলায় এই তীর্থস্থান। এখানে দেবীর বাম পায়ের পাতা পতিত হয়। দেবী অম্বিকা নামে পরিচিতা। ভৈরব অম্রিতেশ্বর নামে পূজিত।
৪৯ বৃন্দাবন
বৃন্দাবনের ভূতেশ্বর রোডের কাছে এই স্থানে দেবীর চুলের আভূষণ পতিত হয়। এখানে দেবীর নাম উমা। ভৈরবের নাম ভূতেশ। বর্তমান মন্দিরটি ১৯২৩ সালে যোগীরাজ স্বামী কেশবানন্দ দ্বারা স্থাপিত হয়। এই মন্দিরে একটি বড় তলোয়ার আছে যাকে উচ্ছল চন্দ্রহাস বলে। দেবী উমাকে এখানে যোগমায়া রূপেও পুজো করা হয়।
৫০ জলন্ধর

পাঞ্জাবের জলন্ধর স্টেশনের থেকে দেবী ‘তলবের’ দিকে এই তীর্থস্থান। এখানে দেবীর বাম স্তন পতিত হয়। দেবীর নাম ত্রিপুরমালিনী। ভৈরব ভীষণ নামে পরিচিত। এখানে একটা বড় কুয়ো আছে, যার বয়স মন্দিরেরই সমান। তাই এই মন্দিরকে তলব মন্দির ও বলা হয়।
৫১ বৈদ্যনাথ ধাম
ঝাড়খন্ডের বৈদ্যনাথ ধামে দেবীর হৃদয় পতিত হয়। এখানে দেবী জয়দুর্গা নামে পূজিতা। ভৈরবের নাম বৈদ্যনাথ। বৈদ্যনাথ মন্দিরের বিপরীতেই জয়দুর্গা মন্দির। উভয় মন্দির ওপরের অর্থাৎ চূড়ার লাল সুতো দ্বারা সংযুক্ত। বলা হয় কোন দম্পতি যদি এইভাবে লাল সুতো বাঁধে তাহলে তারা খুব সুখী হয়। এখানে শ্রাবণ ও মাঘ মাসে অনুষ্ঠান হয়। দেবী এখানে দুই রূপে পূজিতা হন- ত্রিপুরাসুন্দরী ও ছিন্নমস্তা। এটি একটি সিদ্ধপীঠ।
এই হল হিন্দুদের পবিত্র ৫১ সতীপীঠ। এই শক্তিপীঠে ভ্রমণ, দেবী দর্শন ও সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক শোভা মানুষের জীবনে আনতে পারে প্রশান্তির বোধ।

মন্তব্য করুন