পেঁপে এক ধরনের ফল। তবে পেঁপেকে ফল ও সবজি দুই বলা যেতে পারে। কারন কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। আবার পাকা পেঁপে ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁচা পেঁপের বাইরের দিক গাঢ় কালচে সবুজ রঙের। তা পাকলে খোসা সহ কমলা রং ধারন করে। পেঁপে খুবই পুষ্টিকর মানবদেহের জন্য। পেঁপের আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী। বাংলায় পেঁপে খাওয়ার চল অন্য জায়গার থেকে বেশি।
১০০ গ্রাম পাকা পেঁপের পুষ্টিগুণ হল যথাক্রমে প্রোটিন ০.৬ গ্রাম, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, মিনারেল ০.৫ গ্রাম, ফাইবার ০.৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেড ৭.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম।
চাষ মাটি জলবায়ু
জলবায়ু অনুসারে গ্রীষ্মকালের ফসলগুলোর মধ্যে পেঁপে অন্যতম। পেঁপের চাষাবাদের জন্য এ সময়টাই হচ্ছে সবচেয়ে উপযুক্ত। এ ছাড়া সারা বছরই পেঁপে চাষ হয়ে থাকে। জমিতে এবং বাড়ির উভয় স্থানেই পেঁপে চাষ করা হয়ে থাকে। মাটির অঞ্চল ভেদে রয়েছে মাটির গুণ।
তবে দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উপযোগী। পেঁপের চারা প্রথমে রোপণ করা হয়। চারা রোপণের সময় এপ্রিল মাস। পেঁপের চারা রোপণে উপযুক্ত সময়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও পেঁপের চারা রোপণ করা যায়। চারা রোপণের ৩ মাসের মধ্যেই ফুল আসে গাছে। ফল ধরার ২-৩ মাসের মধ্যেই পেঁপে জন্মায়।
পেঁপের গুনাগুণ
হজমকারী হিসেবে পেঁপে শরীরের জন্য উপকারি। পেঁপেতে পেপেইন নামে প্রাপ্ত উপাদান থাকে যা প্রোটিনকে হজম করে সহজেই। ফলে সমগ্র পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে। ওজন কমাতে পেঁপে বেশ সহায়ক।
পাকা পেঁপে অর্শ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের থেকে উপকৃত করে। পেঁপে পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কম করে দেয়। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পাকা পেঁপে ধূমপানের কুফল এড়াতে সাহায্য করে।
ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খুবই প্রয়োজন শরীরের জন্য। শরীরের মেদ কমাতে যারা চান তাদের খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখুন। এতে একদিকে যেমন কম ক্যালরি থাকে, অন্যদিকে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সবজি হিসেবে পেঁপে কার্যকরী। ভিটামিন ‘এ’ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধেও পেঁপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়া পেঁপের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো বয়সের ছাপ দূর করে। নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা কমে যায়।
মন্তব্য করুন