সারা দেশময় চলছে গরমের প্রভাব। এপ্রিল মাস জুড়ে এই ভ্যাপসা গরম চলবে টানা জুলাই অব্দি। গরমের এই দাবদাহ থেকে নিজেকে যদি সুস্থ রাখতে চান তাহলে আমাদের দেওয়া যাদুমন্ত্র অবশ্যই দেখে নিন। তীব্র এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কারন গরমকাল মানেই রোগের সম্ভাবনা বেশি। তাই এই গরমে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করুন।
গরমের সাথে মোকাবিলা করার প্রাথমিক কিছু উপায়
গরমকালে চেষ্টা করুন দিনের বেলায় বাইরে কম যাতে যেতে হয়। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে দূরে থাকাই ভালো। দিনের বেলায় ১১ টা থেকে দুপুর ৩ টে, এই সময় সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। তাই এই সময় চেষ্টা করবেন যাতে ঘরের ভেতর থাকতে পারেন।
বাইরে আমাদের সবাইকে কমবেশি যেতে হয়। তাই খেয়াল করে বাইরে বেরনোর সময় অবশ্যই জলের বোতল সঙ্গে নিয়ে যাবেন। আসলে গরমকালে আমাদের শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় ঘামের আকারে। বিশেষ করে বাইরে গেলে অধিক মাত্রায় ঘাম হয়। ফলে শরীরে জলের মাত্রা হ্রাস পায়। ফলে নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণের জন্য জল পান করুন চাহিদা অনুযায়ী।
বাইরে থাকুন বা ঘরে জল পান করুন বেশি করে। তাছাড়া ডাবের জল, লেবুর জুস, দইয়ের ঘোল, ফলের রস পান করুন জলের অভাব পূরণ হবে। ফলে শরীর আর্দ্র থাকবে।
গরমকালে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তেল বা মশলা কম দেওয়া খাবার খান। চর্বি বা মাংস জাতিও খাবার না খাওয়া ভালো। বাইরের খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাস্তার কাটাফল, জল, ঠাণ্ডা পানি, এসব ভুলেও খাবেন না। শরীর খারপ হবার সম্ভাবনা থাকে।
গরমকালে বেশি সমস্যা দেখা দেয় যারা কাজের জন্য বা কোন কারনবশত বাইরে যান। বাইরে গেলে অবশ্যই রোদের থেকে চোখের যত্ন নিতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। ছাতা, টুপি বা এরকম ধরনের জিনিস ব্যবহার করুন। চোখ সুরক্ষিত থাকবে। গরমকালে হওয়া নানা রকমের চোখের ইনফেক্সান হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
গরমকালে শরীরে ঘাম বসে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সুতির কাপড়ের তৈরি পোশাক পরাই ভালো। খাদির কাপড়ের পোশাক পরা যেতে পারে। জর্জেটের, সিল্কের, পলিস্টারের কাপড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে বেরোলে হালকা রঙের পোশাক পরুন। কালো রঙের পোশাক পরে বাইরে না বেরোনোই বেটার। কালো রঙ সূর্যের আলো জলদি শোষণ করে নেয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ঘামাচি হবার সম্ভাবনা থাকে। চেষ্টা করুন সাদা, হালকা নীল, ধূসর, বাদামী রঙের পোশাক পরতে।
বাইরে থেকে ঘরে এসে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা জল পান করবেন না। শরীর তাপমাত্রার এই আচমকা বদল নিতে পারে না। তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর ঠাণ্ডা জল পান করুন। চেষ্টা করবেন নর্মাল জল পান করার।
এ.সিতে গরমকালে থাকার আরাম আছে ঠিকই কিন্তু এই আরাম আপনার ব্যরামের কারন হতে পারে সেটা কি জানেন! বাইরের নর্মাল টেম্পারেচার থেকে এ.সি রুমের টেম্পারেচারের তফাৎ থাকে। ফলে শরীর খারপ হবার সম্ভাবনা থাকে। বাইরে থেকে এসে বা এমনি যদি এ.সি রুমে থাকতে চান, তাহলে নর্মাল টেম্পারেচারের থেকে ৫ বা ৬ ডিগ্রির মত তফাতে এ.সি রুমের টেম্পারেচার রাখুন। বেটার হবে শরীরের জন্য।
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তারা গরমকালে হালকা ব্যয়াম করুন। ভারি ব্যয়াম বা এক্সসারসাইজ না করা ভালো। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ব্যয়াম বা এক্সসারসাইজ করলে। গরমকালে তা শরীরের জন্য ভালো না। পারলে সকালে অল্প মর্নিংওয়াক করুন বা সুইমিং করতে পারেন শরীর ফিট রাখার জন্য।
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক সবাই জানেন। গরমকালে তা শরীরের জন্য আর বেশি ক্ষতিকারক। চেষ্টা করুন ধূমপান না করার। দেখবেন সুস্থ থাকবেন।
ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী গরমকালে। রোদের থেকে নানা সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকে। রোদে বেড়োলে অবশ্যই সান্সক্রিম ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে এসে ভালো করে চোখে মুখে জল দিন।
মন্তব্য করুন