প্রতিদিন একঘেয়ে রান্নায় নিশ্চয় বোর হয়ে উঠেছেন। নতুনত্ব কিছু ট্রাই করতে মন চাইছে। কিন্তু একঘেয়ে সবজি খেতে খেতেও হাঁপিয়ে উঠেছেন?
তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন এক সুস্বাদু ঝিঙে ভর্তার রেসিপি, যা দিয়ে দিব্যি এক থালা ভাত খেয়ে ফেলতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণঃ
- ঝিঙে – ৫০০ গ্রাম
- সর্ষের তেল – ২ টেবিল চামচ
- শুকনো লঙ্কা -২ টো
- কালো জিরে – আধ চা- চামচ
- কুচোনো পেঁয়াজ – ১টি (মাঝারি মাপের)
- রসুন ও কাঁচালঙ্কা বাটা (১ টেবিল চামচ রসুন এবং ৩ টে কাঁচালঙ্কা)
- হলুদ গুঁড়ো – সামান্য
- নুন – স্বাদমতো

প্রণালীঃ
প্রথমে ঝিঙের মাথা ও লেজের অংশটা কেটে নিন। এবার একটি পিলারের সাহায্যে ঝিঙের শিরগুলি ছাড়িয়ে নিন। তারপর ঝিঙের খোসাও ভালো করে ছাড়িয়ে নিন। খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে ঝিঙেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার ছুরি বা বঁটির সাহায্যে ঝিঙেটাকে মাঝ বরাবর লম্বা করে কেটে নিন এবং আধ ইঞ্চি মতো মোটা করে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। বা আপনারা চাইলে ছোট বা বড় টুকরো করেও কেটে নিতে পারেন।
ঝিঙের টুকরোগুলিকে শিলে অথবা মিক্সারে ভালো করে বেটে নিন। বাটাটা যেন মিহি হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গ্যাসে একটি কড়াই গরম করে তার মধ্যে দিয়ে দিন সর্ষের তেল। সর্ষের তেলে এই রান্নার স্বাদ কিন্তু দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিন। এবার তার মধ্যে দিয়ে দিন কালো জিরে। ফোড়নটা ১০ সেকেন্ড মতো নাড়াচাড়া করো ভেজে নিন।
তার মধ্যে দিয়ে দিন কুচোনো পেঁয়াজটা। পেঁয়াজটাকে ভালো করে ফোড়নের সঙ্গে মিশিয়ে ভেজে নিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন রসুন-লঙ্কার পেস্টটা। এবার এই সমস্ত মশলাটা আরও এক থেকে দেড় মিনিটের মতো কষিয়ে নিন। হয়ে গেলে এর মধ্যে পেস্ট করে রাখা ঝিঙেটা দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন স্বাদমতো নুন এবং সামান্য হলুদের গুঁড়ো। ভালো করে সবকিছু আরও একবার মিশিয়ে দিন।এইভাবে ৫ মিনিট মতো রান্না করে নিন।তারপর দেখবেন ঝিঙেতে থাকা জল অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছে। এইভাবে আরও ১০-১৫ মিনিট মতো রান্না করুন, যতক্ষণ না ঝিঙের পুরো জলটা শুকিয়ে যাচ্ছে।
একটা সময় গিয়ে দেখবেন মিশ্রণটা আর কড়াইয়ে লেগে যাচ্ছে না, একটা ঘন মন্ড তৈরি হবে। এবার গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে জমে যাবে ঝিঙে ভর্তা।
সুন্দর একটা রান্না শিখলাম।
আমার মনে হয় সকলের ভালো লাগবেই।
ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।
Bah try korte hoche