অ্যালোভেরা প্রাচীন মিশরের রানী ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের রহস্যের নেপথ্যে থাকার সময় থেকেই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে। সময়ের সাথে এর ভেষজ গুনাগুন আমাদের সৌন্দর্যের অভ্যাস থেকে ডায়েট সর্বত্রই তার ছাপ রেখেছে।
এই অলৌকিক মহৌষধ এর মধ্যে জটিল কার্বহাইড্রেট ও এসম্যানেন থাকে। জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, পটাশিয়াম সবই রয়েছে তার সাথে মজুত। আমাদের রূপের বিশেষ খেয়াল রাখে তাই এর নাম কুমারী যা পরে ঘৃতকুমারী হয়েছে। জীবনের নানাকাজে গৃহস্থালির টুকিটাকি থেকে মারণ রোগ ও হার মানে এর জাদুর কাছে। তো চলুন আজ দেখে নি এর জনপ্রিয়তার ৪০টি উপকারিতা বা বেনিফিট।
১. বডি স্ক্রাব:
- বডি স্ক্রাবিং এর সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। শরীরে সুথিং অনুভূতি দিতে এর জুড়ি নেই। বডি স্ক্রাব এর উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন এলোভেরা ও অলিভ তেলের মিশ্রণ স্নান এর সময়।
- এটা ত্বকের লিপিড কোষ এর পরিমাণ বাড়াবে আর শরীর থেকে সমস্ত জেদি ময়লাও নাশ করবে।
২. ছ্যাঁকা খাবেন না ভুলেও:
- রান্নাঘরে ভাজাভুজি করার সময় গরম তেল ছিটকে আপনার হাতে লেগেছে নিশ্চই বা গরম পাত্রে পড়ে গেছে অসাবধানে হাত। এবার হাতের কাছে হিলিং ক্রিম ও নেই।
- চিন্তার কারণ নেই। এইসময় নিশ্চিন্তে অ্যালোভেরা জেল ওই পোড়া অংশে লাগিয়ে দিন। জ্বালাও করবেনা আর পোড়ার দাগ পড়ার আশঙ্কাও থাকবেনা।
৩. সানবার্ন:
- ভরদুপুরে রোদে বেরিয়ে পড়ার অভ্যেস অনেকেরই আছে। ফলশ্রুতি – নিজের চেহারা আয়নায় চেনা দায় হয়ে পড়ে।
- সান ট্যানিং থেকে বাঁচতে আপনার ভরসা হোক অ্যালোভেরা জেল। এটি মুখ হাত ও গলায় লাগিয়ে নিন ও শুকিয়ে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।এর মেন্থল প্রপার্টিজ সানবার্ন এর বাদামী ভাব দূর করে ত্বককে করে প্রশমিত।
৪. কাটাছেঁড়ার যম:
- প্রকৃতঅর্থেই এটি কাটাছেঁড়ার উপর মন্ত্রের মতো কাজ করে। জেলের সাথে কয়েকটা ভিটামিন ই ট্যাবলেট গুলে একটা পেস্ট বানিয়ে সংরক্ষণ করুন।
- কাটাছেঁড়া হলে লাগিয়ে দেখুন। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তপাত বন্ধ করে আর এন্টি সেপটিক উপাদান জীবাণুর বংশ করে বিনাশ।
৫. পায়ের মাস্ক:
- তুলতুলে বেবিসফ্ট পা জোড়া পাবার ও শো অফের আকাঙ্খা সবারই থাকে। কিন্তু সবার স্বপ্ন পূরণ হয়না। অ্যালোভেরা কিন্তু আপনার সেই সাধ সাধ্যের মধ্যে আনতে পারে।
- ১/২ চামচ ওট মিল,১/২ চামচ কর্ন মিল,১/২ চামচ বডি লোশন ৪ টেবিলচামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে ইউজ করুন নিয়মিত। যথাসময়ে উপযুক্ত ফল পাবেন।
৬. মুখের ঘা:
- অ্যালোভেরা জেল ও হলুদ এর পেস্ট বানিয়ে মুখের ভেতরের অংশে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলে দাঁত মেজে রাতে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে মুখের ঘা গায়েব হয়ে যেতে দেখবেন কথা দিচ্ছি।
৭. হুল এর কাঁটা:
- মৌমাছি বা বোলতা হুল যারই হোক ফুটলে যে আমরা অস্থির হয়ে ব্যাথায় হতবুদ্ধি হয়ে ছটফট করি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
- হুল তুলে দিলে কিন্তু যন্ত্রনা একদম কমে যায়। খালি হাতে সেটা না করে ওই জায়গায় অ্যালোভেরা জেলি লাগিয়ে দিন মিনিট পাঁচেক।
- হুল আপনাআপনি উঠে আসবে আর ওই জায়গায় রাশ চুলকুনি কিছুটি হতে দেবেনা।
৮. এনিমিয়ার মারক:
- এনিমিয়া হলো এমন একটি দুঃসহ রোগ যাতে বেশীরভাগ মহিলাদের আক্রান্ত হবার নজির রয়েছে বিশ্বজুড়েই।
- আয়রন ট্যাবলেট এর সাপ্লিমেন্ট এ অনেকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারা অ্যালোভেরা পিল নিতে পারেন এটা শরীরে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে ফলে এনিমিয়া উধাও হতে বেশি সময় নেয়না।
৯. বাতের সমস্যা প্রতিরোধ:
- ঘরের কাজে বেশি সময় দেয়া এবং একই পজিশনে ওয়ার্ক ফর্ম হোম এর চক্করে কোমরে বা হাঁটুতে পেশীর টান এসে যাওয়া কিন্তু খুবই ন্যাচারাল।
- এই প্রবলেম সলভ করুন নিমেষেই মাংসপেশির উপর ধৈর্য ধরে এলো ক্রিম ম্যাসাজ করে।খিঁচ থেকে পাবেন আরাম।
১০. ফেটে যাওয়া ত্বক এর কেয়ার:
- সাবান, ফেসওয়াশ ইত্যাদির কেমিক্যাল আর ত্বক থেকে আর্দ্রতা গায়েব হয়ে গিয়ে সেটা ফেটে চৌচির হয়ে যায় এবং রুক্ষতাও সঙ্গী হয়।
- সেই শুস্ক ত্বকে দিন অ্যালোভেরা। এটা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ফাঙ্গাল আক্রমন থেকেও রক্ষা করে।
১১. মেকআপ রিমুভার:
- বাইরে ক্যাজুয়াল বেরোনো থেকে পার্টি ইভেন্ট – চোখের রকমারি মেকআপ যেমন- আইশ্যাডো,মাসকারা আমাদের ফ্যাশন রুটিনের হিটলিস্টে থাকে।
- কিন্তু সেই মেকআপ তুলতে আমাদের পড়তে হয় ফাঁপরে। কেমিক্যাল মেকআপ রিমুভার চোখ ও ত্বক দুই এর ক্ষতি করে। তাই অ্যালোভেরা লাগিয়ে নিন এবার চোখের দুটো লিডেই।
- কিছুক্ষন এর মধ্যেই সমস্ত মেকআপ এর গাঢ় রঙ ত্বক থেকে আলাদা করে দেবে এলোভেরা। তখন জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই কাজ হাসিল।
১২. আঁচিল এর পাঁচিল ভাঙ্গুন:
- আঁচিল হলো একধরনের ভাইরাস জনিত সংক্রমণ। এটি মুখের অবাঞ্ছিত অংশে হলে তো কথাই নেই।আপনার মুখের সব সৌষ্ঠবই মাটি।
- পেঁয়াজ এর রস এর সাথে ২ টেবিলচামচ এলো জেল ভালোভাবে মিক্স করে ওই আঁচিল এর অংশে লাগান ও শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। আস্তে আস্তে ওই আঁচিল ছোট হতে হতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
১৩. গোপন অঙ্গের সুস্থতা:
- স্ত্রী রোগ মেয়েদের একটি মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। গাইনকোলজিস্ট এর কাছে ছুটতে হয় এর জন্য হামেশাই। কিন্তু এবার অ্যালোভেরা হবে আপনার মুশকিল আসান।
- পিরিয়ড বা অন্যসময়ে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হলে পরে অ্যালোভেরা জেল টিস্যু পেপার এ নিয়ে ওই স্থানে সাবধানে লাগিয়ে রেখে ওয়াশ করে নিতে পারেন।
- এতে করে ওই জায়গা ড্রাইনেস দূর হবে, পিচ্ছিলতা বজায় থাকে। এর এন্টি ইনফ্লেমেশন প্রপার্টিজ স্রাব এর সমস্যাও মুক্ত করে।
১৪. ক্রনিক স্কিন ডিজিজ থেকে রাহাত:
- একজিমা, দাদ, হাজার মতো ক্রনিক সমস্যা অনেকেরই অস্বস্তি ও যন্ত্রণার উৎস।বহুদিন অনেক ওষুধ প্রয়োগেও ফল পান নি।
- তারা এবার এলভেরার শরণ নিন। এটির এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমস্ত সংক্রমণ দূরে রাখে আর শীতলিকরন উপাদান প্রদাহ রোধ করে।
১৫. শরীর বিশোধক:
- অ্যালোভেরা জিলেটিনাস প্রজাতির অন্তর্গত। তাই এটি শরীরকে শোধন করে টক্সিন বের করে দেয় ঘাম ও মূত্রের মাধ্যমে।তাই এটি শুধু কিছু ছাড়াই গ্রহণ করতে পারেন।
১৬. প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর:
- স্কিনের উপর থাকা মরা কোষ এর স্তূপ দূর করে তাকে পুনর্জীবিত করে তুলুন অর্গানিক এক্সফোলিয়েটর এলোভেরা দিয়ে।
- এর জন্য দরকার ২ টেবিলচামচ এলোভেরা, ২ টেবিলচামচ চিনি ও ১ টেবিলচামচ লেবুর রস। এগুলো একসাথে মিশিয়ে বানিয়ে নিন এক্সফোলিয়েটর।স্কিনের তারুণ্য আবার ফিরে আসবে।
১৭. স্কিন টেক্সচার ধারক:
- আনইভেন স্কিন টেক্সচার ও স্কিনেরটি জোনের মধ্যে অসমান গঠন সামঞ্জস্য প্রায়ই দেখা যায়। এর জন্য সামুদ্রিক লবন, অ্যালোভেরা জেল ও নারকেল তেল একসাথে হাতে নিয়ে মালিশ করতে পারেন মুখের উপর।
- ত্বকের মখমলে ও জেল্লাদার হবার ঠিকানা কিন্তু এই ফর্মুলার মধ্যেই আছে। স্কিন টোন এর উন্নতি ও দাগছোপ এর দূর হওয়াও চোখে পড়বে।
১৮. হাঁপানির দাওয়াই:
- এতদিন জেনে এসেছেন যে অ্যালোভেরা আসল কামাল থাকে তার জেলেই।কিন্তু এর পাতা ও ফ্যালনা নয় কিন্তু।
- হাঁপানির কষ্টে যারা ভুগছেন তারা এর পাতা থেকে জেলি কেটে বার করে সেই পাতা গরম জলে ফুটিয়ে তার ভাপ নিতে পারেন নাক দিয়ে টেনে। অনেক অংশেই শ্বাস প্রশ্বাস এর কষ্ট থেকে রিলিফ পাবেন।
১৯. আন্ডার আর্মস এর জৌলুস:
- আন্ডার আর্মস এর জন্য শেভিং মোটেই ঠিক নয় বরং ওয়াক্সিং অনেক ভালো উপায়। কিন্তু এর পরেও আমাদের আন্ডার আর্মস এ ইরিটেশন লেগেই থাকে।
- এর জন্য এলভেরার সাথে আলুর রস মিশিয়ে লাগান। ওই অঞ্চলে পিগমেন্টেশন নির্মূল করবে ও শুস্ক রাখবে। স্বাভাবিক ভাবে ব্লিচ করে দুর্গন্ধ ও কালচেভাব কাটিয়ে দেয়। তাই এবার হাত তুলুন ভাবনা তুলে রেখে।
২০. মাড়ির যত্ন:
- ভিটামিন সি এর অভাবে বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে দাঁতের মাড়িতে ক্ষয়রোগ বাসা বাঁধে। অনেকসময় সেটা ফুলে যায় আর ইনফ্লেমেশন এর জন্ম দেয়।
- টুথপেস্ট এর সাথে এলো জেল মিশিয়ে দাঁত মাজুন মাড়ির সমস্ত ক্ষয় নিরাময় হবে আর দাঁতের ফাঁকে সরে যাওয়া মাড়ি ও ফিরে আসবে নিজের জায়গায়।
২১. এলো আইস কিউব:
- নামটা শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটা একটা নতুন কিছু উপকরণ। ঠিকই ধরেছেন ফ্রিজে রাখা আইস ট্রেতে বরফ জমানোর সময় তাতে জলের সাথে কিছুটা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে দিন।
- জমে গেলে সেই এলো আইস কিউব ত্বকে মাইল্ডলি ঘষতে পারেন। এটা ত্বকে রিফ্রেশমেন্ট নিয়ে আসবে। আগের থেকে করবে সতেজ ও গ্লোয়ী।
২২. ভিটামিন টনিক সাপ্লিমেন্ট:
- ভিটামিন এর ঘাটতির জন্য টনিক এর সেবন একটি বাঁধাধরা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেককেই এলার্জির কারণে সেই টনিক মুখে তুলতে চাননা।
- তারা একটি অভিনব কাজ করুন। অ্যালোভেরা, তুলসী, আমলকী একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাব দূর হয়।
২৩. ঠোঁটে উজ্জ্বলতা:
- ঠোঁটের চামড়া নরম রাখতে ও তার লাবণ্য ধরে রাখতে আমরা পেট্রোজাত জেলি ব্যবহার করি। কিন্তু এগুলি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হীন হয়না সম্পূর্ণ ভাবে।
- তাই অর্গানিক লিপ কেয়ার হিসাবে অ্যালোভেরা সাথে কিছুটা চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ঠোঁটে এপ্লাই করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ঠোঁট হয়ে উঠবে লাস্যময়ী।
২৪. ওজন হ্রাস:
- আমাদের শরীরচর্চার উপরে ১০% ও আমাদের ডায়েট এবং বিপাকের উপর ৯০% ওজন কমার ব্যাপারটা নির্ভর করে।
- ২চামচ এলোভেরা এক গ্লাস জলে গুলে খেতে পারেন সকালে খালি পেটে। হজম ক্ষমতা ত্বরান্বিত হবে আর অতিরিক্ত মেদ জমতে পাবেনা। ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
২৫. রোগ প্রতিরোধ:
- রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এটি দারুণভাবে কাজ দেয়।শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ায় এবং ভেতর থেকে আপনাকে রাখে সজীব। ফলে সর্দিকাশিতে আপনি চট করে কাবু হয়ে পড়েন না।
- অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং আপনার সুস্থ নীরোগ পরমায়ু বাড়ে।
২৬. কোষ্ঠকাঠিন্য লোপ:
- যাদের এই সমস্যা জেরবার করে তুলছে তারা সকালে ও রাত্রে ১ চামচ অ্যালোভেরা সেবন করতে পারেন। এটি ফাইবার যুক্ত তাই পাকস্থলী ঠান্ডা করে ও রেচন ক্রিয়ার গতি করে স্বাভাবিক।
- কোলাইটিস, আলসার এর মত রোগ ও কাছে ঘেঁষতে পারেনা এটির নিয়মিত গ্রহণে।
২৭. হার্ট চাঙ্গা:
- অ্যালোভেরা কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- হার্ট এর রোগে যারা ভুগছেন তারা সময় নষ্ট না করে এটির ব্যবহার শুরু করুন।করনারী এটাক প্রতিহত করে হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়।
২৮. স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ:
- এলোভেরার জুস পান করা খুবই ফলদায়ী। এতে থাকে এলো ইমোদিন যা স্তন ক্যানসার রোধ করে। তাই মহিলাদের বিশেষত মা হবার পর এটির সেবন ক্যানসার এর রিস্ক কমাতে কাজ দেয়।
২৯. ডায়াবেটিস থেকে ছুটি:
- অ্যালোভেরা এবার আপনার সুগার ফ্রি এর ও ছুটি করে দেবে। ডায়াবেটিস এ যারা ভুগছেন তারা ট্রাই করে দেখুন এলোভেরা।
- এটা রক্তে ইনসুলিন এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি মেলিটাস রোগেও সাড়া মিলেছে এমনটাই দাবি থাইল্যান্ডের এর গবেষনা সংস্থার।
৩০. খুশকির পরিত্রাণ:
- একবার চুল খুলে দিলেই যদি পিঠ সাদা হয়ে যায় খুশকিতে তবে এই অবস্থায় আপনার উদ্ধারকর্তা হবে এলোভেরা।
- ক্যাস্টর অয়েলের সাথে ৩:১ অনুপাতে এলোভেরা মিশিয়ে স্নান এর আগে স্ক্যাল্প এ মালিশ করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।মাথায় ময়লা ও ফ্লেকিনেস থাকবে না।
৩১. বিকল্প মাউথওয়াশ:
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জীবাণুনাশক হলো অ্যালোভেরা। এটি জলের সাথে দিয়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন। মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে আর দাঁতে পোকা ও হবেনা।
৩২. চামড়ার ভাঁজ সরে যাক:
- স্বভাবত চল্লিশের বলিরেখা ত্বকের বার্ধক্য প্রকট করে ত্বককে রুগ্ন ও ফ্যাকাশে করে তোলে। অ্যালোভেরা ও মধুর মিশ্রণ বানিয়ে সেটা মুখমন্ডল এ লাগান ও অপেক্ষা করুন।
- শুকনো হয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। এতে থাকে ভিটামিন এ, বি ও সি যা ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে তারুণ্য ফিরিয়ে আনে।
৩৩. ব্রণের ব্রহ্মাস্ত্র:
- ব্রণ যেন রক্তবীজের বংশধর।কিছুতেই যেতে চায়না। একটা গেলে তার জায়গায় আরো ৩-৪টা বেরিয়ে আসে।
- এর জন্য মধু, ময়দা, লেবু ও এলোভেরার মিশ্রণ একত্রে বানিয়ে ব্রণের উপর দিন তুলোয় করে। এতে ব্রণ আর ফিরবেনা এবং দাগ ছোপ ও দূর হবে।
৩৪. স্পর্শকাতর ত্বক এর যত্ন:
- শসার রস, দই, গোলাপ জল ও এলোভেরা একসাথে দিয়ে একটা ব্যাটার থিক পেস্ট তৈরি করুন।
- এই অর্গানিক পেস্ট ধুলো, বালি, ত্বকের দানা ভাব ইত্যাদির সংস্পর্শে হবে আপনার সুরক্ষাকবচ।
৩৫. অবসাদ চনমনে:
- সারাদিনের ধকল ও ক্লান্তি আপনাকে ভেঙেচুরে রেখে দেয়। ফলে আপনি ঘুম বোধ করেন ও জরুরি কাজ ও সারতে পারেন না।
- অ্যালোভেরা জুস দেহের ক্লান্তি দূর করে। এর মধ্যে থাকা ২০টি এমিনো এসিড বুকজ্বালা ও মাথাধরার লক্ষণ থেকে দেয় উপশম।
৩৬. চুলের নারিশমেন্ট:
- অ্যালোভেরা নিজের যেকোনো হেয়ার অয়েলের সাথে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে নিন। এটির উপকারিতা দ্বিগুন হবে।
- অ্যালোভেরা মাথায় রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে ফলে চুল বেশি পুষ্টি পাবে।
৩৭. মেচেতার দাগ বেদাগ:
- মেচেতার দাগ মুখের শ্রী এর বারোটা বাজাতে ওস্তাদ। এর সহজ সমাধান আপনি ও হাতড়ে বেড়াচ্ছেন এটাও বলাই যায়।
- অ্যালোভেরা জাদু এখানেও। নিমপাতার সাথে এলোভেরা গ্রাইন্ড করে লাগাতে পারেন এর এন্টিসেপটিক গুন জীবাণু মারবে এবং দাগ ও তাড়াবে।
৩৮. স্ট্রেচ মার্কস ভ্যানিশ:
- বেবি হবার দরুন বা অত্যধিক ওজন বেড়ে যাবার সময় তলপেটে স্ট্রেচ মার্কস এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যেটা দূর করতে কালঘাম ছুটে যায়।
- ওষুধ খেয়েও এর থেকে নিস্তার মেলেনি তাও দেখা গেছে। এর থেকে মুক্তির জন্য ডিম, চিনি, সর্ষের তেল ও অ্যালোভেরা জেল একসাথে ফেটিয়ে নিন। সেই মিশ্রণটি তলপেটে দিয়ে মালিশ করুন। দাগ কখন মিলিয়ে যাবে টের পাবেন না।
৩৯. ডার্ক সার্কেল উধাও:
- ডার্ক সার্কেল আপনার চাঁদপানা মুখে গ্রহণ লাগিয়ে দেয় যেটা সাইড এফেক্ট ও বটে।
- মুলতানি মাটি ও এলোভেরা জেল ১:১ চামচ অনুপাতে মিশিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। এটা চোখের তলার টিস্যুকে স্টিমুলেট করে ও দাগ দূর করে আর আপনার সৌন্দর্য ও বজায় থাকে।
৪০. কন্ডিশনার এর বন্ধু:
- চুলের কন্ডিশনার এর সাথে এবার থেকে মেশান খানিকটা অ্যালোভেরা এটা চুলের শাইনিভাবকে আরো ঝলমলে করে একটা বাড়তি এক্স ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে।
- এর আলসিন উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে আর নতুন চুল গজানোর রাস্তা পোক্ত করে দেয়।
মন্তব্য করুন