দেহে অবাঞ্ছিত লোম কারোর ভালো লাগে না। সেই অবাঞ্ছিত লোম তোলার জন্য তাই এখন ওয়াক্সিং (Waxing) করার প্রবনতা দেখা দিয়েছে। কিন্তু খুব অল্প বয়স থেকে ওয়াক্সিং না করাই ভালো।
খুব কম বয়সে শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ হয়না। তার আগেই ভ্যাক্সিন করলে স্কিনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ক্ষতি হয়। অন্তত ১৬ বছরের আগে এটা না করাই শ্রেয়। কারন খুব অল্প বয়সে ত্বক খুব নরম থাকে এবং ত্বকের ভেতরের গঠন সম্পূর্ণ হয় না গঠন চলতে থাকে। তাই সেই সময় ত্বককে আঘাত করলে ত্বকের ক্ষতি হয়।
ত্বক একটি মাত্রা পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে। ওয়াক্সিংএর সময় তাপ যদি ঠিক না থাকে যদি কোন ভাবে খুব বেশি তাপ লাগে, তার ফলে অল্প বয়সে নরম ত্বক পুড়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। এর সাথে সাথে ত্বকের ভেতরের কোষগুলিও ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোষগুলি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। আবার শুধু ত্বকই নয় যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করা হয় তাহলে, হাত পা অর্থাৎ যেখানে ওয়াক্সিং করছেন সেই জায়গাও পুড়ে যেতে পারে। আর খুব বেশি তাপের জন্য ত্বকের গঠনও নষ্ট হতে পারে। কারন ত্বকের ভেতরে বিভিন্ন স্তরগুলি পর পর সজ্জিত থাকে। আর এই অতিরিক্ত তাপে ত্বকের ভেতরের ক্ষতি আমরা সহজে বুঝতেও পারিনা। তাই খুব বেশি তাপে ওয়াক্সিং করবেন না।
খুব কম বয়স থেকেই ওয়াক্সিং করা শুরু করে দিলে দেখা যায় ত্বক লাল হয়ে যাওয়া ফুলে যাওয়া এসব সমস্যা হয়। আবার যদি সেনসিটিভ্ স্কিন হয় তাহলে এই সমস্যাগুলি বেশি হয়। ওয়াক্সিংএর পর অনেক সময় খুব ব্যাথা করে। তাই যাদের সেনসিটিভ্ স্কিন তারা ওয়াক্সিং করার আগে একবার টেস্ট করে নিন। সত্যি আপনার স্কিন এটা নিতে পারবে কিনা প্রয়োজনে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করুন।
ওয়াক্সিংএর সময় যদি নিম্ন মানের প্রোডাক্ট বাবহার করা হয় তাহলেও ক্ষতি হয়। এছাড়া ভ্যাক্সিং করার অন্য সরঞ্জাম যেন পরিস্কার থাকে। ওয়াক্সিং করার আগে দেখে নিন সবকিছু। এগুলি ঠিক না থাকলে কিন্তু ত্বকে ডারমাটাইটিসের মত রোগ হতে পারে। এছাড়াও অ্যালার্জি মারাত্মক ভাবে হয়। যেটা দীর্ঘ মেয়াদি সহজে কমে না। তাই ভালো করে যাচাই করে নিন কারন এগুলো হয় অপরিষ্কার জিনিস ব্যবহার করার ফলে। আর অল্প বয়সে ত্বক খুব সেনসিটিভ হয় যেকোনো জিনিস ব্যবহার করলে এই সব সমস্যা অল্প বয়স থেকেই শুরু হয়ে যায়।
এইসময় লোমকূপগুলি খুলে থাকে সেগুলি আর বন্ধ হয় না। তার ফলে সেই লোমকূপগুলি দিয়ে ধুলোবালি প্রবেশ করে ত্বকের ভেতরে ময়লা জমাট বাধতে পারে। এর ফলে ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে মারাত্মক ভাবে আর চুলকানির মত সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও খুব অল্প বয়সে ওয়াক্সিং করলে ত্বক ঝুলে যাবার সম্ভবনা থাকে খুব বেশি।
দেখছেন তো নিজেকে সাময়িক সুন্দর রাখার জন্য কত ক্ষতি হতে পারে। যেগুলো কিন্তু সাময়িক নয়। তাই যতটা সম্ভব ওয়াক্সিং থেকে দূরে থাকুন আর ১৬ বছরের আহে তো ওয়াক্সিং করাই উচিত নয়। যদি খুব দরকার পরে তাহলে খুব সাবধানে চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়ে করুন।
মন্তব্য করুন