সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্লাটফর্মটি হল ফেসবুক। তাবড় তাবড় সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, বেশিরভাগেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছেই।
আর সোশ্যাল মিডিয়ায় রোজকার জীবনের আপডেটের পাশাপাশি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করা। বর্তমানে ফটো অ্যালবামের চল প্রায় উঠেই গিয়েছে, তার জায়গা নিয়েছে ফেসবুক অ্যালবাম, আর তাই আর পাঁচজনের থেকে নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরতে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারটি হতে হবে অভিনব। কীভাবে করবেন তাহলে? রইলো তার টিপস।
১) রাইট অ্যাঙ্গেল প্রোফাইল পিকচার
খুব সহজ এবং আকর্ষণীয় ডিপি। এতে আপনার শুধু মুখটুকু দেখা যাবে এবং দৃষ্টি থাকবে যিনি ছবি তুলছেন তার ডানদিকে। অর্থাৎ আপনার বাম দিকে। এই ধরণের ডিপি খুবই সাধারণ অথচ সুন্দর দেখতে হয়।
২) কভার পিকচার কাম প্রোফাইল পিকচার
আমার মতে এই ধরণের ছবি অভিনবত্বের দিক থেকে কিন্তু সবার সেরা। এটি একটি সম্পূর্ণ একটা ছবি, যেখানে ব্যাক্তির মুখের অংশটি রয়েছে প্রোফাইল পিকচারে এবং দেহের বাকি অংশ রয়েছে কভার পিকচারে। আর দুটি ছবির মিশেলে এক মজার রূপ নিয়েছে প্রোফাইল পিকচারটি। তবে এই ধরণের ছবি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ছবির মাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আপলোড করা উচিত। একটু উনিশ-বিশ হলেই ছবির মজাই কিন্তু মাটি হয়ে যাবে।
৩) ফ্রেম ডিসপ্লে প্রোফাইল পিকচার
আজকালকার দিনে এই ধরণের ফ্রেম ফটোগ্রাফের চল দেখা যায়। আপনার জন্মদিন হোক বা বিবাহবার্ষিকী, তার একটা ফ্রেম বানিয়ে নিয়ে সেই ফ্রেম ধরে একটা মিডিয়াম শটে ছবি তুলে পোস্ট করুন। লাইকের সংখ্যা কিন্তু লাফিয়ে বাড়বে।
৪) লো অ্যাঙ্গেল প্রোফাইল পিকচার
ক্যামেরা নীচ থেকে উপরের দিকে তাক করে লো অ্যাঙ্গেলে নেক্সট টাইম একটা ছবি তুলুন। বিশ্বাস করুন আলাদা ভাবে নিজেকে দেখতে পাবেন। এত সুন্দর এফেক্ট আসে এই অ্যাঙ্গেলে আলাদা করে ছবি ফিল্টার বা এডিটের প্রয়োজন হয় না।
৫) কালার কনট্রাস্ট প্রোফাইল পিকচার
একাধিক রঙের মিশেলেই কিন্তু তৈরি হয় সুন্দর ছবি আর, সেইমতো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে যদি কালার কনট্রাস্ট সঠিকভাবে করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইলটি হবে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ছবিতে আপনি যে রঙের পোশাক পরবেন তার সঙ্গে আপনার প্রেক্ষাপটের রঙে যেন একটা বৈপরীত্ব থাকে। এই ছবিতে মডেল একটি কালো রঙের জামা পড়ে রয়েছে আর তার ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ কিন্তু সবুজ ও লাল। একইরকমভাবে ফেসবুকের থিমরঙ কিন্তু নীল। তাই এর সঙ্গে বৈপরিত্য বজায় রেখে গেরুয়া বা সবুজ আভাযুক্ত ছবি, প্রোফাইল পিকচার হিসাবে রাখতেই পারেন।
৬) সলিড কালার ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোফাইল পিকচার
এতক্ষণ তো বললাম কালার কনট্রাস্টের কথা। তবে ফেসবুক প্রোফাইলে আরও একটি আকর্ষণীয় ডিপি হতে পারে যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকে সলিড কালার। তা হতে পারে ঘরের কোনও একরঙা দেওয়ালও। তার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে তা দেখতে হবে অভিনব। এক্ষেত্রে ছবির নানা অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করা যায়। খুব ব্রাইট দেখতে হয় ছবি।
৭) ক্যাম লুক প্রোফাইল পিকচার
ছবি তোলার সময়ে বিশেষত সেলফি তোলার সময়ে ক্যামলুক কীভাবে দিতে হয় তা আপনার আলিয়া ভাটের থেকে শেখা উচিত। ক্যামেরা ধরে লেন্সের দিকে তাকিয়ে হালকা এক্সপ্রেশন দিলেই উঠতে পারে সুন্দর ছবি। ন্যাচারাল প্রোফাইল ফিকচারের জন্য এই লুক খুবই সুন্দর।
৮) আয়নার ছোঁয়া প্রোফাইল পিকচারে
আয়না ব্যবহার করে অসাধারণ সুন্দর ছবি তোলা যায়। মিরার রিফ্লেক্সান ছবিতে আলাদা ইউনিকনেস নিয়ে আসে। একবার আপনিও ট্রাই করে দেখুন। লাইকের জোয়ারে ভাসতে থাকবে আপনার প্রোফাইল পিকচার হলফ করে বলতে পারি।
৯) পাউট ফেস
সাম্প্রতিক কয়েক বছরে পাউট ফেস এক্সপ্রেশন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মোবাইল ক্যামেরা মুখ বরাবর করে পাউট করুন। ক্লিক করার আগে ফ্রন্ট ক্যামেরায় দেখে নিন কতখানি পাউট করলে ন্যাচারাল ছবি আসছে। সেইমতো ক্লিক করুন। পাউট সেলফি প্রোফাইল পিকচারের জন্য একেবারে পারফেক্ট।
১০) সাদা কালো ছবি
শার্প লুক দিন ক্যামেরায়। তারপর এডিট করার সময় কালারের বদলে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট করে দিন ছবি। এটুকু করেই পেতে পারেন পারফেক্ট প্রোফাইল পিকচার।
banty
দারুন লাগলো। ছবি দিয়ে সুন্দর বোঝালেন পারলে ছেলেদের কিছু স্টাইলস জানাবেন।