বাড়িতে নিরামিষ রান্না হলে তার সঙ্গে কী কী পদ থাকলে খাওয়াটা বেশ জমতে পারে? এই প্রশ্নটি নিশ্চয় আপনাদের মধ্যে অনেকের মাথাতেই এসেছে। কিন্তু কম সময় চটজলদি কী কী খাবার বানাবেন তা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেন না।
কিন্তু আজকে আপনাদের জন্য রইল ঠাকুমা-দিদিমার বানানো একটি সুস্বাদু নিরামিষ পদ,যা বহু বছর ধরে বাঙালির নিরামিষ রান্নার সঙ্গী হয়ে রয়েছে, আর তা হল নারকেল পোস্তর বড়া। এক ঝলকে দেখে নিন এটি বানাতে কী কী উপকরণ লাগবে।
উপকরণঃ
- নারকেল কোরানো – ১ কাপ
- কাঁচালঙ্কা – ৩-৪টি কুচিয়ে নেওয়া
- পোস্ত দানা – ২ চা-চামচ
- কালো জিরে – ১ চা-চামচ
- ময়দা – ২ চা-চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা-চামচ
- নুন – স্বাদমতো
- চিনি – ১/২ চা-চামচ
![নারকেল পোস্ত বড়ার উপকরণ](https://dusbus.com/wp-content/uploads/2020/09/উপকরণ-1.jpg)
প্রণালীঃ
সবার প্রথমে নারকেলটা কুড়িয়ে নিন। তবে আপনারা চাইলে নারকেলটা মিক্সারে গ্রাইন্ড করে নিতে পারেন। এবার সেই কোরানো নারকেলের মধ্যে একে একে কাঁচালঙ্কা, নুন,হলুদ গুঁড়ো, চিনি এবং কাঁচা পোস্ত মিশিয়ে নিন। এবার এই কাঁচা পোস্তর একটা ক্রাঞ্চি স্বাদ আনে, যা নারকেলের বড়ার স্বাদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এখন এর মধ্যে দিয়ে দিন সামান্য কালো জিরে, এটা একটা অন্যরকম ফ্লেভার যোগ করবে। সবশেষে এর মধ্যে দিয়ে দিন ময়দাটা। ময়দার এই রান্নায় কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বড়াটার বাঁধন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে করে ভাজতে গিয়ে বড়া ভেঙে যাবে না।
এবার সমস্তটা ভাল করে মেখে নিতে হবে। মাখা হয়ে গেলে এই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট করে অংশ নিয়ে গোল বা চ্যাপ্টা করে নিয়ে বড়ার আকারে গড়ে নিন। চারদিকটা হাত দিয়ে শেপ করে দিন, যাতে কোনও ফাটা-ফুটি না থাকে। এবার ভাজার পালা। ভাজার আগে একটু নুন আর মিষ্টিটা দেখে নেবেন।
এখন কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। এবার আঁচটা মাঝারি রেখে তার মধ্য়ে একে একে বড়াগুলি ছেড়ে দিন। বড়াগুলি যদি একটু কড়া করে ভাজেন, তাহলে তা খেতে আরও সুস্বাদু হবে। এইভাবে প্রত্যেকটা বড়াকে বাদামী করে ভেজে তুলে নিন। গরম গরম ভাত-ডালের সঙ্গে পরিবেশন করুন নারকেল-পোস্তর বড়া।
মন্তব্য করুন