দক্ষিণভারত, চীন, কোরিয়া সহ এশিয়ার অনেক জায়গায় তিলের তেল খাবারে নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। এই তেল তিলের দানা থেকে পিষে বের করা হয়। তাই একে বলা হয় তিলের তেল। তিলের তেল থেকে নানাভাবে উপকৃত হওয়া যায়। এই তেল শরীরের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তিলের তেলের গুনাগুণ।
উচ্চরক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তিলের তেল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে। এতে উপস্থিত অক্সিডেসান ও নানান প্রোটিন শরীরে পুষ্টির যোগান দেয় সহজে।
তিল একধনের উষ্ণ খাবার। অর্থাৎ তিল সহজে শরীরকে গরম করতে পারে। ফলে শীতকালে তিল শরীরের জন্য খুবই ভালো। সহজে ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকলে এই তেল খেলে ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন প্রচুর পরিমানে তিলের তেলে থাকে। ফলে শরীরকে নানা রোগের থেকে প্রটেক্ট করতে পারে সহজে।
নিয়মিত তিলের তেল খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায়। এছাড়া ত্বকের নানা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ব্রণ, মেচেতার মত বিচ্ছিরি ত্বকের সমস্যা আরামসে দূর হয়ে যায়।
তিলে থাকে ফোলিক অ্যাসিড। ফোলিক অ্যাসিড শরীরে ভালো কোলেস্টরেল বাড়িয়ে দেয়। খারাপ কোলেস্টরেলকে কমিয়ে দেয়। ফলে তিলের তেল খেলে আমাদের শরীরে কোলেস্টরেলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় সহজে।
তিলের তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফেট আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ক্যান্সার ও টিউমারের মত মারণরোগের হাত থেকে বাঁচায়। ক্যান্সার বা টিউমার হবার সম্ভাবনা থাকে না।
পেটের নানা সমস্যা তিলের তেল খেলে কমে যায়। নিয়মিত তিলের তেল খেলে পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গ্যাস ইত্যাদি হয় না বলাই ভালো। তিলে থাকা ফাইবার জীবাণুকে নষ্ট করে শরীরকে বিশেষ করে পেটের পাচনক্রিয়ার প্রক্রিয়াকে সঠিক ভাবে চালনা করে।
পরীক্ষা করে তিলে ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে। যা মানব শরীরের হাড়কে মজবুত রাখে।হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
নিয়মিত তিলের তেল খেলে আমাদের দাঁত মজবুত হয়। দাঁত সম্পর্কিত সমস্যা হতে দেয় না। দাঁতে পোকা হয়ে যাওয়া বা মুখে দুর্গন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে তিলের তেল।
তিলের তেলকে বিষনাশক বলা হয়। শরীরে কোন কারণে বিষের প্রভাব পরলে তিলের তেল শরীর থেকে সেই বিষকে বের করে দেয়। তিলের তেল বিষকে শরীরে প্রভাব ফেলতে দেয় না। লিভার নষ্ট হওয়ার থেকে বাঁচায়।
তিলের তেলে ঔষুধী গুন থাকায় চোখের সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। ছানি পরতে দেয় না। চোখের জন্য তিলের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তিলের তেল নিয়মিত খেলে জয়েন্টে হওয়া পেন কমে যায়। তাছাড়া শরীরে হওয়া নানা ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ্য থাকে।
চুলের যত্ন নিতে তিলের তেল খুবই ভালো। চুল পরে যাওয়া, খুস্কি, ও অন্যান্য নানা সমস্যা কমে যায় তিলের তেল নিয়মিত খেলে। চুল মজবুত, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
উপকারী ও লাভজনক একধরনের ওষুধী হল তিলের তেল। যা নিয়মিত খেলে শরীরের নানা সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
https://dusbus.com/bn/stan-baro-korar-swavabik-upay-jene-nin/
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…