উজ্জ্বল ত্বক আমরা সবাই পেতে চাই। সেই জন্য আমরা নানা রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। এখন বাজারে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রচুর প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। সেগুলি যাচাই না করেই ব্যবহার করতে থাকি। তার ফলে ত্বক সাময়িক উজ্জ্বল হলেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এইসব প্রোডাক্টের ক্ষতিকারক ক্যামিকাল ও স্টেরয়েড আমাদের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। কিন্তু আমরা যদি কিছু ঘরোয়া উপায় চেষ্টা করতে পারি ত্বককে উজ্জ্বল করার। তাহলে ত্বক উজ্জ্বলও হয় আবার কোন ক্ষতিও হয় না। আসুন দেখেনি কিছু ঘরোয়া উপায় যেগুলি ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
টকদই
আমরা অনেকেই জানি টক দই ত্বককে উজ্জ্বল করে। এতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম রাখে। একটু টকদই নিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এটি নিয়মিত করলে নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। এছাড়াও টকদই এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের টোনের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
কমলালেবু
ত্বকের যত্নে কমলালেবু আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারি একটি উপাদান। আর কমলালেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও কমলালেবু ব্লিচ হিসাবেও কাজ করে। ত্বকের টেক্সচার ভালো করে। কমলালেবুর খোসা গুড়ো করে, সঙ্গে টকদই মিশিয়ে পেস্ট বানাতে পারেন। তারপর সেটি মুখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তবে সেনসিটিভ ত্বকের জন্য লেবু ব্যবহার না করাই ভালো।
মধু
মধু ত্বকের যত্নে বহু প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বককে দারুন ময়েশচারাইজড করে। একটু মধু নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক অনেক ফ্রেস লাগবে। আস্তে আস্তে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসাবেও কাজ করে। ত্বকের মৃত কোশ সরিয়ে নতুন কোশ জন্মাতে সাহায্য করে। ত্বকের অন্যান্য যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। একটু হালকা গরম দুধ ও মধু মেশান। সেটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট মত। তারপর প্রথমে গরম জল তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
পেঁপে
পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। কিন্তু শুধু খাওয়া নয়। পেঁপে ত্বকে লাগালেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। এটি ত্বকের ওষুধ হিসাবে বাবহৃত হয়। ত্বকের যেকোনো সমস্যা বিশেষত ট্যানের সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। পেঁপের খোসা বাদ দিয়ে পেঁপের শাঁসটি বেটে পেস্ট বানান। সেই পেস্ট ট্যান পড়ে যাওয়া জায়গায় লাগান। এক থেকে দেড় ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। ২ থেকে তিন মাস এটি করুন পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন।
গোলাপজল
অল্প সময়ে ত্বককে সুন্দর করতে গোলাপজল ব্যবহার করুন। গোলাপের পাঁপড়ি জলে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেই জল মুখে ব্যবহার করতে পারেন। রোজই গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুলে, ত্বকের রঙ শুধু ফর্সা না এক হালকা গোলাপি বর্ণ ধারন করে। গোলাপ জল শুধু ত্বক ফর্সা করে না। ব্রন এছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে।
শসা
শশা খেলে যেমন হজমে সাহায্য করে। তেমনি এটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বককে ফর্সা উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে। শশার এমন কিছু উপাদান আছে, যা ত্বকে মেলানিন কম করে। যেটা ত্বককে ফর্সা উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে। শশার পেস্ট শুধু ত্বককে সুন্দর করে তাই নয়, এটি খুব ঠাণ্ডা তাই ত্বককে অনেকটা ফ্রেস রাখে আর চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতেও বেশ সাহায্য করে। এটি ত্বককে তামাটে হয়ে যাবার হাত থেকে বাঁচায়।
আলু
আলু ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতে বিশেষত, রোদে পরে যাওয়া ট্যান তুলতে এর মত উপকারি উপাদান খুব কমই আছে। আলু কেটে তার রস ট্যান পরা জায়গায় লাগান। দারুন ফল পাবেন।
তাহলে জেনে নিলেন এইরকম কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে সত্যি উজ্জ্বল ফর্সা ত্বক পাওয়া সম্ভব। আজ থেকেই ট্রাই করা শুরু করে দিন।
Roha kabir
Amr boyesh 19 amr face e jetai dei bron hoy