আপনার চুল কি শুষ্ক, ও প্রাণহীন? ইচ্ছে হয় চুলকে নরম, সিল্কি ঠিক পশমের মত বানাতে? তাহলে অবশ্যই ট্রাই করুণ এই সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক। চুল তখনই শুষ্ক হতে শুরু করে যখন চুলে থাকা ময়েশ্চারাইজারের ঘাটতি হয়। তাই শুষ্ক চুলকে নরম ও সিল্কি বানাতে হলে চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে।
চুল শুষ্ক মনে হলে পার্লারে গিয়ে স্পা বা অন্যান্য ট্রিটমেন্ট করে চুলের ময়েশ্চারাইজারের ঘাটতি পূর্ণ করতে হবে না। ঘরে বসে কয়েকটি বেসিক উপাদানের সাহায্যে আপনি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে পারেন অনায়াসে। আমি নিজে এটি চুলে ব্যবহার করে দেখেছি। বিশ্বাস করুণ দারুন রেজাল্ট পেয়েছি। তাই আজ আপনাদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
আপনার রান্নাঘরেই সবকটি উপাদান পেয়ে যাবেন হেয়ার মাস্ক বানানোর। একটি টিপস শেয়ার করছি, যেটি আমি নিয়মিত চুলের ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য ব্যবহার করে থাকি।
দুধ ও মধুর হেয়ার মাস্ক
দুধ আপনার চুলকে নরম ও ফ্লেক্সিবাল করে তুলতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড পুরনো ও মৃত চুলের কোষকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।এই মৃত কোষ সাধারণত চুলকে শুষ্ক ও প্রাণহীন করে তোলে।
মধু? মধুর ভূমিকা হল চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের বিকাশ ঘটানো। পাশাপাশি মধু চুলকে সফট করে তুলতে সাহায্য করবে।
তাহলে জেনে নিলেন কেন এই মাস্কটি ব্যবহার করতে বলছি। এতে কোন সাইড এফেক্ট নেই। তাই কোন রকম অস্বস্তি ছাড়াই এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
উপকরন:
হাফ কাপ ফুল ফ্যাট দুধ বা মিল্ক (দুধের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন যদি আপনার চুল খুব মোটা হয়)।
এক চা চামচ মধু।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
দুধ হালকা গরম করে নিন। এবার দুধে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন খুব ভালো করে। যদি দুধের ক্রিম ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে তা গরম করতে হবে না। মধুর সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলেই হবে।
স্পে বোতলে এবার মিশ্রণটি ভরে নিন। ভালো করে চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পে মাস্কটি লাগান। যদি স্পে বোতল না থাকে তাহলে হাত দিয়ে হালকা করে চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। আমি স্পে বোতল ব্যবহার করি। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়। স্পে বোতল না থাকলে কিনে নিতে পারেন, দাম বেশি নয়। যাই হোক, মাস্কটি লাগানোর পর নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মাথা পুরো ঢেকে নিন। খেয়াল রাখবেন এটি লাগিয়ে রোদে বেরবেন না। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর কাপড় বা তোয়ালে খুলে নিন।
এবার ভালো করে মাথা ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে হেয়ার ক্লিঞ্জার শ্যাম্পু লাগিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। খুব ভালো হয় যদি রিঠা ও শিকাকাই দিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। তা না হলে খাদি হারবাল শিকাকাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। আমি এই শ্যাম্পুটি ব্যবহার করে থাকি।
শ্যাম্পু করার পর চুল নর্মাল ভাবে শুকিয়ে গেলে নিজেই অনুভব করতে পারবেন চুলের শুষ্কতা কেটে গেছে। বেশ নরম ও মসৃণ লাগছে। সপ্তাহে ২ বার করে করুন।
মন্তব্য করুন