শুধু সূর্যগ্রহণ কেন, গ্রহণ মানেই হল নানা ধরণের সংস্কারের ঝুলি আমাদের সামনে উঠে আসা। এই এই কাজ করতে নেই, এই এই জায়গায় যেতে নেই, ইত্যাদি নানা রকমের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয় আমাদের ওপর। কিন্তু আদৌ কী কী নিয়ম আছে মানার মতো জানেন কী? কোনগুলো বিজ্ঞান মানে, কোনগুলোই বা শাস্ত্রমতে সিদ্ধ, আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক।
শাস্ত্র কী বলছে শুনুন
আমাদের অধিকাংশ নিয়ম, যা আমরা মানি এই সময়, তা শাস্ত্র দ্বারা নির্ধারিত। তাই আগে জেনে নেওয়া যাক শাস্ত্র কী কী বলছে এই গ্রহণ নিয়ে।
গ্রহণের সময় মুনি-ঋষিরা সবসময় ধ্যান-মন্ত্রপাঠ করতেন। পূজা-অর্চনা করতেন। কারণ সূর্য আমাদের শাস্ত্রে দেবতা বলে স্বীকৃত আমরা সবাই জানি। তাই দেবতার গ্রহণ মানে তাকে মুক্ত করার জন্য ভক্তদের তো পুজো করতেই হবে। সেই ধারণা থেকেই আজও সূর্যগ্রহণের সময় পুজো করার নিয়ম চালু আছে।
সূর্য শুধু প্রাণের নয়, পবিত্রতারও প্রতীক। তার গ্রহণ লাগছে মানে আমাদেরও শরীর আর মন অশুচি হয়ে গেল। তাই গ্রহণের পর পবিত্র গঙ্গা জলে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরার কথা বলা হয়।
এই সময় শাস্ত্র বলছে যার যিনি ইষ্ট দেবতা, তাঁর মন্ত্র উচ্চারণ করা উচিত। কিন্তু আপনারা গুরুমন্ত্র পাঠ করতে পারেন, কারণ শাস্ত্রে গুরুকেই বলা হয়েছে সকল ঈশ্বরের সেরা ঈশ্বর।
বিজ্ঞান কী বলে
শাস্ত্রের কথা তো শুনলেন, এবার বরং শুনুন বিজ্ঞান কী বলে। তাহলে আপনাদের অন্তত কিছু বিষয়ে খানিক বিশ্বাস হতে পারে।
সূর্যগ্রহণের সময় দিনের বেলা আলো থাকে না। সূর্যের আলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মারতে শক্তিশালী কাজ করে। আলো না থাকা মানে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি। তাছাড়া এই সময় অতিবেগুনী রশ্মির প্রকোপ বেশী হয়। তাই এই সময় কিছু না খাওয়াই উচিত।
এই সময় কিন্তু একদমই খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকাতে নেই। এতে চোখে ক্ষতিকর প্রভাব হতে পারে। বৈজ্ঞানিকরাও কিন্তু এটা মানেন। তাই গ্রহণ দেখতে হলে শক্তিশালী কোনো আবরণ চোখের ওপর নিয়ে তারপর দেখুন।
তাহলে এই কয়েকটা জিনিস মানলেই কিন্তু আপনি খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ বিষয়টা উপভোগ করতে পারেন। শাস্ত্র আর বিজ্ঞান এই দুইকে নিয়েই কিন্তু আমাদের চলতে হবে।
সূর্যগ্রহণ ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, যা এই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ
মকর সংক্রান্তির দিন কি কি করা উচিত আর কি কি করা নয় বিস্তারিত জানুন
মন্তব্য করুন