সান ট্যানের সমস্যায় নাজেহাল? কিছুতেই সরছে না ট্যান? ট্যান সরে যাবে মাত্র দু সপ্তাহে! বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ এটাই সত্যি। কারণ আজ শেয়ার করব কিছু এমন উপায় যা মাত্র এক সপ্তাহেই ট্যান থেকে মুক্তি দিতে পারে। আসুন দেখেনি।
১. লেবু দিয়ে প্রাকৃতিক ব্লিচ
লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। আর ট্যান সরাতেও দারুন কাজ করে। জাস্ট একটু লেবুর রস করে ট্যানের জায়গায় লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দারুন কাজ হবে। এতে শুধু ট্যানই দূর হবে না, ত্বকের অন্যান্য দাগ, সমস্যাও দূর হবে। এছাড়াও লেবুর রস ও দই মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ভালো কাজ করবে ট্যানের সমস্যায়।
২. হলুদে রাখুন ভরসা
হলুদে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের ব্রন, অন্যান্য সমস্যার সাথে সাথে ট্যানকেও দূর করে। এর জন্য শুধু একটু হলুদ জলে মিশিয়ে পেস্ট করুন। এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এটা রোজ করলে দেখবেন ট্যানের কারণে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া গ্লো ফিরে আসছে। এছাড়াও দুচামচ বেসন, একটু হলুদ গুড়ো, একচামচ গোলাপ জল ও একটু কাঁচা দুধ ভালো করে মেশান। এবার এই পেস্টটি ট্যানের জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ থকে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৩. শসার শাসন ত্বকের যত্নে
ট্যান দূর করতে শসা খুব উপকারি। এটি গরমের তীব্রতা থেকে ত্বককে ঠাণ্ডা করে। ও ট্যান দূর করে। এর জন্য কয়েক টুকরো শসা ব্লেন্ড করে নিন। এটি লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট মত। এতে ত্বক ঠাণ্ডা হবে ও ট্যান দূর হবে। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন শসা, লেবুর রস, ও কাঁচা দুধ। শসা ব্লেন্ড করে নিয়ে তাতে, একটু দুধ ও একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটি লাগান ও শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক লাগান। উপকার পাবেন।
৪. মধু ও পেঁপের কামাল
ত্বকের মৃত কোশ দূর করে গ্লো ফিরিয়ে আনতে, কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে নিন এতে যোগ করুন একচামচ মধু। ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটি লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫. টম্যাটো দিয়ে ফেস প্যাক
ট্যান দূর করার ক্ষেত্রে টম্যাটোর মত উপকারী উপাদান খুব কমই আছে। এটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসাবে কাজ করে। জাস্ট টম্যাটোর পাল্প বানিয়ে ত্বকে লাগান বা টম্যাটোর রস করেও লাগাতে পারেন। দেখবেন ট্যান উধাও। এটি রোদে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তোলে। এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও টম্যাটো ও দইএর পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন। পেস্ট লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
৬. বেসনের ব্যবহার
ট্যান দূর করতে আরেকটি খুব উপকারি উপাদান হল বেসন। এটি ট্যান দূর করার পাশাপাশি হেলদি গ্লোয়িং স্কিন পেতেও বেশ সাহায্য করে। জাস্ট একটু বেসন জলে গুলে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। গোলাপ জলও ব্যবহার করতে পারেন। আরও ভালো কাজ হবে। দেখবেন কেমন ট্যান রিমুভ হচ্ছে।
৭. চন্দনকে কাজে লাগান
চন্দন ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি, ট্যান সরাতে বেশ ভালো কাজ করে। জাস্ট দুচামচ চন্দন ও একটু গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এবং এটি ট্যানের জায়গায় ভালো করে লাগান। শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন। এটা স্কিনকে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ট্যানও দূর করবে।
৮. ডাবের জল ও চন্দনের ব্যবহার
চন্দন খুব ভালো ট্যান রিমুভ করে আর এর সঙ্গে ডাবের জল যোগ হলেতো কোন কথাই নেই। একচামচ চন্দন ও একটু ডাবের জল ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটা ট্যানের জায়গায় লাগান। এবং হালকা শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন। এই দুটি উপাদানই খুব উপকার ট্যান দূর করতে। এবং স্কিনে একটা গ্লোও আনবে।
৯. আনারস ও মধু দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক
যদি খুব বেশি ট্যান পরে যায় তাহলে ব্যবহার করুন আনারস ও মধু। কয়েক টুকরো আনারস ও এক থেকে দুচামচ মধু মেশান। পেস্ট বানান। এটি ট্যান পরে যাওয়া জায়গায় লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিমেষেই দূর করবে ট্যান।
তাহলে ট্যানের সমস্যায় আর মন খারাপ করার দরকার নেই। কারণ এই সবকটা উপাদানই ম্যাজিকের মত কাজ করে। তবে বেড়োবার ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগাবেন। আর এগুলি করুন সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন। ব্যাস এতে শুধু ট্যান দূর হবে না স্কিন অনেক বেশি গ্লোয়িং ও হেলদিও হবে।
মন্তব্য করুন