আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু অদ্ভুত অভ্যাস বা সংস্কার রয়েছে। যেগুলো থেকে আমরা বেড়িয়ে আসতে পারি না। তবে শুধু আমাদের নয়, আমরা টিভির পর্দায় যাদের প্রতিদিন দেখি এই সংস্কার রয়েছে তাদেরও। পর্দায় তারা বিভিন্ন রূপে আমাদের মনরঞ্জন করেন। আবার কখনো তাদের কথা শুনে আমরা মনে জোর পাই। তাদের জীবন কাহিনীও কখনো কখনো বেশ অনুপ্রাণিত করে আমাদের। কিন্তু তারাও তো রক্ত মাংসের মানুষ তাই তাদেরও কিন্তু রয়েছে কিছু অদ্ভুত অভ্যাস।
আজ্ঞে হ্যাঁ জানলে অবাক হবেন আপনার প্রিয় টলি তারকার ও রয়েছে কিছু অদ্ভুত অভ্যাস আপনার মত। চলুন দেখে নেওয়া যাক কার কি অদ্ভুত ধারণা বা অভ্যাস রয়েছে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
ক্যামেরার সামনে যেকোনো চরিত্রেই তিনি পারফেক্ট। তবে শুধু ক্যামেরার সামনে নয় ক্যামেরার পেছনেও কিন্তু ততটাই পারফেক্ট থাকতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে ছেলে মিশুকের ব্যাপারে। ছেলে মিশুক যতবারই হোস্টেলে ফেরত যায় তিনি নিজে ব্যাগ গুছিয়ে দেন। শুধু তাই নয় যতক্ষণ না তার ব্যাগ গুছনো পছন্দ হয় ততক্ষণ তিনি এটা করে যান। বার বার দেখতে থাকেন সবকিছু ঠিকঠাক করে দেওয়া হয়েছে কিনা। এটা না করলে তার নাকি রাতে ঘুমই হবে না এবং মনে হবে কিছু জিনিস বাদ পড়ল না তো? এইভাবেই একবার নাকি তিনি পাঁচবার ব্যাগ গুছিয়ে ছিলেন। এমনি এমনি কি আর তিনি ইন্ডাস্ট্রির পারফেকশনিস্ট!
অপরাজিতা আঢ্য
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এখন অন্যতম প্রিয় মুখ তিনি। তারও রয়েছে বেশ কিছু আজব অভ্যাস। যেমন তিনি ডানদিক করে বসতে ভালোবাসেন। সবসময় সোফায় উনি ডানদিকে বসেন। এটি নাকি তার লাকি চার্ম। স্পেশালি যদি ভারতের খেলা থাকে তাহলে ডানদিক ছেড়ে ওঠেন না। আবার তার বন্ধু হেয়ার ড্রেসার ছাড়া তিনি সচরাচর অন্য কারুর কাছে সাজেন না। বন্ধুর কাছে সাজলে তার মনে হয় শুটিংটা ভালো হবে। এরকমই আরও অনেক কিছু বিষয় মেনে চলেন অপরাজিতা আঢ্য।
বিশ্বনাথ বসু
টলি পাড়ার অত্যন্ত চেনা মুখ তিনি। তার তেমন কোন উদ্ভট অভ্যাস না থাকলেও, কিছু ধারণা রয়েছে। যেমন স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে শুটিংএ গেলে নাকি শুটিং ভালো হয়। আবার যেদিন খুব ঝামেলার হয় সেদিন সাদা পাঞ্জাবি পড়লে নাকি তার দিন ভালো যায়। একটা সময়ে এই নানানরকম ধারণা থেকে তিনি ধারন করেছিলেন গ্রহরত্নের আংটিও। যদিয় আজ আর সেসব বিশ্বাস করেন না।
আবির চট্টোপাধ্যায়
পর্দায় তিনি সাহসী ব্যোমকেশ। টেনে বের করে ফেলেন সব জটিল রহস্যের জ্বাল। কিন্তু বাস্তব জীবনে একটি বিষয়ে তিনি কিন্তু বেশ ভয়ে ভয়ে থাকেন। কথাউ যাবার আগে অ্যাই ডি কার্ড হারিয়ে যাবার ভয়। মানে প্রতিবার এয়ারপোর্টে চেকিং এর সময় তার ভয় লাগে যে তিনি সব কাগজপত্র অ্যাই ডি কার্ড ঠিকমত ব্যাগে নিয়েছেন কিনা। বারবার চেক করতে থাকেন. এবং তার স্ত্রী কেও বারবার বলতে থাকেন গাড়িতে জলের বোতল ব্যাগ কোথায় কীভাবে রাখবে।
শাশ্বত চ্যাটার্জি
সম্প্রতি ওয়েব দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এবং চেনা হয়ে উঠেছেন তিনি। এমনিতে ক্যামেরার ওপারে তার অভিনয় দিয়ে সকলকে মাতিয়ে রাখেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে তার বেশ একটা অদ্ভুত অভ্যাস আছে। বাড়িতে জেয়গার জিনিস সবসময় সেই জেয়গায় দেখতে পছন্দ করেন তিনি। যদিয় এটা একটা ভালোই অভ্যাস। কিন্তু জেয়গার জিনিস জেয়গা ছেড়ে এদিক ওদিক হলে বেশ রেগে যান তিনি। এইজন্য তিনি যখন বাড়িতে থাকেন তার স্ত্রী ও মেয়ে নাকি বেশ সতর্ক থাকে। সতর্ক হয়ে কাজ করে। তিনি বারবার জেয়গার জিনিস জেয়গার রাখার কথা বলেন।
পার্ণো মিত্র
এক অদ্ভুত জিনিস প্রচলিত রয়েছে তার জন্য তিনি নাকি ফোন হারিয়ে ফেলতে এক্সপার্ট। কারণ ইতিমধ্যে তিনি নাকি প্রায় ১২ থেকে ১৫টি ফোন হারিয়ে ফেলেছেন। এই ভয় তার মধ্যে সবসময় কাজ করে তার ফোন যেন হারিয়ে না যায়। যদিয় এখন তিনি বেশ যত্নে আগলে রাখেন নিজের ফোন। যাতে আর হারিয়ে না যায়। যদিয় ঠিক করে রাখতে গিয়ে এমন জেয়গাতে মাঝে মাঝে ফোন রাখেন খুঁজে বার করতে ততটাই কসরৎ করতে হয়।
নুসরত জাহান
টলিউডের অন্যতম সুন্দর নায়িকা হলেন নুসরত জাহান। তার আবার বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অভ্যাস রয়েছে। মানে বাড়ি থাকলে তিনি সারাদিন পারলে বাড়ি ঘর পরিষ্কার করেই কাটিয়ে দিতে পারবেন। এমনকি কোন বন্ধুর বাড়িতে গেলে তার বাড়িতে যদি একটু কিছু অগোছালো দেখেন তিনি পরিষ্কার করতে লেগে যান। বাড়িতে থাকলেও তিনি পরিষ্কার এবং ঘর গুছোতে থাকেন খালি।
তনুশ্রী চক্রবর্তী
টলিউডের আরেক সুন্দর অভিনেত্রী হলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। নুসরত জাহানের মত এনারও পরিষ্কার রাখার অভ্যাস রয়েছে। ধুলো নোংরা একদম সহ্য করতে পারেন না তিনি। তার ঘর সবসময় একদম পরিষ্কার চাই। এইজন্য বাইরে থেকে এসে রুমে ঢোকার আগে তিনি তার মা কে দিয়ে তার রুম চেক করিয়ে নেন। সবকিছু ঠিক আছে কিনা। আবার মা বাড়িতে না থাকলে বারবার দরজা চেক করেন। সবসময় তার মাথায় চলতে থাকে দরজা ঠিকমত বন্ধ হয়েছে কিনা।
তাহলে দেখলেন তো আমাদের মত জনপ্রিয় সব টলিউড স্টাররাও কিন্তু ক্যামেরার ওপারে অনেক কিছু মেনে চলেন। এরকমই আরও ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট জানতে চোখ রাখুন আমাদের পেজে।
মন্তব্য করুন