আপনার বাড়তি ওজন কি আপনার লো কনফিডেন্সের কারণ? আজকের এই স্লিম ট্রিম যুগে আপনি কি আপনার মোটা শরীরের জন্য সবার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন? রোগা হতে চাইছেন অথচ ঠিক কি করলে রোগা হবেন বুঝতে পারছেন না তাই তো।
চিন্তা করবেন না, কারণ আপনাকে সাহায্য করতে দাশবাস সবসময় হাজির। তাই রোগা হবার সঠিক পথের সন্ধান দেব আমি আজ দাশবাসের পাতায়। প্রতিদিন ৬টি বিষয় ঠিক ঠিক মত মেনে চললেই কিন্তু আপনার রোগা হবার রাস্তা একেবারে ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং আপনার পুরনো কনফিডেন্স আবার ফিরে আসবে।
প্রতিটি কাজ যদি নিয়ম মেনে করা হয় তাহলে তার ফল কিন্তু আমরা পেয়ে থাকি। ঠিক সেরকমই রোগা হওয়া এবং আপনার শরীরে বাড়তি মেদ থেকে ওজন যাতে না জমে তার জন্য ৬টি বিষয় আপনাকে মেনে চলতে হবে। জেনে নিন এই ৬টি বিষয় কি কি?
১.ফ্যাট বার্নিং ড্রিংক
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যে কোনো একটি ফ্যাট বার্নিং জুস ড্রিংক পান করুন, যেমন আমলা জুস, ক্যারট জুস, অ্যালোভেরা জুস, লেবু ও মধু মিশ্রিত শরবত, জিরা শরবত, করলা জুস, শসার জুস ইত্যাদি।
- এগুলির প্রত্যেকটি আপনার মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, আপনার ফ্যাটকে গলাতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের অশুদ্ধিগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে।
- এই জুস আপনি বাড়িতেও বানিয়ে ফেলতে পারেন। রেসিপি আপনি ইউ.টিউবেই পেয়ে যাবেন।
- এছাড়া যদি অত ঝামেলায় না পড়তে চান তাহলে রেডিমেট যে কোনো একটি কিনে ফেলুন অ্যামাজন থেকে অনলাইনে।
আমলা জুস
অ্যালোভেরা জুস
২.ব্রেকফাস্ট
- আমরা অনেকেই কাজের চাপে বা দেরী করে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে থাকি। মনে রাখবেন ব্রেকফাস্ট স্কিপ করা মানেই কিন্তু মোটা হওয়া ও শারীরিক অসুস্থতার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
- সুতরাং সকালের ব্রেকফাস্ট কিন্তু মাস্ট। ব্রেকফাস্ট এ দুধ, ডিম, দই আর ওটস অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট করুন এমন খাবার দিয়ে যাতে প্রোটিন, কর্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে।
- এগুলি আপনার শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না, এমন কি ফ্যাটবার্নিংয়ে সাহায্য করে।
৩.প্রচুর পরিমানে জল খান
- জল আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাটকে গলাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল দিনে আমাদের পান করা উচিত।
- বিশেষ করে খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ও আধ ঘন্টা পর জল পান করা খুব জরুরি।
- তবে কোনো অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে জল না খেয়ে চেষ্টা করুন বসে জল পান করার।
৪. এক্সারসাইজ করুন
- দিনে ৩ ঘন্টা করে এক্সারসাইজ করলে রোগা তো হবেনই, সাথে সাথে আপনার শরীর ও মন দুটি ফ্রেশ থাকবে। এটি একধরনের স্ট্রেস বাস্টারস। রোগা হওয়ার জন্য কি কি ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করা যেতে পারে তা কিন্তু দাশবাসের পেজে আপনি পেয়ে যাবেন।
- এছাড়া আপনি সকালে বা বিকেলে বা রাতে খাওয়ার আধঘন্টা পর হাটতে পারেন।এতেও আপনার রোগা হওয়ার রাস্তা সহজ হয়।
- নিয়মিত ঘরের কাজ করুন। এছাড়া মিউসিক চালিয়ে একটু নাচও করতে পারেন।মনে রাখবেন নাচ কিন্তু খুব ভালো এক্সারসাইজ। মানে আপনার শরীরকে সব সময় সচল রাখুন।
৫. সঠিক ডায়েট
- ডায়েট কন্ট্রোল করার কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন হয় না রোগা হতে গেলে। তবে আপনার নিজের ওপর কন্ট্রোল থাকা দরকার।
- যেমন জাঙ্ক ফুড যতটা পারা যায় কম খান। এটি শুধু আপনার ওজন বৃদ্ধি করে তাই নয়, এটি কিন্তু আপনার হজম ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।
- এছাড়া সময় মত খাবার খান। নিজের ডায়েটে প্রচুর পরিমানে ফল ও সবজি রাখুন, বিশেষ করে সিজিনাল ফল ও সবজি খান।
- প্রত্যেকটি আপনার মেটাবলিজম বাড়িয়ে তলে এবং আপনার শরীরে সঠিক পুষ্টি প্রদান করে।
৬. ঘুম
সময় মত এবং ঠিক মত ঘুম কিন্তু আপনার রোগা হবার চাবিকাঠি।রাতে দেরীতে ঘুমোনো এবং দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা দুটোই চেষ্টা করুন বন্ধ করতে।সারাদিনে অন্তত ৬-৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।একদিন দুদিন দেরী হলে অসুবিধে নেই,কিন্তু চেষ্টা করুন সময় মত আপনার ঘুম সম্পূর্ণ করতে।
মনে রাখবেন আপনার সঠিক জীবন যাপন কিন্তু আপনার রোগা থাকার সহজ উপায়।বাজারে আজকাল রোগা হবার জন্য নানারকমের হেলথ ড্রিংক, ওষুধ ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। খুব সাবধান! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিন্তু কোনোভাবেই এগুলি খাওয়া শুরু করবেন না।
মনে রাখবেন রোগা হওয়ার থেকেও কিন্তু বেশি জরুরি আপনার সুস্থ থাকা। এখন থেকে আপনার দিনলিপিতে এই ৬টি বিষয় যুক্ত করুন এবং খুব সহজেই শরীরের ওজন কম করুন।
মন্তব্য করুন