পুজোর পাঁচদিন পেটে মদ ইন! আর তা আরেকবার প্রমাণ করে দিলো গোটা রাজ্যের মানুষ। সব বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড বানালো বাংলা। সারা বছরে মদ বিক্রির পাঁচদিনের গড় আয় যেখানে হয় ৪০ কোটি টাকা। সেখানে মাত্র পাঁচ দিনে এই অংকের পরিমান দাঁড়াল ১০০ কোটি।
নবান্ন সুত্রের খবর যে নবমীর দিন মদ বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটি টাকার। বাকি চারদিনের বিক্রির আয় মিলে দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি। একেই বলে ‘মালামাল উইক্লি’!
মদে পানে, থুরি মনে প্রাণে বাঙালি!
প্রতি বছরের মত এবছরও বাংলার মানুষ মেতে উঠেছিলেন বছরের সেরা উৎসব দুর্গা পুজোয়। আর উৎসব হলে হাতে সুরার গ্লাস বা ঠাণ্ডা বিয়ারের বোতল থাকবে না তা তো আর হয় না! এই সুরা পানের ফলে ব্যাপক পরিমানে পুজোয় বিক্রি হয়েছে মদ। যা এনে দিয়েছে রাজ্যের কোষাগারে কোটি কোটি টাকা। সংখ্যাটা এক দুই নয় প্রায় ১০০ কোটি।
পুজোর সময় প্রতিবছর দশমীর দিন থাকে ড্রাই ডে, হিন্দিতে বললে ‘শুখা দিন’। কিন্তু এবছর তা ছিল না। ষষ্ঠী থেকে দশমী পাঁচ দিনই গলা ভেজাতে পেরেছেন সুরাপ্রেমীরা।
নবমী নিশি নেশা বাড়িয়েছে?
নবমীতে সব থেকে বেশি আয় হয়েছে। কারন পরের দিনই দশমী। কৈলাসে চলে যাবেন আমাদের উমা মা। নবমীর রাত থেকেই মন খারাপ শুরু। ফলে মন খারাপ কমাতে মন খুলে মদ কিনেছেন সুরাপ্রেমীরা। নবান্ন সুত্রের খবর যে নবমীর দিন মদ বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটি টাকার। রাজ্য আবগারি দফতর জানিয়েছে এবছরের পুজোয় রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায়।
কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি সুরাপ্রেমীর বাস!
রাজ্যের কোষাগার কোটি কোটি টাকায় ভরিয়ে তুলতে সব থেকে বেশি অবদান পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার। প্রায় ২৮ কোটি টাকার ব্যবস্থা দিয়েছে এই দুই জেলা মাত্র পাঁচ দিনে। দিশি মদ বা বিলিতি, জেলাগুলির পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে বেশি। বিয়ারও কিনে অনেকেই গলা ভিজিয়েছেন এই কদিন। অংক কোটির নিচে নেই বরং উপরে।
মন্তব্য করুন