রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, নামটা বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও এখন বেশ জনপ্রিয়ও। টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রির অন্যতম পরিচালক সৃজিত মুখার্জীর স্ত্রী তিনি। কিন্তু এটাই তো তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পী, NGO BRAC ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান, সঙ্গে একজন মা, পরিচয় অনেক। কিন্তু এই সবের পাশাপাশি তিনি অনেক বেশি সম্মানিত তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত সৌন্দর্যের জন্যও। কি করেন তিনি, যাতে তিনি এতো সুন্দর! জানাবো, জানাবো।
প্রাথমিক কথা-ফিটনেস
অভিনেত্রী, একটি সংস্থার প্রধান সব মিলে ব্যস্ত জীবন। এই ব্যস্ত জীবনে ভাল ভাবে চলার জন্য চাই এনার্জি। আর এই এনার্জি অবশ্যই আসে শরীরচর্চার মাধ্যমে। মিথিলা শুধু অভিনয় করেন বলে নিজেকে সুন্দর রাখতে হবে এই কথা ভেবে শরীরচর্চা করেন না। এটা ওনার জীবনে সুস্থ থাকারও মূল মন্ত্র। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম, এই সব ওনার বিশেষ পছন্দের। প্রেগনেন্সির পর উনি ফিট হয়ে আবার আগের চেহারায় ফেরার জন্য সাইক্লিংও করতেন। মিথিলা মনে করেন, প্রাণায়াম বা যোগে ওনার মন ভাল থাকে, শান্ত থাকে, একাগ্র হয়। আর শরীর তো মনেরই আয়না।
সারা দিনের ডায়েট
একটা কথা মনে রাখতে হবে। মিথিলা কিন্তু একটি চাকরি করেন। তার সঙ্গে উনি অভিনয়, গান এই সব কিছু চুটিয়ে করেন। কিন্তু এই চাকরি উনি করে যেতে চান সমাজের দিকে তাকিয়ে। তাই ওনার ক্ষেত্রে আমরা তথাকথিত অভিনেত্রীসুলভ কোনও ডায়েট নাও পেতে পারি। কিন্তু যেটা পাব সেটা হল একজন সচেতন মানুষের দৈনন্দিন চর্যা। সাধারণ লেবু-মধুর জল ওনার জন্য একদম যথাযথ। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়, বেশ ফ্রেস থাকেন উনি। তাই উনি এতো চকচকে থাকেন।
সকালের খাবারের মধ্যে হাতে গড়া রুটি হতে পারে, পাউরুটি টোস্ট হতে পারে, ফল রইল সঙ্গে, এই সবই ওনার সাধারণ খাবার। অতিরিক্ত কিছু পছন্দ করেন না। দুপুরেও সাধারণ ভাত-তরকারি। হ্যাঁ, ভাত খান কিন্তু মিথিলা, তবে পরিমাণ মেনে। এর সঙ্গে মাছ, মাংস সবই থাকে, তবে অতিরিক্ত মশলা ছাড়া। আর রাতে সাধারণ খাবার, সাধারণত ভাত নয়। বেকড ফিস, ক্রাশ ডায়েট, না না, এসব না করেও উনি সুন্দর। তাই মিথিলার ক্ষেত্রে আপনারা বলতে পারেন সাধারণ অথচ পরিমিত জীবনযাপন সুন্দর থাকার আসল টিপস।
রূপচর্চা আসল রহস্যঃ
বাংলাদেশের বাঙালি, তাই ঘরোয়া জিনিসের দিকে ঝোঁক তো থাকবেই। চিরাচরিত বিষয়ের দিকেই উনি রূপচর্চার ক্ষেত্রটি ছেড়ে দিয়েছেন। যেহেতু ব্যস্ত মানুষ, তাই রোজ ঘরে বসে রূপচর্চা করতে পারেন না। কিন্তু ছুটির দিন অবশ্যই বেসন, হলুদ, চালের গুঁড়ো, গোলাপ জল, এই সব দিয়েই উনি রূপচর্চা করতে পছন্দ করেন। তবে মাঝে মাঝে নিয়ম করে পার্লারেও যান। তবে সেটা রুটিন কেয়ারের জন্য। ঘন ঘন গিয়ে অতিরিক্ত মেকআপ করা বা ট্রিটমেন্ট করার পক্ষপাতী উনি নন।
চুলের যত্ন নিতে কি করেন?
মিথিলার সুন্দর থাকার অন্যতম অঙ্গ হল ওনার চুল। ওইরকম সুন্দর চুল খুব কম মানুষেরই হয়। চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু উনি অতিরিক্ত কিছু পছন্দ করেন না। তেল ম্যাস্যাজ, ভাল শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দেওয়া, এই তিন নিয়েই ওনার সুন্দর চুল। সপ্তাহে তিন দিন মতো তেল দেওয়ার পক্ষে উনি। মাঝে মাঝে পার্লারে গিয়ে বিশেষ কিছু ট্রিটমেন্ট নেওয়া, হাল্কা ট্রিমিং এই সব করেন উনি। মাঝে মাঝে অল্প কালারও করেন। আর উনি বিশ্বাস করেন চুলের স্টাইল হওয়া উচিত এমন যা নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যাবে।
তাহলের মিথিলার থেকে কি কি পেলেন আপনি সুন্দর থাকার টিপস হিসেবে। এক কথায় বলতে পারি, সিমপ্ল লিভিং হাই থিঙ্কিং ওনার সুন্দর থাকার আসল টিপস। আর মিথিলার সঙ্গে আমরা কিন্তু আমাদের মিলিয়েও ভাবতে পারি। ব্যস্ত থেকেও যে এতখানি সুন্দর থাকা যায়, সেটা মিথিলার থেকে শেখা উচিত।
মন্তব্য করুন