ফাইনালি পুজোটা শেষও হয়ে গেল তাহলে! আমার মতো আপনাদেরও নিশ্চয়ই খুব মন খারাপ? আর সত্যিই তো। এতদিন ধরে পুজো আসছে, পুজো আসছে হুজুগের পর হঠাৎ করে যদি হুড়মুড় করে ঘাড়ের ওপর বিজয়া দশমীটা চলে আসে, আর পুজোটা সত্যি সত্যিই শেষ হয়ে যায়, তাহলে দুম করে মন খারাপ হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিকই। প্যান্ডেলগুলো সব ফাঁকা ফাঁকা, পুজোর জন্য সত্যিই আবার গোটা একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে এটা ভাবলেই তো মনটা আপনিই খারাপ হয়ে যায়। চিন্তা নেই। এবার আপনার মন খারাপ দূর করুন ‘দাশবাসে’র সাথে। পুজোর পরে আপনার মন খারাপ তাড়ানোর পাঁচটি হট টিপস নিয়ে হাজির আমরা।
সামনেই কিন্তু কালী পুজো
আরে আপনি পুজো শেষ, পুজো শেষ করছেন, সামনেই যে অত্ত বড় কালী পুজোটা পড়ে আছে সে খেয়াল করেছেন? দুগগা পুজো শেষ মানেই তো লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন শুরু, আর লক্ষ্মী পুজো শেষ হতে না হতেই মাত্র পনেরো দিন পরেই কালী পুজোর ঢাকে কাঠি। মানছি যে কালী পুজোয় দুর্গা পুজোর মতো মজা হবে না। কিন্তু কলকাতা আবারও তো সেজে উঠবে আলোর সাজে। বাজি-টাজি মিলে কালী পুজোতেও মস্তিটা কিন্তু কম হয় না! নতুন শাড়ি বের করে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে কালী পুজোর রাতে ঠাকুর দেখা আর বাজি ফাটানোর প্ল্যানটা কিন্তু এইবার শুরু করেই দিতে পারেন। দেখবেন পুজো শেষ চিন্তাটা আর তেমন মনে আসছে না।
সিনেমা দেখতে যান
এবার পুজোয় বাংলা সিনেমার জগতে তো রীতিমতো চাঁদের হাট বসে গিয়েছিলো। কাকাবাবু থেকে ব্যোমকেশ কে না হাজির ছিলেন? দেব থেকে প্রসেনজিৎ, যীশু থেকে অঙ্কুশ—কাকে ছেড়ে কাকে আপনি দেখবেন? পুজোর ফাঁকে নিশ্চয়ই সিনেমাগুলো আপনার আর দেখা হয়ে ওঠেনি? এদিকে ব্যোমকেশ, কাকাবাবু—কাউকেই বাদ দেওয়া যায় না। বন্ধুদের বা বাড়ির লোকের সাথে ঝটপট প্ল্যান করুন, আর সিনেমাগুলো দেখে আসুন। মন ভালো হয়ে যাবেই।
ব্যাক টু ওল্ড
পুজোর ক’দিন যথেচ্ছ অত্যাচার করেছেন নিজের শরীরের ওপর। রাস্তার বিরিয়ানি থেকে রোল, ফুচকা থেকে আইসক্রিম—কিচ্ছুটি যে বাদ দেননি, তা তো আমরা বুঝতেই পারছি। এবার আবার নিজের পুরনো রুটিনে ফিরে আসুন। সক্কাল সক্কাল উঠে ব্যায়াম করা শুরু করুন আবার আগের মতো। খাওয়া কন্ট্রোল করুন। দেখবেন সব ল্যাদ আর আলসেমি কেটে গেছে, মন খারাপও ভ্যানিশ। আপনিও আবার আগের মতোই চাঙ্গা।
সন্ধেগুলো নষ্ট করবেন নাকি?
পুজো থাকলে এই সময়টা প্যান্ডেলে সেজেগুজে বের হয়েছেন—এই সমস্ত ভেবে মন খারাপ করবেন না। আপনার হাজার মন খারাপেও তো পুজোটা আর এক বছরের আগে চলে আসবে না। বরং ভাবুন এখন সন্ধেগুলোতে কি করা যায়! অফিস থেকে ফিরেছেন, বা সারাদিন বাড়িতেই বসে আছেন? পার্টনারের সাথে হঠাৎ করে প্ল্যান করুন সন্ধেবেলায় কোন নতুন ক্যাফে ট্রাই করবেন বা কোন নতুন রেস্টুর্যান্টে গিয়ে ডিনারটা সেরে আসবেন। বেরোনোর ফলে মনও ভালো হবে, আর একসাথে সময় কাটানোর ফলে দেখবেন কেমন ফুরফুরে লাগছে!
দূরে কোথাও বেড়াতে যাবার প্ল্যান করুন
পুজোর পর এটাই আইডিয়াল টাইম। ক্যালেন্ডার দেখে ঠিক করুন আপনি কবে ছুটি পাচ্ছেন, কর্তা ছুটি পাবেন কিনা সেটাও দেখুন, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে ছুটি পাওয়া যাবে কিনা সেটাও খেয়াল করুন। এরপর সবাই মিলে একসাথে বসে ঠিক করুন কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। যাই বলুন না কেন, দূরে কোথাও যাবার ট্যুর প্ল্যান একসাথে বসে ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে করার মজাই আলাদা! দেখবেন বেড়াতে যাবার আনন্দের কথা ভেবেই আপনার মন খারাপ নিমেশে ভ্যানিশ হয়ে গেছে!
তাহলে এবার পুজোর পর আর মন খারাপ নয়। ‘দাশবাসে’র টিপস তো পেয়েই গেছেন। দেরী কীসের? এবার জলদি জলদি প্ল্যান করতে থাকুন আর আপনার সমস্ত মন খারাপকে কাটিয়ে উঠুন।
মন্তব্য করুন