কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। কিন্তু কিছু বাঙালি আবার ডাল-ভাতের যথেষ্ট ভক্ত। আর এই যুগলবন্দিতে যদি সামিল হয় পোস্ত দিয়ে তৈরি কোনও পদ, তাহলে তো আর কথাই নেই।
আলু পোস্ত অনেকেরই প্রিয়, তবে ডালের পাতে একদিন ট্রাই করুন পোস্তর বড়া। পোস্তর বড়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই বানানোও খুব সহজ। ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পোস্তর বড়া। দেখে নিন রেসিপি।
উপকরণঃ
- পোস্ত দানা – ১ কাপ
- কুচোনো পেঁয়াজ – ১টি
- কাঁচা লঙ্কা কুচি – ৩টি
- স্বাদমতো নুন
- সর্ষের তেল – ভাজার জন্য
- চালের গুঁড়ো অথবা ময়দা – ২ চা-চামচ

প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
সবার প্রথমে একটি পাত্রে পোস্তর দানাটা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে ভিজিয়ে ১০ মিনিট মতো রেখে দিন, যাতে পোস্তটা ভালোভাবে বাটা যায়। এবার একটা মিক্সারে পোস্তটা বেটে নিন। বাটার সময় যদি জলের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনারা অল্প অল্প করে জল মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব কম জল দিয়ে পোস্তটা বাটতে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এখন বেটে রাখা পোস্ত বাটার মধ্যে একে একে কুচনো পেঁয়াজ, লঙ্কাকুচি, স্বাদমতো নুন এবং চালের গুঁড়োটা দিয়ে দিন। প্রসঙ্গত, চালের গুঁড়ো বড়াগুলিকে ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে পাশাপাশি পোস্তর বড়াগুলিকে মুচমুচে বানাতে সাহায্য করবে। তবে খেয়াল রাখবেন চালের গুঁড়ো বেশি হয়ে গেলে কিন্তু পোস্তর বড়ার আসল স্বাদটা নষ্ট হয়ে যাবে তাই চালের গুঁড়োটা পরিমাণ মতোই দিন। এবার সব উপকরণগুলি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
শেষ ধাপঃ
গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তাতে সর্ষের তেল গরম করে নিয়ে তারমধ্যে পোস্তর বড়াগুলি দিয়ে দিন। একটু চ্যাপ্টা করে বড়াগুলি বানাবেন, যাতে সমস্ত দিকটা ভালো করে ভাজা হয়। এবার বড়াগুলিকে দুপিঠ থেকে ভেজে নিন। হালকা সোনালি রঙ হলে তুলে নিন। তৈরি আপনার পোস্তর বড়া। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
Dosto,
Kheye nao bada posto
এখন পোস্ত ১২০০ টাকা কেজি । তাই অর্ধেক পোস্ত ও অর্ধেক সাদা তিল দিয়ে বড়াটা করলে , খেতে খুব ভালো হয় । চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।
Nischoi Korbo. 🙂
আমার সব থেকে প্রিয় রেসিপি পোস্তর বড়া। আমার মায়ের হাতে পোস্তর বড়া ছিল অসাধারণ। তবে তাতে পিঁয়াজ থাকতো না। আর পোস্তটা সিলে বাটা হতো।
Dhonybad apnar kotha amader sathe share korar jonno. 🙂
Try korbo.
Nichoi Valo Lagbe. 🙂
So testy
Ekdom 🙂
পোস্ত না বেটে করলে বেশি খাস্তা হয়।
Accha.