প্রচুর চুল ঝরছে? এর একটা কারণ কিন্তু স্ক্যাল্পে থাকা খুশকি। তাই খুশকিকে বিদায় না জানালে কিন্তু অকালে চুল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সবচেয়ে আগে স্ক্যাল্পের খুশকি দূর করুন। বাজার চলতি বিভিন্ন স্পেশাল শ্যাম্পু কিন্তু পুরোপুরি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তার ফলেই বার বার ফিরে আসে খুশকি। কিন্তু কখনও ব্যবহার করেছেন পাতিলেবু? জাস্ট মাথায় লাগান একটু পাতিলেবু, ব্যাস মুহূর্তে দেখবেন খুশকি উধাও। হ্যাঁ খুশকির ক্ষেত্রে এতটাই উপকার পাতিলেবু। যা খুশকির প্রধান শত্রু।
পাতিলেবুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুশকির যম। বিশেষত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো খুশকির যম। যা পুরোপুরি স্কাল্প থেকে এই সমস্যা দূর করে। বার বার ফিরে আসাও আটকায়। আসুন জেনেনি কিভাবে ম্যাজিকের মত কাজ করে পাতিলেবু।
কেন পাতিলেবু খুশকির যম
- লেবুতে আছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা স্কাল্পের যাবতীয় সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ উপকারি। বিশেষত খুশকির মত সমস্যার ক্ষেত্রে।
- এছাড়াও পাতিলেবুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা খুশকি সমস্যার ক্ষেত্রে ওষুধের মত কাজ করে।
- স্ক্যাল্প খুব শুকিয়ে গেলেও, এছাড়াও ত্বকের মৃত কোশ থেকেও খুশকির সমস্যা হয়। পাতিলেবু স্ক্যাল্পকে কন্ডিশনিং করে। চুলের স্বাভাবিক ময়েশচারকে ধরে রাখে। ও স্ক্যাল্পের মৃত কোষ দূর করে।
- স্ক্যাল্প অনেক সময় চ্যাটচ্যাট করে। খুব আঠালো হয়। এ থেকেও হয় খুশকি। পাতিলেবু এক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে। পাতিলেবু চুলের এই আঠালো ভাবটিকে দূর করে। চুল করে তোলে সিল্কি। তার ফলে খুশকির সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড চুলের “পি এইচ” ভারসাম্যকে ঠিক রাখে। এই “পি এইচ” লেবেলকে ঠিক রাখার ক্ষেত্রে এটি একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। এটির অভাবেই কিন্তু চুল ওঠে।
- পাতিলেবু শুধু খুশকিই নয়, স্ক্যাল্পের অন্যান্য বিরক্তিকর সমস্যা চুলকানি বা মাথার ভেতর ফুসকুড়ি এগুলিও রোধ করে পাতিলেবুর রস।
- মাথায় জমে থাকা ময়লার জন্যও খুশকি হয়। পাতিলেবু কিন্তু স্ক্যাল্পকে সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে। তার ফলে খুশকি দূর হয়, ও খুশকি হাওয়াও আটকায়।
তাহলে দেখলেন তো কেন পাতিলেবু খুশকির যম? কিন্তু সেটাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করাও প্রয়োজন। তাই দেখেনি যে খুশকির সমস্যায় কিভাবে ব্যবহার করব পাতিলেবু।
১. পাতিলেবু ও নারকেল তেল
একটু নারকেল তেল গরম করে, তাতে দু চামচ পাতিলেবুর রস ভালো করে মেশান। এবার সেটি স্ক্যাল্পে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। সঙ্গে পুরো চুলেও লাগান। সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন করুন। দেখবেন খুশকি উধাও।
২. ক্যাস্টর অয়েল, নারকেল তেল, ও লেবু
একটু নারকেল তেলের সঙ্গে একচামচ ক্যাস্টর অয়েল, একচামচ লেবুর রস ভালো করে মেশান। তারপর সেটি স্কাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে গরম তোয়ালে দিয়ে কিছুক্ষণ মাথা ঢেকে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। খুশকি অনেকটা কমবে।
৩. মুলতানি মাটি ও লেবু
কিছুটা মুলতানি মাটি ও লেবুর রসের পেস্ট বানান। এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। তারপর মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করলেই কাজ হবে।
৪. নিম ও লেবু
নিম এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। তাই কয়েকটি নিম পাতার পেস্ট করে তাতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। বা নিম পাতার রস করে তাতে লেবুর রস যোগ করেও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে দু দিন করলে শুধু খুশকি নয়, স্ক্যাল্পের চুলকানি ও অন্যান্য ইনফেকশনও দূর হবে।
৫. মেথি ও লেবু
এক থেকে দু চামচ মেথি পাউডারের সঙ্গে দু চামচ লেবুর রস মেশান। এটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তারপর পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি মুক্ত হবেন।
তাহলে এবার থেকে খুশকির সমস্যায় চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আজ থেকেই চুলকে বাঁচাতে খুশকি তাড়াতে শুরু করে দিন। আর খুশকি তাড়াতে জাস্ট ব্যবহার করুন একটু পাতিলেবু। ব্যাস ম্যাজিকের মত দেখবেন খুশকি উধাও।
মন্তব্য করুন