নখকুনির যন্ত্রণা সাধারণত সকলকেই একবার বা একাধিকবার ভোগ করতে হয়| আমাদের হাতের ও পায়ের নখে ফাঙ্গাস জমে এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়| হাত ও পায়ের ঠিক মত যত্ন না নিলে বা পরিষ্কার না রাখলে এই ধরণের সমস্যা হতে পারে|
সারাদিন আমাদের হাত ও পা নানা ধুলো-বালি-জল-কাদা, মশলা, সাবান কত কিছুরই না সংস্পর্শে আসে| ঠিক মত যদি যত্ন না নেওয়া হয় তাহলেই বিপদ| নখকুনি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা তাই এটি সারানোর বা এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির কতগুলি ঘরোয়া উপায় আজ আপনাদের জানাবো|
নখকুনি আপনার হাতের ও পায়ের নখে ও নখের আশেপাশে চামড়ার অংশে হয়ে থাকে| এর ফলে নখের চারপাশ লাল হয়ে ফুলে ওঠে| অত্যন্ত যন্ত্রণা হয়| এছাড়া এর ফলে নখগুলি মোটা হয়ে যায়| নখের ভেতর ব্যথা হয়, কখনো নখ হলুদ বা কালো রঙের হয়ে যায়| এই ধরণের রোগ জিনগত কারণে হতে পারে|
হাতে পায়ের নখের যত্ন নেওয়ার সাথে সাথে নখকুনি সারানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগাতে পারেন| দেখে নিন সেগুলি কি কি ও ঠিক কেমন ভাবে আপনি সেগুলি ব্যবহার করবেন|
নারকেল তেল এই নখকুনি সারিয়ে তোলার সহজ ও কার্যকরী উপায়| নারকেল তেল সাধারণত আমাদের সবার ঘরেই থাকে| তাই আপনার যদি নখকুনি হয়ে থাকে তাহলে কীভাবে নারকেল তেল প্রয়োগ করবেন দেখে নিন|
পদ্ধতি
স্নান করার আগে বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে আপনার হাতে ও পায়ের নখে ও তার চারপাশে ব্যথা হওয়া অংশে নারকেল তেল লাগান| ১৫- ২০ মিনিট পর হিমালয়া বা ওলে ফেস ওয়াশ দিয়ে ভালো করে আপনার হাত ও পায়ের নখ ও তার আশেপাশের অংশ ধুয়ে ফেলুন| এতে আপনি আরাম পাবেন ও খুব তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা সেরে যাবে|
অলিভ অয়েলও আপনার নখকুনি সারিয়ে তুলতে ও এর যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে| এছাড়া নিয়মিত অলিভ অয়েল নখে ও তার চারপাশে লাগালে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়|
উপকরণ
২ চামচ অলিভ অয়েল, ২ চামচ পাতিলেবুর রস।
পদ্ধতি
অলিভ অয়েল ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নখ ও তার আশেপাশের অংশে হালকা করে ম্যাসাজ করুন| অলিভ অয়েল ঠান্ডা হয় তাই এটি খুব তাড়াতাড়ি যন্ত্রনায় আরাম দেয়| দিনে ৩ থেকে ৪ বার অলিভ অয়েল লাগালে আপনি ভালো ফল পাবেন|
বেকিং সোডা নখের যত্ন নিতে বা নখকুনি সরিয়ে তোলার ক্ষেত্রে খুব উপকারী একটি ঘরোয়া উপাদান|নখ ও তার চারপাশের যে কোনো রকম ইনফেকশন এই বেকিং সোডার ব্যবহারে খুব তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে| দু ভাবে আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন নখকুনি সারাতে|
প্রথম পদ্ধতি
প্রথমে হালকা গরম জলে অল্প শ্যাম্পু মিশিয়ে হাত ও পায়ের নখ ধুয়ে নিন| একটি পরিষ্কার টাওয়াল দিয়ে হাত ও পায়ের পাতা ভালো করে মুছে নিন| এবার বেকিং সোডা ও জল মিশিয়ে পেস্ট মত বানিয়ে আপনার হাতে বা পায়ে যেখানে নখকুনি হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন ১৫ -২০ মিনিট| এবার ঠান্ডা জলে হাত বা পা ধুয়ে ফেলুন| এই পদ্ধতিতে দিনে ৩-৪ বার বেকিং সোডা ব্যবহার করলে আপনি আরাম পাবেন|
দ্বিতীয় পদ্ধতি
প্রথমে যেখানে নখকুনি হয়েছে সেই অংশটি পরিষ্কার করে টাওয়াল দিয়ে মুছে নিন| এবার ঠান্ডা জলে ২-৩ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই জলে হাত বা পায়ের পাতা চুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট মত| এতেও আপনি আরাম পাবেন|
এই উপাদানটিও নখকুনি হলে তা সারিয়ে তোলে খুব সহজেই| এছাড়া এর নিয়মিত ব্যবহার আপনার হাত ও পায়ের নখকে সুরক্ষিত রাখে| বাজারে আপনি খুব সহজেই এই উপাদানটি পেয়ে যাবেন। না হলে অনলাইন আপনার মুশকিল আসান করবে|
উপকরণ
২ চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার, ২ চামচ জল।
পদ্ধতি
অ্যাপল সিডার ভিনিগার ও জল মিশিয়ে আপনার ব্যথা হওয়া অংশে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন| এরপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন| প্রতিদিন ২-৩ বার ব্যবহার করুন যতদিন না নখকুনি পুরোপুরি সেরে যাচ্ছে|
নখে হওয়া যেকোনো ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে এপ্সাম লবণ অত্যন্ত উপকারী|
উপকরণ
১ কাপ ভিনিগার, ১ কাপ এপ্সাম লবণ, ৬ কাপ গরম জল।
পদ্ধতি
ভিনিগার, এপ্সাম লবণ ও গরম জল মিশিয়ে নিন| গরম ভাব কিছুটা কমে আসলে তাতে হাত বা পা যেখানে নখকুনি হয়েছে তা চুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট| এরপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন| দিনে দুবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আরাম পেয়ে যাবেন নখকুনি থেকে|
নখকুনি এদের মধ্যে যে কোনো একটি উপাদানের ব্যবহারে সহজেই সেরে যাবে| তবে অনেক সময় অতিরিক্ত বেশি ব্যথা বা ফুলে যাওয়া বিপদজনক হতে পারে| সে ক্ষেত্রে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শই জরুরী| তবে এই উপায়গুলি অবলম্বন যদি আপনি নিয়মিত ও সঠিক উপায়ে করেন সেক্ষেত্রে আপনি এই ধরনের সমস্যা খুব সহজেই এড়িয়ে চলতে পারবেন|
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
useful
আমার নক গুলি চার বছর আগে হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায় |আর এখনে ঠিক হয়নি |কী করব
Dr. dekhiyechen?
Ami dermasin use korsi tobuo vlo hocce na