আপনার বাচ্চা নীল তিমির শিকার নয় তো? যদি হয় তাহলে আপনি হারাতে পারেন আপনার ছোট্ট সোনাকে। গোটা নেট দুনিয়া জুড়ে চলছে নীল তিমি (Blue Whale) ভয়ঙ্কর খেলা। সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ, বিশেষ করে ৮ থেকে ১৫ বছরের বাচ্চারা মারা গিয়েছে। প্রচুর মায়ের কোল খালি হয়েছে এই ভয়ঙ্কর খেলায়। কিন্তু শেষ হতে পারে এই মারণ খেলা। গোলাপি তিমি (Pink Whale) জীবন বাঁচাতে পারে আপনার প্রিয় মানুষের। আজকের লেখাটি মন দিয়ে পড়ে নিন। জানা দরকার গোলাপি তিমি আসলে কি? চলে এলো গোলাপি তিমি (Pink Whale) জীবন বাঁচাতে।
বাচ্চাদের মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন
ইউনিসেফ এগিয়ে এসেছে সাহায্যের জন্য। ইউনিসেফ পরামর্শ দিয়েছে যে সাহায্যের জন্য ভারতে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তালিকাভুক্ত হয়েছে চেন্নাই-ভিত্তিক এনজিও ‘স্নেহা’। প্রতিষ্ঠাতা-সাইকিয়াট্রিস্ট ডঃ লক্ষ্মী বিজয়কুমারের মতে নীল তিমি খেললে আচরণগত কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যা বাবা মাকে বুঝতে হবে। বাচ্চাদের ব্যবহার নজর রাখুন।
বিশেষ কি কি বিষয়ে নজর রাখবেন
আপনার বাচ্চা নীল তিমির শিকার কিনা তা আপনাকে বুঝতেই হবে। না হলে দেরি হয়ে যাবে। আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ছোট্ট সোনাকে।
অনিদ্রার অভ্যাস
রাত জেগে কম্পিউটারের সামনে থাকা অনুচিত নয়। কিন্তু এই মারণ খেলায় কিছু টাস্ক থাকে যা সকাল ৩টে বা ৪ টের সময় অনলাইনে করতে হয়। ডঃ লক্ষ্মী বিজয়কুমার বলছেন যে চঞ্চল শিশুরা শান্ত হয়ে যাবে ও নিজের একাকীত্বের জগতে ঢুকে যাবে।
স্বাভাবিক কাজকর্মে অভাব
শান্ত বাচ্চাদেরও নিজেরদের একটা খেলার জগত, বন্ধু থাকে। যেখানে তারা তাদের মত করে সময় কাটায়। কিন্তু খেয়াল রাখুন আপনার বাচ্চা সেই জগত থেকে একাবারে সরিয়ে ঘরকুনো করছে না তো নিজেকে? স্বাভাবিক কাজে অভাব দেখা দিচ্ছে কিনা! তাহলে বুঝুন ও নিশ্চয়ই অবসাদে ভুগছে। যা আসতে আসতে ওকে নীল তিমির শিকার বানাতে পারে।
শরীরে নানা কাটা দাগ
নীল তিমি খেলায় প্রতিযোগীদের নিজের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটতে হয়। এই খেলার শেষ পর্যায় এসে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। খেয়াল রাখুন বাচ্চার শরীরের দিকে। কোন কাটা দাগ দেখলেই ভালো ভাবে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করুন।
কি ভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার বাচ্চা নীল তিমি খেলার শিকার তাহলে আপনি পারেন তার প্রাণ বাঁচাতে। কি কি করবেন জেনে নিন।
কথা বলুন তাদের সাথে
আপনার বাচ্চার সাথে কথা বলুন। তাদের বকা ঝকা না করে তাদের কম্পিউটার কেড়ে না নিয়ে বরং তাদের সাথে ভালো ভাবে কথা বলুন। বকলে বা কম্পিউটার নিয়ে নিলে বাচ্চারা জেদি হয়ে যাবে ও আর ভুল নির্ণয় নিয়ে নেবে। তাই তাদের ভালোবাসার সাথে বোঝান। বুঝুন তাদের সমস্যা।
বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন
বাচ্চাদের বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। তাদের বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করুন, যাতে বাচ্চারা তাদের যাবতীয় কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারে। তাদের প্রেসার আপনারাই কমাতে পারেন।
কম্পিউটার থেকে ডিটাচ করুন
কম্পিউটার থেকে ধীরে ধীরে তাদের সরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। বাড়ির বাইরে নিয়ে যান। ফ্যামিলি আউটইং যান। সময় কাটান বাচ্চার সাথে। একা থাকতে দেবেন না।
গোলাপি তিমি (Pink Whale) খেলার দিকে বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়ান
একটা বৃহৎ অংশকে একা করে দেয় নীল তিমি, বলছেন ডঃ লক্ষ্মী বিজয়কুমার। গোলাপি তিমি (Pink Whale) একেবারে বিপরীত নীল তিমির থেকে। সম্পূর্ণ বিষয়টি তৈরি করা হয়ে পজেটিভ দিক থেকে। সুন্দর মানসিকতার সাথে বড় হওয়া, মানুষের সাথে মেলবন্ধন করা, এসব রয়েছে গোলাপি তিমিতে।
https://dusbus.com/bn/sex-korar-somoy-kheyal-rakhun-ei-koyekti-bisoyer/
মন্তব্য করুন