মোটা ঠোঁটকে পাতলা করার ব্যায়াম

ঠোঁট মোটা,আর সেখানেই যত আপত্তি আপনার। ঠোঁটটা একটু পাতলা হলে কি ভালোই না হত। আপনার অসম্ভবকে সম্ভব করতেই তো আছে ‘দাশবাস’। মোটা ঠোঁটকে পাতলা করার উপায় আছে আমাদের কাছে। তাই আপনার মোটা ঠোঁটকে পাতলা করতে মন দিয়ে পড়ুন আজকের লেখা।

ওপরের লেখা দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, ঠোঁটকে পাতলা করতে কিছু ব্যায়ামের কথা বলব। ব্যায়াম তো অবশ্যই আছে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হবে,ব্যায়ামের মাধ্যমে কিন্তু জাস্ট কিছুদিনেই হঠাৎ আপনার মোটা ঠোঁট পাতলা হয়ে যাবে না।

সার্জারি ছাড়া এতো দ্রুত ফল পাওয়া কখনওই সম্ভব নয়। তাহলে কি ঠোঁট পাতলা করা যায় না? ব্যায়ামে তো নিশ্চয়ই কাজ হয়। তবে সেটা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই ধৈর্য ধরা খুব দরকার। আর এতে যে মোটা ঠোঁট একদম পাতলা হয়ে যাবে, সেটাও সম্ভব নয়।এই ব্যায়ামগুলি আপনার ঠোঁটের শেপ সুন্দর করতে সাহায্য করবে। এতে আপনার মোটা ঠোঁটের শেপও সুন্দর হবে।

ব্যায়াম – ১

এই ব্যায়ামে ঠোঁট ‘ও’ শেপের মত হবে। মানে ঠোঁট ফাঁক করে, গোল করবেন। দুটো ঠোঁটের মাঝে যে ফাঁকটা আছে, সেটা যেন গোল দেখতে লাগে। মানে চুম্বন করার সময়, ঠোঁট যেমন করা হয়। ওই রকমই করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঠোঁট জোড়া থাকবে না।ঠোঁটের মাঝখানে থাকবে ফাঁক। চুম্বনের মত ঠোঁট করে ছোট্ট করে হাঁ করতে হবে এবং পুরো ঠোঁটটা অনেকটা গোল আকৃতি নেবে।

ব্যায়াম – ২

এই ব্যায়ামটিও বেশ সহজ। এক্ষেত্রে দুটো ঠোঁট জোড়া থাকবে। একটুও ফাঁক থাকবে না। নীচের ঠোঁটকে একটু সামনের দিকে এনে, দু’দিকে প্রসারিত করতে হবে। আর ওপরের ঠোঁট যেমন আছে ওরকমই থাকবে। মানে সোজা কথায় বাচ্ছারা মাঝে মাঝে যেমন ঠোঁট ফোলায়, অনেকটা সেরমই ঠোঁট ফোলাতে হবে। এরকম ভাবে ১০ মিনিট করে থাকতে হবে। এটা রোজ ১০ মিনিট করে করলে,ঠোঁটের শেপ সুন্দর হবে।

ব্যায়াম – ৩

এটাও খুব সহজ একটা ব্যায়াম ঠোঁটের শেপ ঠিক রাখতে। কিছুই না জাস্ট ঠোঁট দুটোকে বন্ধ করে, গালটা কিছুক্ষণ ফুলিয়ে রাখতে হবে। ১০ সেকেন্ড রাখুন। তারপর ছেড়ে দিন।তারপর আবার কিছুক্ষণ এটা করুন। মোটামুটি ৫ বার এইভাবে রিপিট করুন এটা।রোজই করতে পারেন এটা। তাহলে ঠোঁট পাবে একটা সুন্দর লুক।

ব্যায়াম – ৪

এই ব্যায়ামটি আগের ব্যায়ামের মতই। তবে এখানে খালি একটা পাশ ফুলবে। মানে মুখে হাওয়া ঢুকিয়ে, প্রথমে একটা গাল ফুলিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। মানে ওই ১০ সেকেন্ড মত।তারপর আরেকটা গাল ফুলিয়ে এইভাবে ১০ সেকেন্ড রাখুন। এইভাবে কয়েকবার রিপিট করুন এটা।

ব্যায়াম – ৫

এতে ঠোঁটকে ভেতর দিকে ঢোকাতে হবে। দুটো ঠোঁট চাপা থাকবে। দুটো ঠোঁটের মাঝে একদম কোনো ফাঁক থাকবে না। অর্থাৎ ঠোঁট দুটোকে চেপে ভেতর দিকে ঢোকাতে হবে।এটা প্রথমে কিছুক্ষণ করে নিয়ে, তারপর আঙুল দিয়ে মুখের দু’দিকে চেপে ধরে এরকম করতে হবে।

হাসুন

গম্ভীর মুখ একদম নয়। প্রাণ খুলে হাসুন। এতেও ঠোঁটের শেপ সুন্দর হয়। হাসলে ঠোঁট দুদিকে প্রসারিত হয় অনেকটা। এটাও একটা ঠোঁটের ব্যায়াম, যেটা ঠোঁট সরু করতে সাহায্য করে। তাই ঠোঁটকে সুন্দর রাখতে বা করতে হাসুন প্রাণ খুলে।

চুম্বন

শুনতে খুব অবাক লাগলেও এটা সত্যি, চুম্বন কিন্তু অনেকটাই সাহায্য করে ঠোঁটকে সুন্দর রাখতে। চুম্বনে একসাথে অনেক রকম ভাবে ঠোঁটের ব্যায়াম হয় যেটা ঠোঁটকে হেলদি ও সঠিক শেপে আনতে সাহায্য করে।

আরও কিছু টিপস

এই ব্যায়ামগুলো তো অবশ্যই প্রতিদিন করবেন। সাথে এই টিপসগুলোও সাহায্য করবে আপনাকে, ঠোঁট সরু করতে।

১. রোজ বেশী করে জল খান। এতে ঠোঁট হাইড্রেটেড থাকে।

২. লিপ গ্লস বেশী ব্যবহার করবেন না, লিপ গ্লস লাগালে ঠোঁট বেশী বড় লাগে।

৩. ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে আরও বেশী বাজে লাগে দেখতে। তাই ঠোঁট যেন না ফাটে,না শুকোয়।

৪. ঠোঁটকে অবশ্যই মাঝে মাঝে এক্সফোলিয়েট করুন। আপনার নরম দাঁতের ব্রাশ দিয়ে আলতো ভাবে ঠোঁটে ঘষতে পারেন। বেশী জোড়ে না, তাহলে ঠোঁটে লেগে যেতে পারে।একদম আলতো ভাবে করুন। ব্যায়ামের সাথে এই টিপসগুলো মাথায় রাখুন ঠোঁটকে সুন্দর শেপে আনতে।

এইবার কিন্তু আপনার ঠোঁট দেখে শুধু প্রিয় মানুষটাই না, অন্যরাও বেশ চাপে পড়ে যাবে।সামলাবার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের নয়।