মহালয়া আসতে আর এক মাসও দেরী নেই। যদিও এবার মহালয়ার একমাস পর দুর্গাপুজো, কিন্তু মহালয়ার দিন থেকেই বাঙালির দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যায়। আর মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠ আর তার শেষে টিভিতে সম্প্রচারিত মহালয়া।
দূরদর্শনের সংযুক্তা ব্যানার্জী থেকে শুরু করে ইন্দ্রাণী হালদার, কোয়েল মল্লিক, শুভশ্রী অনেকেই দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু এবার মহালয়ায় দুর্গা কে হচ্ছেন জানেন? আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেত্রী, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
কেমন হতে চলেছে এই মহালয়া
মিমির এইবার মহালয়ায় প্রথম দুর্গা রূপে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে। তাই মিমি খুবই খুশী। এই মহালয়া পরিচালনায় আছেন কমলেশ্বর মুখার্জী। স্টার জলসায় মহালয়ার দিন সম্প্রচারিত হবে মহালয়ার এই অনুষ্ঠান। মূলত দেবীর অকালবোধনের ঘটনাটি ফুটিয়ে তুলবেন কমলেশ্বর। এই ঘটনার মাধ্যমেই তিনি দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের ঘটনার মধ্যে আসবেন।
মিমি ছাড়াও এই মহালয়ার অনুষ্ঠানে অভিনয় করছেন টিভির জনপ্রিয় মুখ মধুমিতা সরকার। তিনি এখানে সীতার ভূমিকায় আছেন। পাশাপাশি রামের ভূমিকায় জিতু কমল, রাবণের ভূমিকায় রাজেশ শর্মাও আছেন। সুতরাং একেবারে চাঁদের হাট নিয়ে হতে চলেছে মহালয়ার এই প্রভাতী অনুষ্ঠান।
কেমন লাগছে মিমির
প্রথমবার বলে মিমি খুবই খুশী। তার সঙ্গে খানিক চিন্তাতেও আছেন তিনি। দুর্গার মতো চরিত্রে তিনি ঠিক মতো কাজ করলেন কিনা, দর্শক কীভাবে নেবেন, এই সব নিয়ে মিমি খানিক চিন্তায়। তবে অভিনয় করতে পেরে বেশি আনন্দ তাঁর।
মিমির মতে, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় অভিনয় এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কমলেশ্বরের সব সিন নিয়ে খুব স্পষ্ট ধারণা থাকে। তিনি সবাইকে সব সিন খুব বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দেন। তাই অভিনয় করতে খুব একটা আর সমস্যা হয় না।
এই মহালয়ার অনুষ্ঠানে বেশ কিছু নাচের ফর্ম নতুন করে দেখানো হয়েছে। মিমিকে সেই নাচের স্টেপ ভালো করে রপ্ত করতে হয়েছে। কিছু বিশেষ যুদ্ধের টেকনিক, ফাইট সিন ভালো করে বুঝে করতে হয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে মিমির মতে মিমি অনেক কিছু শিখেছেন এই দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করতে করতে।
কোনও সমস্যা হয়নি?
যদিও এই অভিনয়ে মিমির সবটাই আনন্দ, তবে শুটিং করার সময় বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন মিমি। তার মধ্যে অন্যতম হল ভারী শাড়ি আর গয়না। ভারী শাড়ি আর গয়না শুধু পরাই তো নয়, সেই সব পরে আবার নাচতে হয়েছে, যুদ্ধ করতে হয়েছে। এই সব সিনের সময়ে ভারী গয়না আর শাড়ি ক্যারি করা খুবই কষ্টের। কিন্তু এইরকম রোলের জন্য কষ্ট তো খানিক করতেই হবে।
অনেক সময়ে একই দিনে দু’বার পোশাক পরিবর্তন করে শুট করতে হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জ ছিলই। এর মধ্যে তো সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে কাজ করা ছিলই।
সব মিলিয়ে কিন্তু এবারে স্টার জলসার মহালয়ায় মিমি কেমন দুর্গা হয়ে উঠলেন তা দেখার অপেক্ষায় আমাদের থাকতেই হচ্ছে। অভিনয় করতে করতে যাদবপুরের সাংসদ কিন্তু করোনা যাতে কমে যায় তার জন্য প্রার্থনাও জানিয়েছেন মা দুর্গার কাছে। মহালয়া দেখতে দেখতে আমরাও না হয় সেই প্রার্থনাই করব।
মন্তব্য করুন