শিশুর জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা পিতা-মাতার অন্যতম দায়িত্ব। এটা শিশুর মৌলিক অধিকার। ইসলামে সুন্দর নামের প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়। সুন্দর নামের প্রভাব শিশুর ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কারো নামে অসংগতি বা নামের অর্থ অপছন্দনীয় মনে হলে তা পরিবর্তন করে সুন্দর ও অর্থবহ নাম রেখে দিতেন।
একটি শিশু জন্মগ্রহণের আগেই তার একটি সুন্দর নাম রাখার জন্য তার বাবা-মা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমাদের সমাজে আমাদের প্রবীণগণ, দাদা-দাদী, নানা-নানীরা শিশুদের সুন্দর নামটি নির্ধারণ করেন।
নামের অর্থ জেনে নাম দিন
আধুনিক যুগে অদ্ভুত অদ্ভুত নাম রাখার প্রবণতা খুব বেশি, যেমন-রকি, রনি, জনি, টনি, সনি, টুটুল, ইত্যাদি । এসব নাম শুনতে ভালো হলেও অর্থ ভালো নয় । যেমন-এক ব্যক্তি তার সন্তানের রেখেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহিন, পুরোটাই আরবি । ‘আব্দুল্লাহ’ অনেক সুন্দর একটি নাম যার অর্থ আল্লাহর বান্দা । কিন্তু ‘মাহিন’-নামের অর্থ তুচ্ছ, লাঞ্ছিত, স্বল্পবুদ্ধি । এধরনের নাম রাখাটা আসলেই স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাজ । এমন নামের কারণে অনেক সময় শিশুরা বড় হয়ে হীনমন্যতায় ভোগে ।
তাই শিশুর নাম রাখতে অবশ্যই চিন্তা-ভবনা করবেন।
মেয়ে শিশুদের কয়েকটি সুন্দর নাম অর্থসহ
আতিয়াঃ দানশীলা। দানশীলতা অন্যতম মানবীয় গুণ।
আমিনাঃ বিশ্বাসী , যার প্রতি মানুষ আস্থা রাখে সে হলো বিশ্বাসী।
আয়েশাঃ সমৃদ্ধিশালী। হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর স্ত্রীর (রাঃ) নাম। তিনি অত্যন্ত প্রখর স্মরণ শক্তির অধিকারিণী, বিদুষী ছিলেন।
আজিজাঃ সম্মানিতা ।
ফাহমিদাঃ বুদ্ধিমতী। সকলেই বুদ্ধিমতী নারীদের প্রশংসা করেন।
ফাইজাহঃ বিজয়িনী।
ফাওজীয়াঃ সফল।
ফারাহঃ আনন্দ।
হুমায়রাহঃ রূপসী।
জামিলাঃ সুন্দরী।
লামিয়াঃ উজ্জ্বল।
লাবীবাঃ জ্ঞানী।
সাদিয়াঃ সৌভাগ্যবতী।
সাজেদাঃ ধার্মিক।
মুনীরাঃ প্রজ্জ্বলিত, তারকা।
মাহফুজাঃ নিরাপদ।
নাবিলাঃ ভদ্র।
নাওয়ারঃ ফুল।
সামিয়াঃ মহিমাণ্বিত, প্রশংসিত।
তাহলে, আজ আপনারা সুন্দর সুন্দর কয়েকটি নাম জেনে নিলেন। এবার হবু বাবা-মায়েরা তাদের লিটল প্রিন্সেসের জন্য সুন্দর নাম আশা করি রাখতে পারবেন। আর ‘দাশবাস’র পক্ষ থেকে নতুন সন্তানের জন্য রইল শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করুন