উৎসবের আরেক নাম-মেহেদি!বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে যে কোনো উৎসব যেমন ঈদ,পূজা,পহেলা বৈশাখ,জন্মদিন এমনকি ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা অন্য বিশেষ কোনো দিনেও কিন্তু দু’হাত ভর্তি মেহেদি পরতে ওস্তাদ বাঙালি নারী!নিজের বিয়ে হলে তো কথাই নেই,অন্যের বিয়েতেও কিন্তু কনের সাথে সাথে আমরা মেহেদি পরতে ভুলি না।তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ৮ ধরণের মেহেদি ডিজাইন,যে গুলো আপনাকে মেহেদি লাগাতে দারুণ সাহায্য করবে।
১. ব্রাইডাল মেহেদি
বিয়ের কনে,আর মেহেদি পরবে না তাই কি হয়?একদম না!একদম কনুই থেকে আর হাতের তালু,এমনকি উপরের অংশেও সম্পূর্ণভাবে ছোট ছোট হাজার নকশা এঁকে করা হয় এই ব্রাইডাল মেহেদি ডিজাইন।বিয়ের সাজে অন্যতম প্রধান আকর্ষণই যেন ব্রাইডাল মেহেদি।
২. ময়ুর ডিজাইন
হাতের তালুতে বা উপরের পাতায় অনেকটা ময়ুরের মতো করে করা হয় এই ডিজাইন।অনেকে এটাকে কলকি ডিজাইনও বলে থাকে।ময়ুরের মতোই পেখম মেলে থাকে যেন এই ডিজাইনটি।
৩. পেইসলি ডিজাইন
কি?পেইসলি নামটা শুনেই কেমন খটকা লাগছে?অথচ এই ডিজাইনটিই কিন্তু আপনি অনেকবার করে নিয়েছেন আপনার হাতের মেহেদি লাগানোর সময়!ছোট ছোট সূক্ষ্ম ডিজাইন একসাথে যোগ করে এই নকশা করা হয় হাত জুড়ে।
৪. ফ্লোরাল ডিজাইন
নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কিভাবে করতে হবে এই ডিজাইন?জ্বি,আপনার ধারণাই ঠিক।নানান ধরণের ফুলেল ডিজাইন থাকছে এই ধরণটিতে।
৫. লাইনস এন্ড প্যাটার্নস ডিজাইন
শুধু যে ফুল আর লতাপাতা দিয়ে মেহেদি ডিজাইন করতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই!বিভিন্ন ধরণের লাইন টেনে বা প্যাটার্ন এঁকেও করে ফেলতে পারেন আপনি সিম্পল মেহেদি ডিজাইন।
৬. বর্ডার ডিজাইন
সাধারণত আমরা পায়ের পাতায় কারুকাজময় বর্ডার এঁকে এ ধরণের ডিজাইন করে থাকি।
৭. হালকা মেহেদি ডিজাইন
আপনি যদি হাত ভর্তি করে মেহেদি না নিয়ে সিম্পল কোনো ডিজাইনে মেহেদি নিতে চান তাহলে হাতের নিচের দিক থেকে হালকা কারুকাজ করে উপরে ওঠাতে ওঠাতে ডিজাইনটি টেনে নিতে পারেন শুধুমাত্র মধ্যমা অঙ্গুলিতে।
৮. বাজু মেহেদি ডিজাইন
হাত ও পায়ের সাথে সাথে আজকাল কিন্তু বাজুতেও মেহেদি পরছে অনেক মেয়েরা!বিশেষ করে স্লিভলেস বা ম্যাগি হাতার ড্রেসের সাথে বাজুতে মেহেদি দারুণভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।তবে বাজুতে ডিজাইন করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে ডিজাইনটি যেন অনেকটা ব্যান্ডের মতো ঘুরে আসে,অর্থাৎ বাজু ব্যান্ডের মতো দেখায়।
দেখলেন তো-কতো রকমভাবে আপনি মেহেদি পরতে পারেন সুন্দর কারুকাজ করে!এবার দেরি না করে সাজিয়ে নিন নিজেকে মনের মতো ডিজাইনের মেহেদি দিয়ে!
মন্তব্য করুন