সুন্দর স্কিন তো সবাই পেতে চায়। কিন্তু এই সুন্দর স্কিনের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল ক্লিয়ার স্কিন। আর তার জন্যই দরকার পড়ে ক্লিনজারের। যা স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। স্কিনে থাকা ময়লা বা মেকআপ সঠিক ভাবে পরিষ্কার করে। তাই স্কিনকে সুন্দর রাখতে একটা ক্লিনজারকে প্রতিদিন অবশ্যই দরকার। তাই ‘দাশবাসে’র তরফ থেকে আমি দিচ্ছি এমনই কিছু ক্লিনজারের খোঁজ, যা আপনাদের সকলেরই পকেট ফ্রেন্ডলি। আবার কাজও করে খুব ভালো। অর্থাৎ স্কিনকে সুন্দর রাখতে, এই ক্লিনজারগুলোর জুড়ি মেলা ভার। চটপট দেখে নাও।
১. বায়োটিক বায়ো আমণ্ড অয়েল ক্লিনজার
পিওর আমণ্ড অয়েল যুক্ত ক্লিনজার। যা স্কিনকে ক্লিন রাখার পাশাপাশি, সারাদিন হাইড্রেট রাখবে। এবং স্কিনকে গ্লোয়িং করতেও সাহায্য করবে। এছাড়াও স্কিনে আনবে একটা ফ্রেশ অনুভূতি। রোজ স্কিনকে পরিষ্কার করা হোক, বা হেভি মেকআপ তোলা এটা সবেতেই ব্যবহার করা যাবে। আই মেকআপও সুন্দর ভাবে উঠে আসবে। জাস্ট তুলোর বলে করে এটা নিয়ে, মুখ পরিষ্কার করুন। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবাই এটা ব্যবহার করতে পারে।
২. বায়োটিক হানি জেল ক্লিনজার, ১২০ মি.লি.
ত্বককে করে তুলুন মধুর মত কোমল ও নরম। জেল বেস ক্লিনজার। এতে মধু ছাড়াও আছে হলুদ ও অর্জুন গাছের ছাল। মধু এমনিতেই ব্লীচ হিসাবে কাজ করে। স্কিনকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্কিনকে গ্লোয়িং করে তোলে। আর হলুদ স্কিনের অন্যান্য কোনো সমস্যা থাকলে, সেটাও কমাতে সাহায্য করবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এটা স্কিনকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি, স্কিনকে করে তুলবে গ্লোয়িং ও নরম।
৩. অ্যাভন ন্যাচারাল পিউরিফাইং ক্লিনজার, ১০০ গ্রাম
ডিপ ক্লিন চাইলে, এটা দেখতে পারেন। ডিপ ক্লিনজার যা ভেতর থেকে ত্বককে পরিষ্কার করে তুলবে। এটা সমস্ত স্কিন টাইপেই যায়। তবে এটা মেয়েদের স্কিনের জন্যই বেশি ভালো। এটা লোশন বেস একটা ক্লিঞ্জার।
৪. বায়োটিক পাইনাঅ্যাপেল ক্লিনজার
ত্বককে দিন আনারসের পুষ্টি। এতে আনারসের সাথে সাথে আরও অনেক উপাদান আছে। ত্বককে পরিষ্কার করার জন্য। খুব ভারী মেকআপ সুন্দর ভাবে তুলে দেবে। জাস্ট বাড়ি ফিরে মুখে গলায় লাগিয়ে পরিষ্কার করুন। আই মেকআপও একইভাবে পরিষ্কার করুন। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সবাই ব্যবহার করতে পারবে।
৫. হিমালয়া রিফ্রেশিং ক্লিনজিং মিল্ক, ১০০ মি.লি.
হিমালয়া সব সময়ই সবার প্রথমে। কারণ সাধ্যর মধ্যেই সাধপূরণ যাকে বলে। খুব হালকা ক্লিনজার। স্কিনকে সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করার সাথে সাথে, স্কিনের ময়েশ্চারকে ধরে রাখে। এতে রয়েছে লেবুর নির্যাস যা প্রাকৃতিক ক্লিনজার। এছাড়াও আঙুরের বীজ স্কিনকে রেজুভিনেট করে। এবং পুদিনা স্কিনকে ঠাণ্ডা ও রিফ্রেশ করে তোলে। জাস্ট তুলোর বলে করে এটা নিয়ে, মুখে ও গলায় সার্কুলার ভাবে লাগান।
৬. ভি.এল.সি.সি. স্যান্ডাল ক্লিনজিং মিল্ক, ১০০ মি.লি.
এটাও খুব ভালো একটি ক্লিনজিং মিল্ক। এতে আছে চন্দনের গুণাগুণ। যা স্কিনকে পরিষ্কার তো করেই, তার সাথে স্কিনকে গ্লোয়িং করে তোলে। স্কিনকে নরম কোমল রাখে। সুন্দর মিষ্টি গন্ধ মনকে রিফ্রেশ করে দেয়। সমস্ত স্কিন টাইপেই এটা যায়।
৭. ল্যাকমে সফট অ্যান্ড ডিপ পোর ক্লিনজার, ৬০ মি.লি.
এটাও খুব হালকা একটা ক্লিনজার। যা স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এতে রয়েছে আভোক্যাডো ও ভিটামিন ই। যা স্কিনকে কন্ডিশনিং করে। পরিষ্কার করার পর মনেই হবে, স্কিন বেশ পরিষ্কার, ফ্রেশ লাগবে। দামও বাজেটের মধ্যে।
৮. নিভিয়া টোটাল ক্লিন আপ, ৫০ মি.লি.
এটাও সব স্কিন টোনে ব্যবহার করার মত একটি ক্লিনজার। যা রোজকার স্কিনকে পরিষ্কার করার সাথে সাথে, মেকআপও সুন্দর ভাবে স্কিন থেকে পরিষ্কার করে। স্কিনকে করে তোলে পরিষ্কার, ফ্রেশ ও গ্লোয়িং।
তাহলে এবার ভেবে ফেলুন কোনটা কিনবেন, আর অর্ডার করে দিন আপনার পছন্দের ক্লিনজার। আর এই শীতেও থাকুন মেকআপ তুলে গ্লোয়িং আর ফ্রেশ!
মন্তব্য করুন