উকুন (Lice) অতি ছোট,পাখাহীন একটি পোকা যা মাথার রক্ত চুষে খায়। আমাদের চুলে উকুন হলে তা অতন্ত অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য।একটি বড় হয়ে যাওয়া উকুন একটি তিলের বীজের আয়তনের মতো হয়। কিন্তু সচরাচর আমরা বুঝতে পারিনা যে কার মাথায় উকুন আছে আর কাদের মাথায় নেই। আমরা অনেক সময় বুঝেও উঠতে পারিনা যে আমাদের মাথাতে উকুন আছে কিনা বা কি করে আমাদের মাথায় উকুন হল। তাহলে দেখি কিছু উপায় যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব যে অন্যদের মাথায় উকুন আছে কিনা।
খুব বেশী মাথা চুলকানো
কেউ যদি খুব বেশী মাথা চুলকায় তাহলে হতে পারে যে তার মাথাতে উকুন আছে। কিন্তু এরকম না যে একটু মাথা চুলকালেই তার উপর আমরা সন্দেহ করব। মাঝে মাঝে সবারই মাথাই চুলকায় কিন্তু সাধারণত সব সময় চুলকায় না। যাদের উকুন আছে তারা কিন্তু কিছুক্ষন পর পরই মাথা চুলকায়। আবার অবশ্যই এইটা ঠিক যে মাথা চুলকানো একটা কারণ হতে পারে যার থেকে আমরা বুঝতে পারি কারো মাথায় উকুন আছে কিনা।
চুলে যদি নিট বা উকুনের ডিম দেখা যায়
খুশকির থেকে নিট দেখতে খুবই আলাদা। হালকা ভাবে হাত দিলেই খুশকি চুল থেকে সরে যায়।কিন্তু নিট একেবারে আটো সাটো ভাবে চুলে লেগে থাকে। কোনোভাবেই সহজেই চুল থেকে নিট সরানো যায়না। চুলে নিট জাতীয় কিছু দেখলে আমাদের সেই সংক্রামিত মানুষটির কোনো জিনিস ব্যবহার করা উচিত না।
মাঝে মাঝে উকুন চুলের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে এবং বাইরের দিকের চুলের উপর ঘোরা ফেরা করে।
কারওর চুলে কোনো কালো রঙের পোকা জাতীয় কিছু দেখলে সেইটা উকুন হতে পারে। তারপর দেখতে হবে সেই মানুষটির চুলে নিট দেখা যাচ্ছে কিনা। চুলে নিট দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে তার মাথায় উকুন আছে কিনা।
অনেক সময় আমরা নিজেরাই বুঝতে পারিনা আমাদের মাথাতে উকুন হয়েছে কিনা। যদি আমাদের মাথা খুব বেশি চুলকাতে শুরু করে বা আমরা অনুভব করতে পারি যে মাথায় কোনো পোকা হেঁটে চলেছে তাহলে কিন্তু আমাদের সতর্ক হয়ে ওঠা উচিত। মাথা চুলকে চুলকে অনেক সময় মাথায় ফোঁড়ার মতো ফুলে যায়। তাই তখন ভালো করে উকুনের ওষুধ লাগানো উচিত এবং বাড়ির সকলেরই ওষুধ লাগানো উচিত। কারণ একজনের মাথা থেকে অন্যজনের মাথাতে উকুন ছড়ায়।
ওষুধ লাগানোর পর সব জিনিস যা সংক্রামিত মানুষটি ব্যবহার করেছেন, ওইসব জিনিসগুলি ও ভালো করে পরিষ্কার করা দরকার। সোফা বা বালিসের ওয়ার, বিছানার চাদর ইত্যাদি ধোয়া বা ভাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা অতন্ত জরুরি।এর পরেও যদি ওষুধ লাগানোর ২সপ্তাহ পরেও উকুন না যায় তাহলে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী।
মন্তব্য করুন