কলকাতা শহরে রসনা তৃপ্তির জন্য জায়গার নেহাত কোনও অভাব নেই। সত্যি কথা বলতে শহর কলকাতা কিন্তু ভুড়িভোজের ডালি সাজিয়ে স্বাগত জানান সকলকেই। তাই আর বেশি দেরি না করে দেখে নিন কলকাতা শহরের যে যে খাবারগুলি চেখে না দেখলে সারা জীবনটাই বৃথা।
১. কষা মাংস, গোলবাড়ি
- পুরনো কলকাতার সেরা খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল গোলবাড়ির কষা মাংস। প্রায় ৯৫ বছরের পুরনো এই দোকানের কষা মাংস আজও মানুষের মুখে মুখে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে এর একটা বিশেষ রকমের রঙ এবং স্বাদের জন্য।
- বাঙালির পছন্দের কষা মাংস পরিবেশনের দায়িত্বে রয়েছেন এক পাঞ্জাবী পরিবার। নাম গোলবাড়ি হলেও দোকানটি কিন্তু মোটেই গোল নয়। বরং খুবই ছোট ঘুপচি ঘরের মতো। সন্ধে নামলেই দোকানে তিল ধারণের জায়গাটুকু থাকে না।
- কষা মাংস-পরোটা ছাড়াও এই দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন ফিশফ্রাই, কাটলেট, ব্রেনচপ, এগ কাটলেট-এর মতো খাবারও। শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড়ে বিধানসরণির রাস্তার দিকেই পড়বে প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এই দোকান।
২. মিত্র কাফের চিকেন কবিরাজি, কাটলেট
- শহর কলকাতায় প্রায় ৮৫ বছরের পুরনো দোকান মিত্র কাফে। চিকেন কবিরাজি, কাটলেট, ফিশ ফ্রাই, ফিশ রোল, চিকেন আফগানি, মটন চাপ-এর মতো সুস্বাদু খাবারের এক বিপুল সম্ভার রয়েছে মিত্র কাফের এই দোকানে।
- বছরের পর বছর ধরে বাঙালির চপ কাটলেটের প্রতি ভালোবাসা কিন্তু এতটুকুও ম্লান হয়নি। তেমনই অম্লান রয়েছে মিত্র কাফের প্রতি টান, আর তা বোঝা যায় দোকানের ভিড় দেখেই।
- শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের উল্টোদিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিন্যুয়ের ওপরে সুপ্রাচীন প্রসিদ্ধ এই দোকানে একবার অবশ্যই ঢুঁ মারবেন।
৩. অনাদি কেবিনের মোগলাই
- মোগলাই পরোটার সঙ্গে অনাদি কেবিনের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাবেকি মোগলাই পরোটার স্বাদ নিতে হলে আপনাকে পৌঁছে যেতেই হবে মোগলাই-এর এই স্বর্গরাজ্যে।
- মোগলাই পরোটাকে কম্পলিমেন্ট করতে এর সঙ্গে পরিবেশন করা হয় আলুর তরকারি, যেটা ছাড়া মোগলাই জাস্ট ভাবা যায় না।
- তবে মোগলাই পরোটা চাড়াও কিন্তু এখানকার ফিশ কাটলেট এবং ফিশ ফ্রাই এবং মাংসের চপও চেখে দেখতে পারেন।
- মুঘল খানা-পিনা করতে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে ধর্মতলা নিউ মার্কেটের জওহরলাল নেহেরু রোডে রাস্তার ওপরেই অনাদি কেবিন।
৪. বিবেকানন্দ পার্কের ফুচকা
- হাতে গোনা মানুষই হবেন যিনি বলবেন ফুচকা তাঁর পছন্দ নয়। আর সত্যি বলতে দিল্লির গোলগাপ্পা আর মুম্বইয়ের পানি পুরি খাওয়ার পর আপনি যদি কলকাতার ফুচকা খান, তাহলে কলকাতার ফুচকাকেই ফুল মার্কস দেবেন আপনি।
- আর কলকাতায় ফুচকা বলতেই যে নামটা প্রথমে আসে তা হল বিবেকানন্দ পার্কের ফুচকা। আর বিবেকানন্দ পার্কের ফুচকার স্বাদ একবার খেলে আর সে স্বাদ ভুলতে পারবেন না বরং এর টানেই ছুটে আসবেন বারবার।
- এখানকার ফুচকা বিখ্যাত এর টকজলের জন্য। কাঁচা আম, গন্ধরাজ লেবু আর তেঁতুলের মিশেলে তৈরি টকজলের গন্ধই আপনাকে এই ফুচকা খেতে বাধ্য করবে। এর জন্য গোলপার্কে সার্দান অ্যাভিনিউ ধরে পৌঁছে যান বিবেকানন্দপার্ক।
৫. পুঁটিরামের কচুরি, ছোলার ডাল, আলুর দম
- কলকাতায় থেকে পুঁটিরামের বিখ্যাত কচুরির কথা কখনও শোনেননি এটা হতেই পারে না। মূলত মিষ্টান্ন ভান্ডার হলেও এখানকার কচুরি-ছোলার ডালের স্বাদ একবার যিনি পেয়েছেন তিনিই জানেন।
- ছোলার ডালের অপুর্ব সুবাসেই অর্ধেক খাওয়া শেষ। বিশেষত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের আড্ডার এক অন্যতম পীঠস্থান এই জায়গা।
- কচুরি ছাড়াও এখানে সিঙারা, বিভিন্নরকমের সন্দেশ, দই সবকিছুই পাবেন। তবে কচুরির স্বাদ নিতে অবশ্যই বিকেল ৪টের মধ্যে যান। কলেজ স্কোয়ারের সূর্য সেন স্ট্রিটে রয়েছে এই দোকান।
৬. প্যারামাউন্টের সরবত
- ভরপেট খাওয়ার পর গলা ভেজানোর জন্য আদর্শ স্থান হল প্যারামাউন্ট। নেতাজি থেকে উত্তম কুমার সকলেই এই সরবতের গুণমুগ্ধ ছিলেন।
- এখানকার ডাব সরবত যে খাননি, তাঁর কাছে সরবতের সংজ্ঞাটাই পরিষ্কার নয়! ডাব সরবত ছাড়াও এখানে কোকো মালাই, কেশর মালাই, ভ্যানিলা মালাই, ক্রিম অরেঞ্জ লস্যি, স্পেশাল কেশর লস্যি, রোজ সিরাপ, গ্রিন ম্যাঙ্গো সিরাপের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। কলেজ স্কোয়ারে বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে রয়েছে এই দোকান।
৭. চিত্তবাবুর দোকানের চিকেন স্টু
- খাদ্যরসিকদের কাছে এই কলকাতার ডেকার্স লেন একটা স্বর্গরাজ্য। ভরপেট লাঞ্চ থেকে হালকা খিদে সবরকমের ক্ষুধা নিবৃত্তির আদর্শ স্থান হল এই ডেকার্স লেন।
- এখানকার সব দোকানই একের থেকে অন্যটা সেরা। তবে আমি বলব এখানকার চিত্তবাবুর দোকানের চিকেন স্টু একবারটি চেখে দেখতে। সাবেক অফিসপাড়ার এই দোকানের ক্রিস্টাল ক্লিয়ার স্যুপের সঙ্গে বাদামী সেঁকা পাউরুটির যুগলবন্দি মুখের মধ্যে এক অজানা স্বাদের জন্ম দেয়।
- ধর্মতলার কে সি দাসের মিষ্টির দোকান ফেলে মিনিট দুয়েক হেঁটে পিয়ারলেস হাউসের সামান্য আগে ডানদিকে ঢুকে গিয়েছে জেমস হিকি সরণী বা ডেকার্স লেন।
৮. কে সি দাশের রসগোল্লা
- বাংলার রসগোল্লা জিআই পাওয়ার পর রসগোল্লার সঙ্গে কলকাতার বন্ধন যেম আরও পোক্ত হয়েছে। খাস কলকাতার বুকে রসগোল্লার জনক হিসাবে পরিচিত নবীনচন্দ্র দাসের নাতি তাঁর ঠাকুরদার লেগাসি বয়ে নিয়ে চলেছেন।
- এই দোকানের বিখ্যাত রসগোল্লা ছাড়াও অমৃত কলস, ছানার পায়েস চেখে দেখতে কিন্তু ভুলবেন না। ধর্মতলার মোড়ে অবস্থিত কে সি দাশ-এর মিষ্টির দোকান।
৯. কালিকার চপ
- প্রায় অর্ধশতাব্দী প্রাচীন এই দোকান তেলেভাজার জন্য বিখ্যাত। এখানকার বেগুনি, আলুর চপ, মোচার চপ, ডিমের চপ ছাড়াও ফিশ ফ্রাই এবং মাংসের চপও বিশেষ বিখ্যাত।
- তবে বিকেল চারটে থেকে আড্ডা এখানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না, তাই সময়ের মধ্য সাধপূরণ করে আসুন। কলেজ স্কোয়ার পাশ দিয়ে সূর্য সেন স্ট্রিটে পেয়ে যাবেন এই দোকান।
১০. মিত্র কাফের ব্রেন চপ
- ব্রেন চপ। নামের মধ্যেই একটা জিভে জল আসা ব্যপার রয়েছে। কিন্তু কী এই ব্রেন চপ? পাঠার মাংসের ঘিলু দিয়ে তৈরি অভিনব একটি পদ হল ব্রেন চপ। হলফ করে বলতে পারি সারা শহর চষে ফেললেও, ব্রেন চপের স্বাদ কিন্তু আর কোথাও খুঁজে পাবেন না।
- মিত্র কাফের এই ব্রেন চপের স্বাদ একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে আজীবন। সত্যি বলতে এত বছরের পুরনো দোকানে এই বিশেষ পদটির স্বাদ কিন্তু একেবারে সেই প্রথম দিনের মতো। কোন মন্ত্রবলে কে জানে!
১১. টেরিটি বাজারেরল তিব্বতি ব্রেকফাস্ট
- চিনা পাড়া হলেও সাবেকি তিব্বতি খাবারের সন্ধান পেতে অবশ্যই ঢুঁ মারুন টেরিটি বাজারে। তবে কেবল প্রাতঃরাশ সারার জন্যই এই স্থান আদর্শ কারণ, সকাল আটটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সব খাবার।
- অথেনটিক তিব্বতি খাবারের মধ্যে এখানে পাবেন চিকেন মোমো, ফিশ ডাম্পলিং, ফ্রায়েড মোমো, রাইস পুডিং, ফিশ বল, মিট বল, প্রন ওয়েফার্স, হ্যামসিং পাং, প্যান কেক আরও নানান কিছু। মধ্যকলকাতায় লালবাজার সংলগ্ন এলাকাটিই টেরিটি বাজার নামে খ্যাত।
১২. নকুড়ের সন্দেশ
- নরম পাক হোক কিংবা কড়া পাক সন্দেশের জগতে অন্যতম নাম দেড়শ বছরের পুরনো নকুড়চন্দ্রের সন্দেশ।শীতকালে নলেন গুড়ের সন্দেশের জনপ্রিয়তা থাকে তুঙ্গে। আর এখানকার ফিউশন মিষ্টির মধ্যে আইসক্রিম সন্দেশ খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয়ও।
- তবে নকুড়চন্দ্রের আবার খাবো, কস্তুরি সন্দেশ, জলভরা তাল সন্দেশ, গোলাপি প্যাঁড়া এবং রাশভারি বাবু সন্দেশ অবশ্যই চেখে দেখবেন। গিরিশপার্ক থানার কাছে রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে রয়েছে এই দোকান। ল্যান্ডমার্ক-বেথুন কলেজ।
১৩. ভীমনাগের মিষ্টি দই, লেডিকেনি
- বাঙালির ঘরে ঘরে জনপ্রিয় ভীমনাগের মিষ্টি দই ও লেডিকেনি। তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং-এর স্ত্রী লেডি ক্যানিং-এর জন্য ভীম নাগ ছানা ছিয়ে কড়া করে মিষ্টি বানিয়ে নাম দেন লেডি ক্যানিং।
- পরবর্তীকালে যা লেডিকেনি নামে পরিচিত। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই মিষ্টি ছাড়াও ফিউশন মিষ্টির মধ্যে স্ট্রবেরি সন্দেশ এবং পিস্তা সন্দেশ খুবই জনপ্রিয়। বউবাজারে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই দোকান।
১৪. জায়কার কাঠি রোল
- কলকাতায় সর্বপ্রথম কাঠি রোল এনেছিল পার্ক স্ট্রিটের জায়কা। পুরভরা রুটির আকারে গড়া রোলের স্বাদ এক কথায় অনবদ্য।
- যদিও এখন নিউ মার্কেটের নিজাম এবং বাদশা, পার্ক স্ট্রিটের কুসুম কাঠি রোলের জন্য বিখ্যাত কিন্তু অথেনটিক কাঠি রোলের স্বাদ পেতে আপনাকে যেতেই হবে জায়কা।
১৫. উজ্বলা চানাচুড়
- বিকেলে তেল লঙ্কা দিয়ে মাখানো মুড়ির স্বাদ সম্পূর্ণ করে এক মুঠো চানাচুড়। টক-ঝাল মিষ্টি চানাচুর, ঝুড়িভাজা, ডালভাজা, হট চিপস, ডালমুট, গাঠিয়া, পাপড়ির এক অনন্য ঠিকানা হল উজ্বলা চানাচুর।
- জানলে অবাক হবেন সন্ধের পর চানাচুর কেনার জন্য রীতিমতো লাইন পড়ে অফিস ফিরতি মানুষের। কেজি দরে বা গ্রাম হিসাবে কিনতে পারেন মনপসন্দ চানাচুড়। কালিঘাটে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জ্জী রোড এবং গুরুপদ হালদার সরণী ক্রসিং-এই রাস্তার ওপর অবস্থিত এই দোকান।
১৬. বর্ধন মার্কেটের চিল্লা এবং ডাল পকৌড়ি
- কলকাতা শহরে বাঙালিরদের পাশাপাশি এক বিশাল সংখ্যক অবাঙালির বাস। আর তাঁদের খানা-পিনার সঙ্গে কিন্তু বাঙালি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছেন। তেমনই বর্ধন মার্কেট চত্বরে নির্ভেজাল স্ট্রিট ফুডের মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে চিল্লা এবং ডাল পকৌড়ি।
- এমনিতে ডালের পকোড়া শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতেই মেলে, কিন্তু বর্ধন মার্কেটের ডাল পকোড়ার একটা আলাদা স্বাদ রয়েছে। এছাড়াও এই চত্বরের বিভিন্ন রকমের চাট এবং আলু টিকিয়া একইরকম জনপ্রিয়। পার্ক স্ট্রিটের ক্যামাক স্ট্রিটে রয়েছে এই বর্ধন মার্কেট।
১৭. হলদিরামের রাজকচুরি ও ভেজ থালি
- কলকাতায় বসে খাস গুজরাতি খাবার চেখে দেখতে আপনাকে আসতেই হবে হলদিরামসে। এখানকার রাজকচুরি এবং বিভিন্ন রকমের ভেজ থালির কম্বো এক কথায় অসাধারণ।
- এছাড়াও এখানকার দই বড়া, পাপড়ি চাট, সমোসা চাট, কচুরি চাট অবশ্যই ট্রাই করুন। এড়াও কুলফি মালাই, বিভিন্ন ধরণের আইসক্রিম এবং মিষ্টির বিপুল সম্ভার রয়েছে এখানে।
- কলকাতা শহরে হলদিরামের একাধিক আউটলেট রয়েছে। তবে নন্দন চত্বরে এলে এক্সাইড মোড়ের আউটলেটে অবশ্যই যান।
১৮. মায়া রামের পাওভাজি
- মুম্বইয়ের পথে-ঘাটে মেলে এই জনপ্রিয় খাবার। তবে খাস কলকাতার বুকে এক টুকরো মুম্বই শহর পেয়ে যাবেন মায়া রামে। এই রেস্তোরাঁয় অবশ্য চাইনিজ, সাউথ ইন্ডিয়ান সবরকমের ক্যুইজিন পাওয়া যায় তবে এখানকার পাওভাজি কিন্তু বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
- গোল পাউরুটি সেঁকে তাতে মাখন লাগিয়ে সঙ্গে সবজি দিয়ে একটু রিচ করে রান্না করা ভাজির যুগলবন্দি এককথায় অসাধারণ। তবে তার সঙ্গে যদি অর্ডার করেন একটা সোডা শিকাঞ্জি তাহলে তো আর কথাই নেই। কলকাতার লর্ড সিনহা রোডে রয়েছে মায়া রাম।
১৯. আমিনিয়ার বিরিয়ানি
- কলকাতার সেরা খাবারের তালিকায় বিরিয়ানি থাকবে না এমনটা হতে পারে না। কথিত আছে আদর্শ বিরিয়ানির জন্মদাতা হল এই আমিনিয়া। আমিনিয়া থেকে অর্ডার করা খাদ্যতালিকায় বিরিয়ানি নেই এমন গ্রাহকের সংখ্যা হাতে গোনা।
- তবে অবশ্য বিরিয়ানি প্রেমিকদের অনেকেরই ধারণা যে এখনকার বিরিয়ানির আর সেই আগের স্বাদ নেই। কলকাতায় আমিনিয়ার একাধিক আউটলেট রয়েছে আমিনিয়ার। এর মধ্যে পার্ক সার্কাস ক্রসিং এবং নিউ মার্কেট চত্বরের আউটলেটদুটি খুবই জনপ্রিয়।
২০. কল্পতরুর পান
- খানাপিনা শেষে এক খিলি পান হলে মন্দ কি বলুন। খাস কলকাতাক বুকে এক টুকরো বেনারস ধরা দিয়েছে কলেজ স্কোয়ারের ঠিক পিছনে কল্পতরু ভান্ডারে।
- সুপ্রাচীন এই পানের দোকানে বহু তারকাই আসেন পান খেতে। এখানে পানের বিশেষত্ব হল এই পান মিষ্টি স্বাদের নয়। কারণ এতে খয়ের বা গুলকন্দের মতো উপকরণ ব্যবহার করা হয় না।
- নূন্যতম ৫টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যেরও পান পাবেন এখানে!
মন্তব্য করুন