স্যালাড এর বাহারে, ঝালমুড়ি, বড়া বা চাটনি আচারে যার আবশ্যক উপস্থিতি থাকে তার নাম – ধনেপাতা। বিভিন্ন তরকারির স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে এই সবুজপাতাটির জুড়ি নেই। পাশাপাশি এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ক্যারোটিন এর মত উপকারী মিনারেলে সমৃদ্ধ।
সপ্তাহে বাজার থেকে না কিনে আমাদের বলে দেয়া মেথড এ সম্পূর্ণ অর্গানিক ও জৈব উপায়ে নিজের বাড়ির ছাদ অথবা ব্যালকনিতে চাষ করে নিন মাত্র ৫ দিনে আর বাড়ির সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন।
বীজ প্রস্তুতি:
- ধনেপাতা লাগাতে আপনাকে শুকনো ধনের বীজ কিনতে হবে যেটা যেকোনো দশকর্মা ভান্ডারে আপনি সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
- বীজগুলো নিয়ে একটা পাত্রে ঢালুন ও একটা গোটা দিন সূর্যের আলোতে ভালোভাবে শুকনো করে নিন এতে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- বীজ প্রস্তুতির শেষ ধাপ এ আপনাকে বীজগুলো নোড়া বা পাথরের টুকরো দিয়ে হাল্কা চাপে অর্ধেক অংশে বা বীজগুলোকে ২টো ভাগে ভেঙে নিতে হবে। এরপর ওগুলো তুলে একটা বাটিতে রেখে জলে সম্পূর্ন নিমজ্জিত করে ভিজিয়ে রেখে দিন একটা রাতের জন্য। তাহলেই আপনার কাজ শেষ।
রোপনের সময়:
ধনে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় এখনই আসতে চলেছে। তাই দেরি করবেন না। আশ্বিন থেকে পৌষ বা সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এ এটি ভালো ফলন দেয়।
মাটি তৈরি:
- নার্সারির মতো ভালোমানের ধনেপাতা খেতে গেলে মাটির গুণমান ঠিকভাবে চয়ন করে ও যথেষ্ট যত্ন নিয়ে তৈরি করতে হবে।
- এর জন্য গার্ডেনার সয়েল ৭০% ও ৩০% ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে মাটি বানান। এঁটেল বা দোআঁশ যেকোনো মাটিতেই কাজ চলে যাবে। মাটি বীজতলা ফেলার একদিন আগে সারাদিন কড়া রোদে শুকনো করে নেবেন ঝুরঝুরে ভাব আনার জন্য।
টবের প্রকৃতি ও আকার:
- টবের জন্য মাটির টব কেনার কিছু যুক্তি নেই। বাড়িতে থাকা প্লাস্টিক এর গামলা বা ছোট চওড়া মুখ বিশিষ্ট বালতি ব্যবহার করতে পারেন। বালতির পেছনে ড্রিল মেশিন দিয়ে কিছু ছাঁদা করে নেবেন এতে মাটির নিকাশি ব্যবস্থা ভালো হবে।
- তারপর ছোট স্টোন চিপস বা ইঁট এর টুকরো ওই গামলার নীচে দিয়ে দিন ভরাট করে যাতে মাটি বেরিয়ে না যায় জল ধোয়া হয়ে।
বীজ বপনের কৌশল:
- বীজ বপনের আগে মাটি ঢালুন গামলার উপর আগের সমস্ত স্টেপ ফলো করে। সম্পূর্ণ গামলা ভর্তি করে দেবেন না। উপরে ৩ ইঞ্চি মতো জায়গা মিনিমাম ফাঁকা রাখবেন।
- এবার আগের দিনের ভেজানো বীজ তুলে ছড়ান মাটির উপরে। যে জলে বীজ ভেজানো ছিল সেটাও মাটির উপর উল্টে পাল্টে ধীরে ধীরে চারিদিকে স্প্রিংকেল করে ছড়িয়ে দিন।
- এরপর ওপর থেকে হাত দিয়ে কিছু মাটি তুলে ওর ওপর ছড়িয়ে দিন এবং একটা লেয়ার তৈরি করুন যাতে বীজ গুলো ঢাকা পড়ে যায়।
- অবশেষে, গামলাটা নিয়ে আলোবাতাস খেলে এমন জায়গায় জানলার পাশে বা ব্যালকনি বা ছাদের কোনায় রেখে আসুন। কড়া রোদ কিন্তু ধনেগাছের শত্রু খেয়াল রাখবেন।
জলসেচ:
- জল ভর্তি করুন একটা স্প্রেয়ার এ এবং সেটা নিয়ে স্প্রে করতে থাকুন যাতে মাটি নীচ অব্দি ভেজে। ২-৩ দিন পর যদি দেখেন মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে তবেই আবার জল স্প্রে করবেন। বেশি জল জমলে ধনেগাছে ফাঙ্গাস লাগা অবধারিত।
- ৪-৫ দিন পর অপেক্ষা করার পর ছোট ছোট পংক্তিতে চারা গাছ দেখতে পাবেন ও ১০-১২ দিন পর পাতা কাটতে পারেন। একবারের বীজ আপনাকে ৩-৪ বার ফলন দেবে।
পরিচর্যা:
ধনেপাতাতে পিঁপড়ের আক্রমন খুব বেশি হয় তাই সেটা ঠেকাতে পাইরিফস্ট ইউজ করতে পারেন। আগাছা হলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। রাসায়নিক সার দিতে চাইলে ইউরিয়া ও ডিএপি জলে গুলে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। সাবধানতা অবলম্বন করলে সুফল পাবেনই।
রুমা চক্রবর্তী
ধনের বীজ ছড়িয়ে একসপ্তাহ অপেক্ষা করেও একটা গাছ হলো না। কি ভুল হয়েছে বুঝলাম না।
রূপক দাস
দুই বার ধনে বিচ নার্সারি থেকে কিনে 15-16 ঘন্টা জলে ভিজিয়ে টবে লাগালাম , নিয়মিত জল ফোয়ারা করলাম 10 – 12 দিন । তাও ধনে গাছ পেলাম না ।
Md samim aktar
Jodi open fild e korte chai tahole er poddhoti ta kamon hobe
Utpal Mukherjee
খুবই সুন্দর।এক বার চেষ্টা করবো।
প্রদীপ দাস
খুবই সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষতে পারলাম।
শৈবাল রায়
এই রকম ছোট ছোট জিনিস জানতে চাই।
অনামিকা সাহা
খুব ভালো লাগলো
অনিল সামন্ত।
খুব সহজভাবে শেখানোর জন্যে ধন্যবাদ।আরো দেখান সহজ ভাবে আরো কি কি চাস করা যায়।
সোমা দে
খুব ভালো লাগল ।