সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। প্রেমের দিনে নিজের কাছের মানুষকে নিয়ে অনেকেরই অনেক কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়েও যারা একা, যাদের কাছের মানুষ বলতে মা-বাবা-বন্ধুবান্ধব ছাড়া বিশেষ কেউ নেই, তাদের কাছে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র উদযাপন বিশেষ বাড়বাড়ন্ত বলেই মনে হয়। কিন্তু চিন্তা নেই।
আপনি যদি সিঙ্গেল হন, তাহলেও আপনি নির্দিধায় উদযাপন করতে পারেন ভ্যালেন্টাইনস ডে। কীভাবে? রইল সমাধান।

১) নিজেকে ভালোবাসো তুমি এবার
পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধব বা প্রেমিককে ভালোবাসতে বাসতে আমরা নিজেদেরই ভালোবাসতে ভুলে যাই। তাই জীবনে যদি কেউ কখনও তার প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে ব্যথা পান, তখন সবকিছুই এক ঝলকে খারাপ লাগতে শুরু করে। আর এই কারণেই নিজেকে ভালোবাসাটা আজকের দিনে খুবই দরকার। নিজের জন্য কিছু করা, নিজেকে সুস্থ-সুন্দর রাখা, নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা, সর্বপরি নিজের জন্য বাঁচতে পারাটাও কিন্তু খুবই জরুরী। ওই একটা দিন নিজের জন্য বাঁচুন অন্তত।
২) ভ্যালেন্টাইন’স ডের মানেটাই বদলে নিন
ভ্যালেন্টাইন’স ডে বলতেই আমরা সচরাচর যেটা বুঝি প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার দিন। কিন্তু মনের এই ধারণাকে একটু বদলেই দেখুন না। দিনের গুরুত্বটা কিন্তু অন্যভাবে ধরা দেবে। একা থাকা নিয়ে হতাশাগ্রস্থ না হয়ে একা থাকাকে উপভোগ করুন। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন।
৩) বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর বিকেল কাটান
বন্ধুবান্ধবের মধ্যে সবাই মিঙ্গেল হয় না কেউ না কেউ সিঙ্গেলও হয়। আর এই সিঙ্গেল বন্ধুদের নিয়ে কাটিয়ে দিন একটা সুন্দর বিকেল। মনে রাখবেন ভ্যালেন্টাইনস ডে মানেই যে তা রোমান্টিক হতে হবে এমনটা কিন্তু কোথাও লেখা নেই। বরং বন্ধুদের নিয়ে সামিল হোন এক নির্ভেজাল ভালোবাসায়।

৪) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
ভেবে দেখুন তো, অফিস আর কাজকর্মের বাইরে নিজের জন্য সময় তো বের করা হয়ই না, সেইসঙ্গে পরিবারকেও সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে আপনি ছাড়া সবাই আনন্দ করছে এমনটা না ভেবে পরিবারকে সময় দিন। পরিবারে বাবা-মা ছাড়া যদি আর কেউ নাও থাকে তাহলে বাবা-মা-কে নিয়েই চলে যান ডিনারে। আর উপভোগ করুন প্রত্যেকটা মুহূর্ত।
৫) একটা স্পা করিয়ে নিন
আপনি যদি বিউটি আর ফ্যাশন ফ্রিক হন, তাহলে পার্লারে যাওয়ার জন্য আপনি যেকোনও বাহানাই বানাতে পারেন। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে অন্যদের গোলাপ হাতে ঘুরতে দেখে দুঃখ না পেয়ে একটা স্পা করিয়ে নিন। এসেন্সিয়াল গন্ধে ডুবে গিয়ে হয়ে উঠুন রিফ্রেশ। সঙ্গে করিয়ে নিতে পারেন মনের মতো হেয়ার কাটও!
৬) সিনেমা দেখতে যান
ভ্যালেন্টাইনস ডে-র সন্ধেবেলা কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। কেটে ফেলুন সিনেমার টিকিট। সিনেমা দেখার মতো রিফ্রেশমেন্ট আর কি বা হতে পারে! এক বাকেট পপকর্নের সঙ্গে জমে উঠুক ভ্যালেন্টাইনস ডে-র সন্ধ্যে।
৭) জমিয়ে কোনও পদ রান্না করুন
মনোবিদরা বলেন, রান্না কিন্তু যাবতীয় স্ট্রেস থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর সন্ধ্যায় নিজের মনের মতো কোনও পদ রান্না করে ফেলুন। বা বেক করে নিন চকোলেট কেক। আর তাক লাগিয়ে দিন আপনার পরিবারকে।
৮) ঘর গোছান
গুছিয়ে রাখা সুন্দর ঘরকে সারা সপ্তাহে কাজের মাঝে নিশ্চয় গোছানোর সময়ই পান না। শোওয়ার ঘরের অবস্থাটাও খুব একটা ভালো নয়। কাজ লাগান ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর সন্ধেটা। ঘর-দোর পরিষ্কার ঝকঝকে করে গুছিয়ে নিন।
৯) লম্বা একটা ঘুম!
এর থেকে ভালো অপশন আপনি গুগলেও খুঁজে পাবেন না। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি কাটিয়ে ফেলতে বেছে নিন ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর সন্ধে। একটা লম্বা ঘুম আপনার সমস্ত ক্লান্তি, মানসিক অশান্তি দূর করে দিতে পারে। তবে আপনি যদি রোমান্টিক মানুষ হন কিন্তু তা সত্ত্বেও সিঙ্গেল হন তাহলে ঘুমের সঙ্গে রোমান্স করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
১০) নিজেকে একটা চিঠি (প্রেমপত্র) লিখুন
বিষয়টি আজগুবি শোনালেও একবার না হয় করেই দেখুন। হোয়্যাটস অ্যাপের জমানায় চিঠি লেখা এখন অতীত। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে নিজেই নিজেকে প্রেমপত্র লিখুন। নিজেকে না বলা কিছু কথা, একান্ত নিজের মনের কথা লিখে ফেলুন একটা কাগজে। শুধুই যে ভালো জিনিসই লিখতে হবে এমনটা নয়, লিখতে পারেন নিজের মনের খারাপলাগাগুলোকেও। এরপর অনেকদিন পর আপনি যখন নিজের লেখা চিঠি পড়বেন তখন আপনার ঠোঁটের কোণায় থাকবে এক টুকরো হাসি।
মন্তব্য করুন